খাগড়াছড়িতে বৌদ্ধ মন্দিরের জন্য স্বেচ্ছাশ্রম
মন্দিরের জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে হবে। ধান কেটে যে মজুরি মিলবে, তা–ই তুলে দেওয়া হবে মন্দির কর্তৃপক্ষের হাতে। এমন ভাবনা থেকে ধান কাটার কাজে নেমেছেন খাগড়াছড়ি গোলাবাড়ি মৌজার হেডম্যানপাড়ার আদিবাসী নারীরা l নীরব চৌধুরীগ্রামের বৌদ্ধমন্দিরের জন্য একটি ফ্রিজ কেনা হবে। সে জন্য টাকার প্রয়োজন। কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী মিলে ঠিক করলেন, এই আমন মৌসুমে ধান কেটে যা আয় হবে, তা তুলে দেবেন মন্দির কর্তৃপক্ষের হাতে। স্বেচ্ছাসেবী এই দলের আহ্বানে সাড়া দিলেন গ্রামের নারীরা। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁরা ধান কেটে ইতিমধ্যে ফ্রিজ কেনার টাকাও তুলে ফেলেছেন। খগড়াছড়ি জেলার সদর উপজেলার গোলাবাড়ি মৌজার হেডম্যানপাড়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে।
গ্রামের বাসিন্দা আথুই মারমা (৫২) জানান, বৌদ্ধবিহারের জন্য ফ্রিজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গ্রামবাসী। কিন্তু এখানকার সবাই কৃষিজীবী হওয়ায় টাকা জোগাড় করা ছিল কঠিন কাজ। ১৫-১৬ দিন আগে এক বৈঠকে ঠিক হয়, নিজেদের শ্রম বিক্রি করে যা আয় হবে, তা দান করা হবে মন্দিরে। আমন মৌসুমের ধান পেকেছে, চারদিকে ধান কাটার ধুম পড়েছে। তাই গ্রামের যাঁরা স্বেচ্ছাশ্রম দিতে ইচ্ছুক, তঁারা ধান কেটে টাকা তুলতে পারেন। এমন সিদ্ধান্ত প্রচারিত হওয়ার পর গ্রামের বিভিন্ন বয়সের বেশ কয়েকজন নারী এগিয়ে এ। শুরু হলো ধান কাটা। কোনো দিন ৬০-৭০ জন, কোনো দিন ৩০-৪০ জন নারী কাজ করেছেন।
গ্রামের বৃদ্ধা অংমা চুঅং মারমাও (৬৫) অংশ নিয়েছেন ধান কাটায়। তিনি বলেন, ‘বয়স অনেক হয়েছে। পুণ্যের কাজ করতে হলে বয়স কোনো ব্যাপার নয়। গ্রামের অনেকেই ধান কাটছে। আমিও অংশ নিলাম। গ্রামের তরুণীরা অনেকে উৎসাহ এগিয়ে এসেছেন।’
গ্রামের আরেক নারী ক্রাজাই মারমা জানান, ছোট-বড় সবাই মিলে উৎসবমুখর পরিবেশে কাজ করছি। এতে মজাই আলাদা। এক গৃহস্থের ধান কাটা শুরু করলে কিছু সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। কারণ, একসঙ্গে অনেকে কাজ করেছে। সবার মধ্যে ছিল প্রবল উৎসাহ।
গোলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্ঞান রঞ্জন ত্রিপুরা বলেন, ‘হেডম্যান পাড়াবাসীদের উদ্যোগের কথা শুনেছি। এই মহৎ উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এটি একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।’
গ্রামবাসী জানান, ফসল তোলার মৌসুম বলে গ্রামের পুরুষেরা ব্যস্ত ছিল। এ জন্য নারীরাই এই সেবামূলক কাজে অংশ নিয়েছে। এ পর্যন্ত তঁারা সাড়ে ছয় একর জমির ধান কেটেছেন। ফ্রিজ কেনার টাকাও জোগাড় হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা এখন চাইছে আগামী দিনেও একই রকম উদ্যোগ নিয়ে বৌদ্ধবিহারের জন্য বড় ধরনের কাজ কারতে।
সূত্র : দৈনিক প্রথম আলো
গ্রামের বাসিন্দা আথুই মারমা (৫২) জানান, বৌদ্ধবিহারের জন্য ফ্রিজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গ্রামবাসী। কিন্তু এখানকার সবাই কৃষিজীবী হওয়ায় টাকা জোগাড় করা ছিল কঠিন কাজ। ১৫-১৬ দিন আগে এক বৈঠকে ঠিক হয়, নিজেদের শ্রম বিক্রি করে যা আয় হবে, তা দান করা হবে মন্দিরে। আমন মৌসুমের ধান পেকেছে, চারদিকে ধান কাটার ধুম পড়েছে। তাই গ্রামের যাঁরা স্বেচ্ছাশ্রম দিতে ইচ্ছুক, তঁারা ধান কেটে টাকা তুলতে পারেন। এমন সিদ্ধান্ত প্রচারিত হওয়ার পর গ্রামের বিভিন্ন বয়সের বেশ কয়েকজন নারী এগিয়ে এ। শুরু হলো ধান কাটা। কোনো দিন ৬০-৭০ জন, কোনো দিন ৩০-৪০ জন নারী কাজ করেছেন।
গ্রামের বৃদ্ধা অংমা চুঅং মারমাও (৬৫) অংশ নিয়েছেন ধান কাটায়। তিনি বলেন, ‘বয়স অনেক হয়েছে। পুণ্যের কাজ করতে হলে বয়স কোনো ব্যাপার নয়। গ্রামের অনেকেই ধান কাটছে। আমিও অংশ নিলাম। গ্রামের তরুণীরা অনেকে উৎসাহ এগিয়ে এসেছেন।’
গ্রামের আরেক নারী ক্রাজাই মারমা জানান, ছোট-বড় সবাই মিলে উৎসবমুখর পরিবেশে কাজ করছি। এতে মজাই আলাদা। এক গৃহস্থের ধান কাটা শুরু করলে কিছু সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। কারণ, একসঙ্গে অনেকে কাজ করেছে। সবার মধ্যে ছিল প্রবল উৎসাহ।
গোলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্ঞান রঞ্জন ত্রিপুরা বলেন, ‘হেডম্যান পাড়াবাসীদের উদ্যোগের কথা শুনেছি। এই মহৎ উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এটি একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।’
গ্রামবাসী জানান, ফসল তোলার মৌসুম বলে গ্রামের পুরুষেরা ব্যস্ত ছিল। এ জন্য নারীরাই এই সেবামূলক কাজে অংশ নিয়েছে। এ পর্যন্ত তঁারা সাড়ে ছয় একর জমির ধান কেটেছেন। ফ্রিজ কেনার টাকাও জোগাড় হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা এখন চাইছে আগামী দিনেও একই রকম উদ্যোগ নিয়ে বৌদ্ধবিহারের জন্য বড় ধরনের কাজ কারতে।
সূত্র : দৈনিক প্রথম আলো


No comments
Post a Comment