রাঙামাটিতে ইউপি নির্বাচন পেছাল রাজনৈতিক দলের মিশ্র প্রতিক্রিয়া


রাঙামাটি জেলার ৪৯টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন পিছিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে রাজনৈতিক দলগুলো।
রাঙামাটি নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলার ৪৯টি ইউপির নির্বাচন তৃতীয় ধাপের পরিবর্তে ষষ্ঠ ধাপে হবে। গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো ই-মেইল বার্তায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে ই-মেইল বার্তায় নির্বাচনের তারিখ জানানো হয়নি।
রাঙামাটি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নাজিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাঙামাটির ১০ উপজেলায় ৪৯টি ইউনিয়নে আগামী ২৩ এপ্রিল নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এসব ইউনিয়নের মধ্যে ১৯টিতেই চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী দিতে পারেনি আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী ছিল না ২৭ ইউনিয়নে। এ ছাড়া রাঙামাটি সদর ও জুরাছড়ি উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের কোনোটিতেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী ছিল না। দুই দলের নেতাদের দাবি, ভয়ের কারণে কেউ প্রার্থী হতে চাননি। এ নিয়ে গত সোমবার প্রথম আলোয় ‘ভীতিকর পরিবেশ—রাঙামাটির ১৯টি ইউপিতে প্রার্থী নেই আওয়ামী লীগের’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
নির্বাচন তৃতীয় ধাপ থেকে ষষ্ঠ ধাপে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলটির রাঙামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মুছা মাতব্বর বলেন, এতে সব দলের প্রার্থীর অংশগ্রহণের সুযোগ পাওয়ার আশা সৃষ্টি হয়েছে। তবে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা না হলে পরিস্থিতির খুব বেশি পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না।
জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, সব ইউনিয়নে নির্বাচন পেছানোর কোনো প্রয়োজন ছিল না। যেসব ইউনিয়নে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে, সেগুলোতে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করা যেত। তিনি আরও বলেন, ‘শুধু আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল নয়, সরকারি দলের অশুভ তৎপরতায়ও আমরা শঙ্কিত।’
সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মঙ্গল কুমার চাকমা বলেন, ‘আমরা এখনো কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দিইনি। তাই নির্বাচন কখন হবে, তা নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বাধা দেওয়ার যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সঠিক নয়। আমরা যতটুকু জানি, দলীয় প্রতীক না নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সব ইউনিয়নে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।’
তথ্যসূত্র: প্রথম আলো,  |

No comments

Theme images by 5ugarless. Powered by Blogger.