চাঁপাইনবাবগঞ্জে লংমার্চ কর্মসূচি পালিত হয়
আদিবাসী নেত্রীকে যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং সমতলের আদিবাসীদের জন্য আলাদা ভূমি কমিশন গঠনের দাবিতে গতকাল বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে লংমার্চ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সেখানে বক্তারা বলেছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ঘরে ফিরবেন না।জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার আড্ডা এলাকা থেকে বেলা ১১টার দিকে এ লংমার্চ শুরু হয়। কিছু পথ হেঁটে এবং কিছু পথ বাসে চেপে লংমার্চটি নাচোল ও আমনুরা হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পথে ধানসুরা ও নাচোল বাসস্ট্যান্ডে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
লংমার্চের উদ্বোধন করে আদিবাসীবিষয়ক সংসদীয় ককাসের আহ্বায়ক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসীরাও রক্ত দিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রতি ইঞ্চি জায়গায় তাঁদের অধিকার আছে। তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব এই রাষ্ট্রের। কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্র তাঁদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, সাংসদ উষাতন তালুকদার, জাতীয় মহিলা পরিষদ আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদিকা কাজী সুফিয়া আক্তার, পরিষদের রাজশাহী শাখার সভাপতি রাশেদা খালেক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহবুবা কানিজ, আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন, সাধারণ সম্পাদক সুবিন চন্দ্র মুন্ডা প্রমুখ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলার দুই সহস্রাধিক আদিবাসী নারী ও পুরুষ লংমার্চে অংশ নেন। জাতীয় আদিবাসী পরিষদ আয়োজিত এ কর্মসূচিতে প্রগতিশীল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের কর্মীরাও যোগ দেন।
লংমার্চ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অন্যান্যের মধ্যে বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, দলের রাজশাহী জেলা সমন্বয়ক দেবাশীষ রায় ও নওগাঁ জেলা সমন্বয়ক জয়নাল আবেদিন বক্তব্য দেন। এ সময় নির্যাতিত আদিবাসী নেত্রীর মেয়ে বলেন, ‘আমাদের জমি থাকাটাই কি অপরাধ? জমির জন্যই আমার মায়ের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা কি নিরাপদে এই দেশে থাকতে পারব না?’
সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি পাঠানো হয়। ৪ আগস্ট গোমস্তাপুরে আদিবাসী এক নারীকে যৌন নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
সূত্র : প্রথম আলো

No comments
Post a Comment