সিএইচটি কমিশনের অভিযোগ মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই পার্বত্য চট্টগ্রামে
পার্বত্য চট্টগ্রামে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। সেখানে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মানুষের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখারও স্বাধীনতা নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিশন (সিএইচটি কমিশন) এ অভিযোগ করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলে সিএইচটি কমিশন। সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রাম সফরের সময় কমিশন সদস্যদের বহনকারী গাড়িতে হামলা ও সফরের বিষয়ে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কমিশনের সদস্য ও ট্র্যান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। তিনি অভিযোগ করেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমির একটি বড় অংশ সাধারণ পাহাড়ি বা বাঙালিদের হাতে নেই। এগুলো চলে গেছে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, নিরাপত্তা বাহিনী, বেসরকারি কোম্পানি ও সহিংস ভূমিদস্যুদের হাতে। সেখানকার জায়গাজমি, রাবারবাগান, সেগুনবাগান, অন্যান্য ব্যবসায়িক সম্পত্তিও প্রভাবশালীদের হাতে। কিন্তু তাঁরা কেউ পার্বত্য চট্টগ্রামে বাস করেন না। এই গোষ্ঠী শান্তিচুক্তির ভূমি কমিশনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ধারার বাস্তবায়ন চায় না।
সংবাদ সম্মেলনে কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন ইফতেখারুজ্জামান। এর মধ্যে রয়েছে পাহাড়িদের জমি ‘বেদখল করা’ রাষ্ট্রীয় সংস্থা, বেসরকারি কোম্পানি ও সব ধরনের ভূমিদস্যুকে প্রতিহত করতে সরকারকে চাপ দেওয়া, সরকারি কাজে জমি নিতে হলে সংশ্লিষ্টদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও পুনর্বাসিত করা, পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টির অপচেষ্টা প্রতিহত করা ইত্যাদি।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সিএইচটি কমিশনের কো-চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ ও প্রশাসন তাঁদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
পুলিশি পাহারায় চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে গত শনিবার রাঙামাটির ওমদা মিয়া হিল এলাকায় সিএইচটি কমিশনের সদস্যদের বহনকারী গাড়িতে হামলা হয়। এতে ইফতেখারুজ্জামান, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কমিশনের গবেষক ইলিরা দেওয়ান এবং রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনু ইমতিয়াজ সোহেল আহত হন।
এ হামলার জন্য বাঙালিদের সংগঠন সম-অধিকার আন্দোলনসহ ছয় সংগঠনকে দায়ী করেছে সিএইচটি কমিশন। তবে সম-অধিকার আন্দোলন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
No comments
Post a Comment