ঢাবিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ছাড়া রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের সব কার্যক্রম বন্ধ, হামলাকারী সেটেলারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, আহতদেরকে ক্ষতিপূরণসহ পাহাড়িদের স্বাভাবিক জীবনের নিশ্চয়তা চেয়ে ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।

পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি জেমশন আমলাইয়ের সভাপতিত্ত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কেরিংটন চাকমার পরিচালনায় রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহনগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুলভ চাকমা ঢেঙা, তথ্যপ্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক শুভকর চাকমা, স্কুল ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক নিপন ত্রিপুরা, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অনন্ত ধামাই, হিল উইমেন্স ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভানেত্রী চঞ্চনা চাকমা এবং সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী মংটিন মারমা।

আয়োজকদের পক্ষে থেকে জানানো হয়, গত ১০ জানুয়ারি পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ আহুত সকাল-সন্ধ্যা সড়ক ও নৌপথ শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচিতে হামলা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত বিতর্কিত রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের সব কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।

সংগঠনের ঢাকা মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুলভ চাকমা ঢেঙা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রশাসন ব্যবস্থা যদি পাহাড়িদের নিরাপদ জীবনের নিশ্চয়তা দিতে না পারে তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি কর্তৃক ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলনকে প্রয়োজনে আবারও অস্ত্র কাঁধে নিয়ে আরও শক্তিশালী ও সংহত করা হবে।

সভাপতির বক্তব্যে জেমশন আমলাই বলেন, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার বিষয়টি আজ মূখ্য বিষয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের ৯০ শতাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া মানসম্মত নয়। বহু আদিবাসী গ্রাম আছে যেখানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই, বহু প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে যেগুলো বর্গা শিক্ষক দিয়ে চলে। একইভাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার অবস্থাও খুবই নাজুক। তাই প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের সমস্যা সমাধান না করে সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামের উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করার চিন্তা কখনও বাস্তবসম্মত হতে পারে না।

তথ্য সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট॥