বাবুছড়ার উদ্ভাস্ত ২১ পরিবার’ তার ৩/৪ দিন পর সেরিয়াল হয়তো আমার’ তারপরের দিন কিন্তু আপনার এবং অনুভুতি।

    1. এটা গল্প নয়, নয় কোনউপন্যাস কিংবা নয় নাটকের কোন কথোপকথন বা সংলাপ।বলছি দীর্ঘ এক বছর ধরে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া বাবুছড়া বিজিবি ক্যাম্পস্থাপনায় উদ্ভাস্ত ২১ পরিবারের কথা।আজো মনে পরে সেদিন যখন, বাবুছড়া গেছিলাম বিজিবিক্যাম্প স্থাপনায় উদ্ভাস্ত হওয়া পরিবার গুলোর সাথে কথা বলতে’ প্রথমে স্কুলে ঢুকার পরজিজ্ঞেস করলাম দায়িত্বরত সেখানকার মেম্বারকে, ভিক্টিম পরিবারদের সাথে কথা বলা যাবেকিনা।সে বলল’ কথা বলা যাবে, তারপর কিছু পরিদর্শন করে’ শুনে আসলামলম্বা এক দূঃখের গাথা...............
    সে অনেক কাহিনী’ বলে কিশেষ করা যাবে? গোপাদেবী থেকে মায়াদেবী, মায়াদেবী থেকে অপ্স্ররা নাম না জানা আরোঅনেক অজানা............
    শেষে তাদের একটি আশ্বাসদিয়েছিলাম’ কিছু না পারি আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে কিছু সাহায্য দেয়ারচেষ্টা করবো।হ্যাঁ সেটা করেছি কয়েকজন বন্ধুর অক্লান্ত পরিশ্রমে এবং বড় ভাই ছোটভাইসহ সকলের সহযোগিতাই, এবং গত শীতকাল শুরুর কয়েকদিন আগেই ত্রাণ বিতরণ শেষ করি।
    জানিনা কেমন গেলো তাদেরএই শীতকাল? কেমন বা যাবে অনাগামি শীতকালগুলো? এমনিতেই পাহাড়ে হার কাঁপানো কনকনেশীত তার মধ্যে বাস্তুহারা করে থাকা অসম্ভব, কিন্তু এখন তো অসম্ভবকে মানিয়ে নেওয়াআমাদের পাহাড়ীদের নিত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে, হে’ শহরে থাকা বন্ধু পারবেন কি দুই তিনটাদিন সেভাবে কাটাতে?
    জানিনা কেমন যাবে তাদেরএই সামাজিক অনুষ্টান বিজু? আগের আট দশটা বিজুর মত কি যাবে এই বিজুটাও? কিংবাঅনাগামি বিজুগুলোই বা কিভাবে যাবে তাদের?
    হাই হাই’ একি আমি কিলিখছি? আমিও তো সেরিয়ালের বাইরে না, আজ না হয় কাল আমার বাড়িও তো দখলে যাবে, হয়তোশিক্ষা উন্নয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় হবে, কিংবা মেডিকেল হবে নয়তো কোন নিরাপত্তারজন্য আর্মি ক্যাম্প কিংবা বিজিবির ক্যাম্প হবে সেগুলো না হলে হয়তো পর্যটন হবে। সেগুলোরজন্য যদি প্রতিবাদ করি নামের আগে পাহাড়ী ‘তকমা’ লাগিয়ে দিয়ে বলবে, তারা শিক্ষাউন্নয়ন চাই না, নিরাপত্তা চাই না, উন্নয়ন চাই না।
    বাদ দেন ভাই আমি বরংলাইনে দাঁড়াই থাকি চুপটি মেরে..............
    আপনি দাঁড়াবেন না? দাড়ান’দাঁড়ান ভাই টাইম তো একদিন আসবে...........................
    আজ না হয় দিঘীনালা্রবাবুছড়াই, কাল তো বান্দরবান নিশ্চিত পরশু না হলে তারপরের দিন, হয়তো আরো তার পরেরদিন ঠিকই আপনার পালা আসবে...........
    মানসিকভাবে উদ্ভাস্তহওয়ার প্রস্তুতি নেন, লাইক আমার মট............
    বাংলাদেশ  সরকার  পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার সমাধানে এখনও কাঙ্খিত পর্যায়ে  অগ্রগতি লাভ করেনি। এরই ধারাবাহিকতায় পাহাড়ীদের ঘর- বাড়ি উচ্ছেদ, অগ্নিসংযোগ , লুটপাত, নিরীহ গ্রামবাসীদের উপর হামলা ও হত্যা,জুম্ম নারীদের ধর্ষণ  ইত্যাদি রেকর্ড দৃষ্টি  গোছর হয়। গত বছর দিঘীনালার বাবুছড়ায় পাহাড়ীদের নিজ ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করে সেখানে  বিজিবি সদর দপ্তর স্থাপন করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত বছরের ১০ ই জুন ২০১৪ ইং তারিখে বিজিবি সদর দপ্তর স্থাপনকে বাধা প্রদান কালে বিজিবি ও নিরীহ পাহাড়ীদের মাঝে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যার ফলশ্রুতিতে এখানকার অনেক নিরীহ পাহাড়ীকে গ্রেফতার করা হয়, শুধু গ্রেফতার করা হয়নি অনেক পাহাড়ী শারিরীকভাবে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হন। ১২ ই জুন যত্ন মোহন কার্বারী পাড়া ও শশীমোহন কার্বারী পাড়া থেকে উদ্বাস্তু হয় প্রায় ২১ পরিবারের ৮৩ জন নিরীহ পাহাড়ী।
    মানবতা আজবিপন্ন।পাহাড়ের চারিদিকে আজ অশুভ ছায়া ভর করে আছে, শাসক গোষ্টী নানা কুটশালে লিপ্তবুঁক ফুলিয়ে থাকা পাহাড়কে নিয়ে।পাহাড়ের এই সংগ্রাম এক দিনের নয়, তার আছে’ দীর্ঘরক্তক্ষয়ী এক ইতিহাস আর সেই দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের ফসল হচ্ছে ‘পার্বত্য শান্তিচুক্তি’।হ্যাঁ চুক্তি হয়েছে ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর’ কিন্তু নামে মাত্র সেইচুক্তি’ শাসকগোষ্টী কোন আন্তরিক নয় বাস্তবায়নে।পার্বত্য শান্তি চুক্তির বয়স আজপ্রায় ১৮ বছর ছুই ছুই এখনো শান্তি নেই পাহাড়ে, চুক্তির প্রাক্কালে জন্ম হওয়াশিশুটিও আজ নাবালক নেই আর ছাবালক হয়ে গেছে।প্রান্তিক এলাকায় তো অনেকেই বিয়ে করেসন্তান লাভ করেছে’ তাদের সন্তানও মনে হয় আজ অবগত পার্বত্য সমস্যা নিয়ে।
    হ্যাঁ মনে পরে’ আজ থেকেপ্রায় ৪ বছর আগে যখন কলেজ পড়ুয়া ছিলাম।তখন প্রায় সময়ই একটা দোকানে আড্ডা দিতাম,দোকানের পাশে একটা প্রি ক্যাডেট স্কুল। স্কুলের পাশে একটি মাত্র দোকান থাকাই সেখানথেকে সব জিনিস নিত ছেলে-মেয়েরা। বাচ্ছা বলে কথা’ খাওয়ার জিনিস তো সব সময়ই লাগে।মাঝে মাঝে স্কুল টাইমেও আড্ডা জমত’ সেসময় দোকানে বিক্রিতে সাহায্য করা,আরবাচ্ছাদের সাথে মশকারি, বাচ্ছাদের সাথে মশকারি করার সময় একটা জিনিস খেয়াল করলামতারা কোন কিছুতে ভয় না পেলেও ‘বাঙালে নেযেবো সি ধরি’ বললে ঠিক ভয় পায়।বাঙালীবন্ধুরা ‘বাঙালে নেযেবো সি ধরি’ কথাটি কি বুঝতে পারছেন? কথাটির অর্থ ‘বাঙালীরা ধরেনিয়ে যাবে’ জানিনা কি বুঝেছেন আপনারা, কথাটিতে কিন্তু অনেক মর্মার্থতা আছে।
    হ্যালো বুঝতে পেরেছেনকি?সেই অবুঝ শিশুটিও আজ আপনাদের ভঁয় পায়, বন্ধু মনে করে না শত্রু মনেকরে.....................
    আপনি কি অনুতপ্ত? কোনকারণেই?
    না’ আমি জানি আপনারঅনুতপ্ত হওয়ার কোন মানে হয় না।
    আপনি কি লজ্জিত? কোনকারণেই?     
    মজার একটা প্রশ্ন তাইনা? নির্লজ্জদের আবার লজ্জা।

No comments

Theme images by 5ugarless. Powered by Blogger.