চট্টগ্রাম
বন্দরস্থ ইপিজেডের “বন্ড শু” নামক প্রতিষ্ঠানে পাহাড়ি কর্মকর্তা এবং
বাঙালি শ্রমিকের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে আজ বিকালে ৪ টার পরে
পাহাড়ি এবং শ্রমিকদের মাঝে একটি সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল
(হয়েছে কিনা জানা নেই)। কিন্তু এরপরও আনুমানিক ৯ টার পরে ব্যারিস্টার
কলেজ এলাকায় বাঙালি শ্রমিকরা পরিকল্পিতভাবে পাহাড়ি শ্রমিকদের উপর ঝাঁপিয়ে
পড়ে এলোপাথাড়িভাবে ছুরিকাঘাত করে। ৬ জন পাহাড়ির অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং আরও
১৫ থেকে ২০ জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তথ্যটুকু সংগ্রহ
করেছেন প্রিয়াংশু দাদা। আজ নিরাপত্তার কারণে পাহাড়িরা কেউ অফিসে যেতে পারছে না।
বলার অপেক্ষা রাখে না এলাকার পরিস্থিতি
এখন উত্তপ্ত। যে ব্যারিস্টার কলেজ এলাকায় পাহাড়িদের ঘন আবাস,
দোকানপাট-ব্যবসা রয়েছে সেখানেই পাহাড়িরা এমন হিংস্র আক্রমণের শিকার হল!
এটা কোন পাহাড়ি এলাকা নয় যে হামলাকারীদের সেটেলার হিসেবে চিহ্নিত করা
যাবে; এটা বন্দর নগরীর বুকে ঘটা একটি ঘটনা। একটি তর্ককে কেন্দ্র করে
কর্মকর্তা-কর্মচারীর দন্দকে পরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক হামলায় পরিণত করার
দায়ভার কার সে বাঙালি হোক আর পাহাড়িই হোক তার বিচার চাই।
রাষ্ট্র পাহাড়ি-বাঙালির শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিয়ে কতটুকু ভাবে তা এই
ঘটনা নিয়ে রাষ্ট্রের পরবর্তী পদক্ষেপই বলে দেবে। এখন মাথার ভেতর কেবলই
একটা বিষয় ঘুরপাক খাচ্ছে যে পাহাড়িরা আদৌ এই বৈষম্যপূর্ণ রাষ্ট্রে নিরাপদ
তো?
No comments
Post a Comment