রাখাইনদের রক্ষা করবে কে?
পটুয়াখালী ও বরগুনা অঞ্চলের রাখাইন আদিবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ হচ্ছে। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন তাদের অস্তিত্ব ভয়াবহ সংকটাপূর্ণ। ওই অঞ্চলের রাখাইনরা কেমন আছে?—এটা বোঝার জন্য নাগরিক সমাজের অংশ হিসেবে আমরা ১১-১৫ সেপ্টেম্বর রাখাইন-অধ্যুষিত অঞ্চল বরগুনার তালতলী উপজেলা ও পটুয়াখালীর কলাপাড়া, খেপুপাড়া, কবিরাজপাড়া ও কালাচানপাড়া এবং কুয়াকাটার দখলকৃত পুরোনো বৌদ্ধবিহার ও শ্মশান এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখি। পরিদর্শনকালে এলাকার বিভিন্ন স্থান ও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং রাখাইন নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন স্তরের নাগরিক, প্রশাসন ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করি।
সারা দেশে আদিবাসীরা নানাভাবে শোষণ, বঞ্চনা, ভূমি উচ্ছেদ ও নানা হুমকি-ধমকির মধ্যে দিনাতিপাত করছে, এটা আমরা জানি, কিন্তু পটুয়াখালী ও বরগুনা অঞ্চলের রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর অবস্থা যারপরনাই শোচনীয়। রাখাইনরা প্রথম এ এলাকায় কুয়া খনন করেছিল, তাই নাম হয়েছে কুয়াকাটা। অধিকাংশ রাখাইন আদিবাসী আজ দেশান্তরি, বিপদাপন্ন; সংখ্যালঘু নয় বরং তারা সংখ্যাশূন্য হতে চলেছে। ১৭ শতকের শুরুতে এ অঞ্চলে প্রথম বসতি গড়তে যারা বনজঙ্গল কেটে আবাদি জমি তৈরি করে অঞ্চলকে বসবাসযোগ্য করেছিল, যেখানে কয়েক দশক আগেও লক্ষাধিক রাখাইনের পদচারণে মুখরিত ছিল, সেখানে তাদের সংখ্যা বর্তমানে মাত্র আড়াই হাজারে নেমে এসেছে। ১৯৪৮ সালে পটুয়াখালীতে ১৪৪টি ও বরগুনায় ৯৩টি রাখাইনপাড়া ছিল, বর্তমানে সেখানে যথাক্রমে ২৬টি ও ১৩টি পাড়া টিকে আছে।
কবিরাজপাড়ায় যাওয়ার সড়কই বলে দেয় রাষ্ট্রে নাগরিক-সুবিধা কতটুকু আছে, অপশাসন আর দুর্নীতির ছোঁয়া সর্বত্র। স্থানীয় সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে নাগরিক কমিটির পক্ষÿ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ফোন করা হয়, কিন্তু তিনি সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হন। এখানকার রাখাইনদের ২০০ বছরের পুরোনো পুকুর আজ দখলের পাঁয়তারা চলছে; নানা আতঙ্কের মধ্যে তারা বাস করছে। একসময় তারাই এ এলাকায় প্রায় সব জমির মালিক ছিল। নিজস্ব ভূমি ফিরে পাওয়ার বদলে উল্টো তাদেরই বিরুদ্ধে ভূমিখেকোরা তিন-চারটি করে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে; মামলার খরচ জোগাতে জোগাতে রাখাইনরা একে একে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।
সেখানকার ভূমিদস্যুরা রাখাইনদের উপাসনালয়কেও তাদের দখল থেকে ছাড় দেয়নি। শতাব্দীপ্রাচীন কুয়াকাটা বৌদ্ধবিহারের দশমিক ৯৯ শতাংশ জমির অধিকাংশ দখল হয়ে গেছে। দখলদারির তালিকায় স্থানীয় প্রশাসনও আছে, স্থানীয় পৌর ভবনের প্রস্তাবিত ভবন নির্মাণের জন্য বৌদ্ধবিহারের জায়গা দখল করা হয়েছে। দেবোত্তর সম্পত্তি কখনো বিক্রয়যোগ্য নয়, কিন্তু একশ্রেণির সরকারি কর্মকর্তার যোগসাজশে মিথ্যা দলিলের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে রাখানইদের উপাসনালয়ের জমির অনেকাংশ। ১৯০৬ সালে এ এলাকায় ১৯টি বৌদ্ধমন্দির ও বিহার ছিল, সেখানে আজ এখানে একটি মন্দির কোনোরকমে টিকে আছে। চুরি হয়ে গেছে ভগবান বুদ্ধের পিতল, পাথর, কাঠ ও চুনাপাথরে নির্মিত মূর্তি। এমনকি কালাচানপাড়ায় তাদের ২৭ শতাংশ জমির ওপর শ্মশানটি বেদখল হয়ে আছে দীর্ঘদিন। অভিযোগ আছে, শ্মশানের ২৩ শতাংশ জমি দখল করেছেন স্থানীয় সোহরাব হোসেন। এ ছাড়া তালতলী সদর উপজেলার শ্মশান ও তালুকদারপাড়ার শ্মশান দখল হয়ে গেছে। কালাচানপাড়ার পুকুরের পূর্বাংশ দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ আছে স্থানীয় মেম্বার হানিফ মওলানা, ইউসুফ হাজি, জাফর হাজি গংেয়র বিরুদ্ধে।
জন্মনিবন্ধন সনদ থাকা সত্ত্বেও রাখাইনদের রোহিঙ্গা হিসেবে চিহ্নিত করে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে গড়িমসি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। আবার সত্যিকারের রোহিঙ্গারা এসে ঠিকই এখানে নাগরিক হয়ে যাচ্ছে। এ-সংক্রান্ত প্রমাণপত্র আমরা সঙ্গে নিয়ে এসেছি। রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, সংগীত, নৃত্য, লোকগাথা ও ভাষা আজ বিলুপ্তির পথে। মাতৃভাষায় শিক্ষার সুযোগ না থাকা, সাংস্কৃতিক একাডেমি না থাকার কারণে ঐতিহ্যবাহী রাখাইন সংস্কৃতি বিলীন হওয়ার পথে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে বৌদ্ধধর্মীয় বই ও শিক্ষক–সংকটের নামে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে নানা ছলে ইসলামি শিক্ষা পড়ানো হচ্ছে। শুধু কিছু রাখাইন নারী তাদের তাঁত ও বুননশিল্প টিকিয়ে রেখেছেন। যথেষ্ট লাভজনক না হওয়ায় বর্তমানে এ তাঁতশিল্পও ধ্বংসের মুখে।
রাখাইনরা সরকারের বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম থেকেও বঞ্চিত। বিভিন্ন পাড়ার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তারা বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, গর্ভবতী নারী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বেকার ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফ, প্রতিবন্ধী ভাতার কোনোটিই পান না।
তাই আমরা মনে করি, অবিলম্বে রাখাইনদের দখলকৃত ভূমি, উপাসনালয় ও শ্মশান দখলমুক্ত করে ফিরিয়ে দিতে হবে; মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ভূমিদস্যু ও দখলবাজদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; পৌরসভার ১৮ সদস্যবিশিষ্ট পরিচালনা কমিটিতে কমপক্ষে তিনজন রাখাইন আদিবাসীকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; রাখাইন ভাষার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে অবিলম্বে রাখাইন ভাষায় শিশুশিক্ষা কার্যক্রম শুরু এবং বিদ্যালয়গুলোয় রাখাইন শিক্ষার্থীদের নিজস্ব ধর্মীয় শিক্ষার সুযোগ দিতে হবে; রাখাইন তাঁতশিল্প টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, প্রশিক্ষণ ও বিপণনের ব্যবস্থা করতে হবে; রাখাইন সংস্কৃতি রক্ষা, বিকাশ ও চর্চার লক্ষ্যে রাখাইন কালচারাল একাডেমিকে সক্রিয় করতে হবে; যেসব রাখাইনপাড়ার নাম বদলে দেওয়া হয়েছে, সেগুলোকে আবার আগের রাখাইন নামে চিহ্নিত করতে হবে; রাখাইনদের জমি বাঙালিদের কাছে বিক্রি বন্ধে প্রজাস্বত্ব আইন-১৯৫০-এর কঠোর প্রয়োগ করতে হবে; মৃতদেহ সৎকারে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে জায়গা বরাদ্দ দিতে হবে; ভূমিদস্যু, স্থানীয় টাউট ও সাবেক ভূমি কর্মকতা-কর্মচারীদের সিন্ডিকেট ভেঙে অবৈধ হাউজিং ব্যবসা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে; সরকারের কুয়াকাটা মাস্টার প্ল্যানে রাখাইন গ্রামকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; সমতলের আদিবাসীদের ভূমিরক্ষায় পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করতে হবে।
সারা দেশে আদিবাসীরা নানাভাবে শোষণ, বঞ্চনা, ভূমি উচ্ছেদ ও নানা হুমকি-ধমকির মধ্যে দিনাতিপাত করছে, এটা আমরা জানি, কিন্তু পটুয়াখালী ও বরগুনা অঞ্চলের রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর অবস্থা যারপরনাই শোচনীয়। রাখাইনরা প্রথম এ এলাকায় কুয়া খনন করেছিল, তাই নাম হয়েছে কুয়াকাটা। অধিকাংশ রাখাইন আদিবাসী আজ দেশান্তরি, বিপদাপন্ন; সংখ্যালঘু নয় বরং তারা সংখ্যাশূন্য হতে চলেছে। ১৭ শতকের শুরুতে এ অঞ্চলে প্রথম বসতি গড়তে যারা বনজঙ্গল কেটে আবাদি জমি তৈরি করে অঞ্চলকে বসবাসযোগ্য করেছিল, যেখানে কয়েক দশক আগেও লক্ষাধিক রাখাইনের পদচারণে মুখরিত ছিল, সেখানে তাদের সংখ্যা বর্তমানে মাত্র আড়াই হাজারে নেমে এসেছে। ১৯৪৮ সালে পটুয়াখালীতে ১৪৪টি ও বরগুনায় ৯৩টি রাখাইনপাড়া ছিল, বর্তমানে সেখানে যথাক্রমে ২৬টি ও ১৩টি পাড়া টিকে আছে।
কবিরাজপাড়ায় যাওয়ার সড়কই বলে দেয় রাষ্ট্রে নাগরিক-সুবিধা কতটুকু আছে, অপশাসন আর দুর্নীতির ছোঁয়া সর্বত্র। স্থানীয় সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে নাগরিক কমিটির পক্ষÿ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ফোন করা হয়, কিন্তু তিনি সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হন। এখানকার রাখাইনদের ২০০ বছরের পুরোনো পুকুর আজ দখলের পাঁয়তারা চলছে; নানা আতঙ্কের মধ্যে তারা বাস করছে। একসময় তারাই এ এলাকায় প্রায় সব জমির মালিক ছিল। নিজস্ব ভূমি ফিরে পাওয়ার বদলে উল্টো তাদেরই বিরুদ্ধে ভূমিখেকোরা তিন-চারটি করে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে; মামলার খরচ জোগাতে জোগাতে রাখাইনরা একে একে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।
সেখানকার ভূমিদস্যুরা রাখাইনদের উপাসনালয়কেও তাদের দখল থেকে ছাড় দেয়নি। শতাব্দীপ্রাচীন কুয়াকাটা বৌদ্ধবিহারের দশমিক ৯৯ শতাংশ জমির অধিকাংশ দখল হয়ে গেছে। দখলদারির তালিকায় স্থানীয় প্রশাসনও আছে, স্থানীয় পৌর ভবনের প্রস্তাবিত ভবন নির্মাণের জন্য বৌদ্ধবিহারের জায়গা দখল করা হয়েছে। দেবোত্তর সম্পত্তি কখনো বিক্রয়যোগ্য নয়, কিন্তু একশ্রেণির সরকারি কর্মকর্তার যোগসাজশে মিথ্যা দলিলের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে রাখানইদের উপাসনালয়ের জমির অনেকাংশ। ১৯০৬ সালে এ এলাকায় ১৯টি বৌদ্ধমন্দির ও বিহার ছিল, সেখানে আজ এখানে একটি মন্দির কোনোরকমে টিকে আছে। চুরি হয়ে গেছে ভগবান বুদ্ধের পিতল, পাথর, কাঠ ও চুনাপাথরে নির্মিত মূর্তি। এমনকি কালাচানপাড়ায় তাদের ২৭ শতাংশ জমির ওপর শ্মশানটি বেদখল হয়ে আছে দীর্ঘদিন। অভিযোগ আছে, শ্মশানের ২৩ শতাংশ জমি দখল করেছেন স্থানীয় সোহরাব হোসেন। এ ছাড়া তালতলী সদর উপজেলার শ্মশান ও তালুকদারপাড়ার শ্মশান দখল হয়ে গেছে। কালাচানপাড়ার পুকুরের পূর্বাংশ দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ আছে স্থানীয় মেম্বার হানিফ মওলানা, ইউসুফ হাজি, জাফর হাজি গংেয়র বিরুদ্ধে।
জন্মনিবন্ধন সনদ থাকা সত্ত্বেও রাখাইনদের রোহিঙ্গা হিসেবে চিহ্নিত করে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে গড়িমসি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। আবার সত্যিকারের রোহিঙ্গারা এসে ঠিকই এখানে নাগরিক হয়ে যাচ্ছে। এ-সংক্রান্ত প্রমাণপত্র আমরা সঙ্গে নিয়ে এসেছি। রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, সংগীত, নৃত্য, লোকগাথা ও ভাষা আজ বিলুপ্তির পথে। মাতৃভাষায় শিক্ষার সুযোগ না থাকা, সাংস্কৃতিক একাডেমি না থাকার কারণে ঐতিহ্যবাহী রাখাইন সংস্কৃতি বিলীন হওয়ার পথে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে বৌদ্ধধর্মীয় বই ও শিক্ষক–সংকটের নামে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে নানা ছলে ইসলামি শিক্ষা পড়ানো হচ্ছে। শুধু কিছু রাখাইন নারী তাদের তাঁত ও বুননশিল্প টিকিয়ে রেখেছেন। যথেষ্ট লাভজনক না হওয়ায় বর্তমানে এ তাঁতশিল্পও ধ্বংসের মুখে।
রাখাইনরা সরকারের বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম থেকেও বঞ্চিত। বিভিন্ন পাড়ার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তারা বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, গর্ভবতী নারী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বেকার ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফ, প্রতিবন্ধী ভাতার কোনোটিই পান না।
তাই আমরা মনে করি, অবিলম্বে রাখাইনদের দখলকৃত ভূমি, উপাসনালয় ও শ্মশান দখলমুক্ত করে ফিরিয়ে দিতে হবে; মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ভূমিদস্যু ও দখলবাজদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; পৌরসভার ১৮ সদস্যবিশিষ্ট পরিচালনা কমিটিতে কমপক্ষে তিনজন রাখাইন আদিবাসীকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; রাখাইন ভাষার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে অবিলম্বে রাখাইন ভাষায় শিশুশিক্ষা কার্যক্রম শুরু এবং বিদ্যালয়গুলোয় রাখাইন শিক্ষার্থীদের নিজস্ব ধর্মীয় শিক্ষার সুযোগ দিতে হবে; রাখাইন তাঁতশিল্প টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, প্রশিক্ষণ ও বিপণনের ব্যবস্থা করতে হবে; রাখাইন সংস্কৃতি রক্ষা, বিকাশ ও চর্চার লক্ষ্যে রাখাইন কালচারাল একাডেমিকে সক্রিয় করতে হবে; যেসব রাখাইনপাড়ার নাম বদলে দেওয়া হয়েছে, সেগুলোকে আবার আগের রাখাইন নামে চিহ্নিত করতে হবে; রাখাইনদের জমি বাঙালিদের কাছে বিক্রি বন্ধে প্রজাস্বত্ব আইন-১৯৫০-এর কঠোর প্রয়োগ করতে হবে; মৃতদেহ সৎকারে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে জায়গা বরাদ্দ দিতে হবে; ভূমিদস্যু, স্থানীয় টাউট ও সাবেক ভূমি কর্মকতা-কর্মচারীদের সিন্ডিকেট ভেঙে অবৈধ হাউজিং ব্যবসা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে; সরকারের কুয়াকাটা মাস্টার প্ল্যানে রাখাইন গ্রামকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; সমতলের আদিবাসীদের ভূমিরক্ষায় পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করতে হবে।
রোবায়েত ফেরদৌস, মেইন থিন প্রমিলা, রাশেদ রাইন, দীপায়ন খীসা, সুবোধ এম বাস্কে, আসমাউল হুসনা ও সেলিম সামাদ
লেখকেরা নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে সরেজমিনে পরিদর্শন করে লেখাটি তৈরি করেছেন।
সূত্র : প্রথম আলো
No comments
Post a Comment