পবিত্র আষাঢ়ী পূর্ণিমা দিবসে চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারে, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির কর্মকর্তাদের কলঙ্কজনক কর্মকাণ্ড

স্বরণাতীতকাল ধরে চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার নন্দনকানন এর নিচের নিব্বুতি বিহারে (বুড়া গোঁসাই মন্দির) ত্রৈমাসিক বর্ষাব্রত উপলক্ষে অসংখ্য উপাসক উপাসিকাগণ প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও অষ্টাঙ্গ উপোসথশীল গ্রহন, বুদ্ধপুজা এবং ভিক্ষুসংঘকে বর্ষাষাটিক চীবরদান করে আসছেন। আজ ভোর পাঁচটার সময় এসে দেখেন মন্দিরে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। কেউ কেউ জিজ্ঞাসা করলে পরস্পর বলাবলি হচ্ছে ছয়টার আগে মন্দিরের তালা খোলা যাবে না। বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমতির কর্মকর্তাদের হাতে চাবি রয়েছে। তারা তালা খুলে দিলে মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে, অন্যতায় সম্ভব নয়। তখন উপাসক উপাসিকারা উপরের দ্বিতল মন্দিরে এসে অষ্টশীল, বুদ্ধপুজা, বর্ষাষাটিক চীবর দান করেন ভিক্ষুসংঘের উদ্দেশ্যে। তা পরিচালনা করেরন ড. জিনবোধি ভিক্ষু। উপাসক উপাসিকারা ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, আমরা বহু বছর থেকে নিচের মন্দিরে ধর্মীয় কার্যাদি প্রতিপালন করে আসছি। এ বছর বৌদ্ধ সমতির কর্মকর্তাদের অধর্মোচিত ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মূল মন্দিরে তালা লাগিয়ে দেওয়া ক্ষমতার অপব্যবহার শুধু নয়, ধর্মীয় অনুভূতিতে প্রচণ্ড আঘাত করে ধর্মের উপর অনধিকার চর্চা করে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। তজ্জন্য সমস্ত উপাসক উপাসিকাদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমতির স্বঘোষিত চেয়ারম্যান অজিত বাবু সহ সকল কর্মকর্তাদেরকে এহেন কার্যকলাপের জন্য নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়ে বলেন চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের ইতিহাসে এ জাতীয় কলঙ্কজনক ইতিহাস নজির এই প্রথম। এ ব্যাপারে সবাইকে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।

.... শুভাকাঙ্ক্ষী সচেতন উপাসক উপাসিকা ও ধর্মপ্রান নাগরিক বৃন্দ।৩০/০৭/২০১৫ খ্রীস্টব্দ
তথ্যসূত্র: ড. জিনবোধি ভিক্ষুর প্রফাইল থেকে সংগৃহীত।

No comments

Theme images by 5ugarless. Powered by Blogger.