বরকলে প্রধান শিক্ষক মিজানুর কর্তৃক পাহাড়ী নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ


বরকল উপজেলার সীমান্তবর্তী বড় হরিণা ইউনিয়নের কুকিছড়া গ্রামের এক তিন সন্তানের মহিলাকে কুকিছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেছে ওই মহিলা।
মঙ্গলবার (২৮মার্চ) রাত ৮টায় ওই মহিলা থানায় হাজির হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। বরকল থানায় মামলা নং-০১ তাং-২৮-০৩-১৭ইং।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত তিন বছর ধরে মিজানুর রহমান কুকিছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করে। বিদ্যালয়ের পাশে উদ্দীপন চাকমার বাড়িতে থাকতো।

জুমচাষের কারণে উদ্দীপন চাকমা কিছু দিনের জন্য পাহাড়ে অবস্থান করলে পাশের বাড়ি শান্ত চাকমার বাড়িতে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানকে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়।

শান্ত চাকমা বাড়িতে না থাকার সুযোগে মিজানুর রহমান গত ২৭ মার্চ রাত পৌনে ১টায় শান্ত চাকমার শয়ন কক্ষে ঢুকে তার স্ত্রীর শরীরে বিভিন্ন স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দেয় এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে চিৎকার করলে পাশের রুমে থাকা তার সর্ম্পকে ভাইপুত সুজবন চাকমা ও খইচা মারমা প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানকে ওই রুমের মধ্যে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে উদ্দীপন চাকমাকে খবর দিলে সেই সঠিক বিচারের আশ্বাস দিয়ে মিজানুর রহমানকে নিজের জিম্মায় নিয়ে যায়।

ওই মহিলার স্বামী শান্ত চাকমা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, শিক্ষকরা সমাজে সম্মানী ব্যক্তি। আমরা তাদেরকে সম্মান করি শ্রদ্ধা করি। তারাই মানুষ গড়ার কারিগর। কিন্তু তারা যদি সমাজে সব চাইতে ন্যাক্কার জনক ঘটনা সংঘটিত করতে পারে তা আমার কল্পনাতিত। এসব কুলাংকার শিক্ষদের যথোপযুক্ত শাস্তি হওয়া দরকার। যাতে ভবিষ্যতে কোন শিক্ষক এমন জঘন্য কাজ করতে না পারে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান নিলাময় চাকমা জানান, তাকে ঘটনাটি জানানোর পরে তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার অফিসার ইনচার্জ ও উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন।

পরে শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আলতাব হোসেন ঘটনা স্থলে গিয়ে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানকে নিয়ে আসেন।

এ ব্যাপারে উপজেলার ভার প্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আলতাব হোসেনের সাথে মঠো ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বরকল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মোঃ মফজল আহমদ খান বলেন, মঙ্গলবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তথ্যসূত্র: ডেইলি সিএইচটি ডেস্ক রিপোর্ট 

No comments

Theme images by 5ugarless. Powered by Blogger.