Home
/
পার্বত্য চট্টগ্রাম
/
“হেলাফেলা” টেলিফিল্মটি দেখে মনে হচ্ছে আজ চাকমা সমাজে অবক্ষয়ের মাত্রাটি বেশী মাত্রায় বেড়ে গেছে
“হেলাফেলা” টেলিফিল্মটি দেখে মনে হচ্ছে আজ চাকমা সমাজে অবক্ষয়ের মাত্রাটি বেশী মাত্রায় বেড়ে গেছে
“শুকনা নন্দরাম উদন্দি ছদক যুবসংঘ” নামের একটি সংগঠন “হেলাফেলা” নামের চাকমা টেলিফিল্মটি দেখা হলো।
কোন জাতির চলচ্চিত্র, সাহিত্যে ফুটে উঠে সেই জাতির সামাজিক অবস্থান, মূল্যবোধ, চেতনা।
এই “হেলাফেলা” টেলিফিল্মটি দেখে মনে হচ্ছে আজ চাকমা সমাজে অবক্ষয়ের
মাত্রাটি মনে হয় বেশী মাত্রায় বেড়ে গেছে। যারা ফিল্মটি বানিয়েছে তাদের
প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, এ ধরনের নিম্ন রুচিসম্পন্ন স্থুলতা না দেখালেই
পারতেন। নিম্নমানের বাংলা সিনেমা থেকে প্রভাবিত এই ছবিটিতে উঠে এসেছে একদল
উচ্ছৃঙ্খল চাকমা যুবক কর্তৃক মেয়ে অপহরন, তারপর ধর্ষন।
কতটুকু
নিম্নমানের চিন্তাধারা থাকলে চাকমা সমাজে অভূতপূর্ব এসব ঘটনাকে মানুষের
সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা। শুধু চাকমা সমাজে নয়,
জুম্ম জাতির কোন জাতিতেই মেয়ে অপহরন, এবং ধর্ষনে ঘটনা কখনো ঘটেনি। এটি
বিকৃত মানসিকতার কিছু যুবকের অবক্ষয়তার উপস্থাপন ছাড়া কিছু নয়।
ফিল্মটির কাহিনী এবং মাল-মশলাদার কুংফু ফাইটিং দেখে যতটা না উপহাসের সাথে
হাসতে হয়, তার চাইতে বেশী দীর্ঘশ্বাস চলে আসে হতাশায়, কষ্টে।
একটি জিনিষ পরিষ্কার, নাটক-চলচ্চিত্র বানাচ্ছি এটি অত্যন্ত ইতিবাচক এবং
প্রশংসাযোগ্য, কিন্তু নাটক-চলচ্চিত্র করার নামে নিজ জাতির সংস্কৃতি, সমাজ
ব্যবস্থা, মূল্যবোধের বিকৃত উপস্থাপন কোনভাবেই মানা যায়না।
এই
“হেলাফেলা” চলচ্চিত্রে যেভাবে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা, যুব সমাজকে উপস্থাপন
করা হয়েছে এটি আত্মবিধ্বংসী এবং প্রকৃত জুম্ম চেতনাহীন কিছু মানুষের
মূর্খতা আর নিম্ন রুচির প্রকাশ বলেই ধরে নিতে হবে।
এই “হেলাফেলা”-র
মতোই ইদানিং অনেক চলচ্চিত্র বের হচ্ছে। ভারত থেকে বের হওয়া তথাকথিত
জনপ্রিয় চলচ্চিত্র “উন্দুচ্চ্য বৈদ্য”সহ অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলো যদি
বিশ্লেষন করি, এসব নাটক-চলচ্চিত্রগুলোতে চাকমা সমাজ ব্যবস্থার বিকৃত
উপস্থাপন এবং স্থুল বিনোদনের মাধ্যমে গাজাখুরি, অবাস্তব কিছু গল্প আমাদেরকে
গিলানো হচ্ছে।
জুম্ম সমাজ ব্যবস্থার সত্যিকার অবস্থা, আমাদের
ঐতিহ্য, আমাদের শিখড় তুলে ধরার ক্ষেত্রে জুম্ম ঈসথেতিক কাউন্সিল(জাক) এর
নাটক আর চলচ্চিত্রগুলোর কথা উদাহারন হিসেবে নিয়ে আসতে হয়। অপ্রতুল বাজেট,
নিম্ন কারিগরীমান এবং প্রযুক্তির ব্যবহারের পরেও জাক তাদের সক্ষমতার
সর্বোচ্চ দিয়ে অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝেও কিছু মানসম্মন চলচ্চিত্র/টেলিফিল্ম
আমাদের উপহার দিয়েছে। কিন্তু অনেক বাস্তবতার কারনে সেই অগ্রযাত্রা জাক
অব্যাহত রাখতে পারছেনা।
চলচ্চিত্র হওয়া উচিত, কিন্তু চলচ্চিত্রের
নামে “হেলাফেলা”র মতো নিম্ন রুচি সম্পন্ন চলচ্চিত্র আমাদের সমাজ
ব্যবস্থাকে আরো অবক্ষয়িত করবে, সংস্কৃতি, চেতনাকে করবে কলুষিত, যুব সমাজকে
করবে বিকৃত।
“শুকনা নন্দরাম উদন্দি ছদক যুবসংঘ” নামের একটি সংগঠন “হেলাফেলা” নামের চাকমা টেলিফিল্মটি দেখা হলো।
কোন জাতির চলচ্চিত্র, সাহিত্যে ফুটে উঠে সেই জাতির সামাজিক অবস্থান, মূল্যবোধ, চেতনা।
এই “হেলাফেলা” টেলিফিল্মটি দেখে মনে হচ্ছে আজ চাকমা সমাজে অবক্ষয়ের মাত্রাটি মনে হয় বেশী মাত্রায় বেড়ে গেছে। যারা ফিল্মটি বানিয়েছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, এ ধরনের নিম্ন রুচিসম্পন্ন স্থুলতা না দেখালেই পারতেন। নিম্নমানের বাংলা সিনেমা থেকে প্রভাবিত এই ছবিটিতে উঠে এসেছে একদল উচ্ছৃঙ্খল চাকমা যুবক কর্তৃক মেয়ে অপহরন, তারপর ধর্ষন।
কতটুকু নিম্নমানের চিন্তাধারা থাকলে চাকমা সমাজে অভূতপূর্ব এসব ঘটনাকে মানুষের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা। শুধু চাকমা সমাজে নয়, জুম্ম জাতির কোন জাতিতেই মেয়ে অপহরন, এবং ধর্ষনে ঘটনা কখনো ঘটেনি। এটি বিকৃত মানসিকতার কিছু যুবকের অবক্ষয়তার উপস্থাপন ছাড়া কিছু নয়।
ফিল্মটির কাহিনী এবং মাল-মশলাদার কুংফু ফাইটিং দেখে যতটা না উপহাসের সাথে হাসতে হয়, তার চাইতে বেশী দীর্ঘশ্বাস চলে আসে হতাশায়, কষ্টে।
একটি জিনিষ পরিষ্কার, নাটক-চলচ্চিত্র বানাচ্ছি এটি অত্যন্ত ইতিবাচক এবং প্রশংসাযোগ্য, কিন্তু নাটক-চলচ্চিত্র করার নামে নিজ জাতির সংস্কৃতি, সমাজ ব্যবস্থা, মূল্যবোধের বিকৃত উপস্থাপন কোনভাবেই মানা যায়না।
এই “হেলাফেলা” চলচ্চিত্রে যেভাবে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা, যুব সমাজকে উপস্থাপন করা হয়েছে এটি আত্মবিধ্বংসী এবং প্রকৃত জুম্ম চেতনাহীন কিছু মানুষের মূর্খতা আর নিম্ন রুচির প্রকাশ বলেই ধরে নিতে হবে।
এই “হেলাফেলা”-র মতোই ইদানিং অনেক চলচ্চিত্র বের হচ্ছে। ভারত থেকে বের হওয়া তথাকথিত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র “উন্দুচ্চ্য বৈদ্য”সহ অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলো যদি বিশ্লেষন করি, এসব নাটক-চলচ্চিত্রগুলোতে চাকমা সমাজ ব্যবস্থার বিকৃত উপস্থাপন এবং স্থুল বিনোদনের মাধ্যমে গাজাখুরি, অবাস্তব কিছু গল্প আমাদেরকে গিলানো হচ্ছে।
জুম্ম সমাজ ব্যবস্থার সত্যিকার অবস্থা, আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের শিখড় তুলে ধরার ক্ষেত্রে জুম্ম ঈসথেতিক কাউন্সিল(জাক) এর নাটক আর চলচ্চিত্রগুলোর কথা উদাহারন হিসেবে নিয়ে আসতে হয়। অপ্রতুল বাজেট, নিম্ন কারিগরীমান এবং প্রযুক্তির ব্যবহারের পরেও জাক তাদের সক্ষমতার সর্বোচ্চ দিয়ে অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝেও কিছু মানসম্মন চলচ্চিত্র/টেলিফিল্ম আমাদের উপহার দিয়েছে। কিন্তু অনেক বাস্তবতার কারনে সেই অগ্রযাত্রা জাক অব্যাহত রাখতে পারছেনা।
চলচ্চিত্র হওয়া উচিত, কিন্তু চলচ্চিত্রের নামে “হেলাফেলা”র মতো নিম্ন রুচি সম্পন্ন চলচ্চিত্র আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে আরো অবক্ষয়িত করবে, সংস্কৃতি, চেতনাকে করবে কলুষিত, যুব সমাজকে করবে বিকৃত।
কোন জাতির চলচ্চিত্র, সাহিত্যে ফুটে উঠে সেই জাতির সামাজিক অবস্থান, মূল্যবোধ, চেতনা।
এই “হেলাফেলা” টেলিফিল্মটি দেখে মনে হচ্ছে আজ চাকমা সমাজে অবক্ষয়ের মাত্রাটি মনে হয় বেশী মাত্রায় বেড়ে গেছে। যারা ফিল্মটি বানিয়েছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, এ ধরনের নিম্ন রুচিসম্পন্ন স্থুলতা না দেখালেই পারতেন। নিম্নমানের বাংলা সিনেমা থেকে প্রভাবিত এই ছবিটিতে উঠে এসেছে একদল উচ্ছৃঙ্খল চাকমা যুবক কর্তৃক মেয়ে অপহরন, তারপর ধর্ষন।
কতটুকু নিম্নমানের চিন্তাধারা থাকলে চাকমা সমাজে অভূতপূর্ব এসব ঘটনাকে মানুষের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা। শুধু চাকমা সমাজে নয়, জুম্ম জাতির কোন জাতিতেই মেয়ে অপহরন, এবং ধর্ষনে ঘটনা কখনো ঘটেনি। এটি বিকৃত মানসিকতার কিছু যুবকের অবক্ষয়তার উপস্থাপন ছাড়া কিছু নয়।
ফিল্মটির কাহিনী এবং মাল-মশলাদার কুংফু ফাইটিং দেখে যতটা না উপহাসের সাথে হাসতে হয়, তার চাইতে বেশী দীর্ঘশ্বাস চলে আসে হতাশায়, কষ্টে।
একটি জিনিষ পরিষ্কার, নাটক-চলচ্চিত্র বানাচ্ছি এটি অত্যন্ত ইতিবাচক এবং প্রশংসাযোগ্য, কিন্তু নাটক-চলচ্চিত্র করার নামে নিজ জাতির সংস্কৃতি, সমাজ ব্যবস্থা, মূল্যবোধের বিকৃত উপস্থাপন কোনভাবেই মানা যায়না।
এই “হেলাফেলা” চলচ্চিত্রে যেভাবে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা, যুব সমাজকে উপস্থাপন করা হয়েছে এটি আত্মবিধ্বংসী এবং প্রকৃত জুম্ম চেতনাহীন কিছু মানুষের মূর্খতা আর নিম্ন রুচির প্রকাশ বলেই ধরে নিতে হবে।
এই “হেলাফেলা”-র মতোই ইদানিং অনেক চলচ্চিত্র বের হচ্ছে। ভারত থেকে বের হওয়া তথাকথিত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র “উন্দুচ্চ্য বৈদ্য”সহ অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলো যদি বিশ্লেষন করি, এসব নাটক-চলচ্চিত্রগুলোতে চাকমা সমাজ ব্যবস্থার বিকৃত উপস্থাপন এবং স্থুল বিনোদনের মাধ্যমে গাজাখুরি, অবাস্তব কিছু গল্প আমাদেরকে গিলানো হচ্ছে।
জুম্ম সমাজ ব্যবস্থার সত্যিকার অবস্থা, আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের শিখড় তুলে ধরার ক্ষেত্রে জুম্ম ঈসথেতিক কাউন্সিল(জাক) এর নাটক আর চলচ্চিত্রগুলোর কথা উদাহারন হিসেবে নিয়ে আসতে হয়। অপ্রতুল বাজেট, নিম্ন কারিগরীমান এবং প্রযুক্তির ব্যবহারের পরেও জাক তাদের সক্ষমতার সর্বোচ্চ দিয়ে অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝেও কিছু মানসম্মন চলচ্চিত্র/টেলিফিল্ম আমাদের উপহার দিয়েছে। কিন্তু অনেক বাস্তবতার কারনে সেই অগ্রযাত্রা জাক অব্যাহত রাখতে পারছেনা।
চলচ্চিত্র হওয়া উচিত, কিন্তু চলচ্চিত্রের নামে “হেলাফেলা”র মতো নিম্ন রুচি সম্পন্ন চলচ্চিত্র আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে আরো অবক্ষয়িত করবে, সংস্কৃতি, চেতনাকে করবে কলুষিত, যুব সমাজকে করবে বিকৃত।
No comments
Post a Comment