হিলচাদিগাং বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন

বন্দরনগরী চট্টগ্রাম সল্টগোলাক্রসিংস্থ হিলচাদিগাং বৌদ্ধ বিহারে আজ বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন করা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ সাধনাজ্যোতি স্থবির মহোদয়, পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন বিহারের সভাপতি বাবু অমিষ কান্তি দেওয়ান। পঞ্চশীল প্রদান করেন শ্রীমৎ জ্যোতিসার ভিক্ষু মহোদয়। ধর্মদেশনা ও উৎসর্গ কার্য সম্পাদন করেন শ্রীমৎ সাধনাজ্যোতি স্থবির মহোদয়।  অনুষ্ঠান সুচীর মধ্য ছিল বুদ্ধ পূজা, ধর্শদেশনা, প্রদীপ পূজা, সরবতী পূজা ইত্যাদি। অধ্যক্ষ মহোদয় বুদ্ধের জীবন কাহিনী নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন ‍আজকে শুভ বৈশখী পূর্ণিমা এটি ত্রিস্মৃতি বিজরিত দিনও বলা হয়। এই দিনে তথাগত বুদ্ধ জন্ম গ্রহন করেন, ৩৫ বছর বয়সে বুদ্ধ লাভ করেন ও ৮০ বছর বয়সে মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। তাই বৌদ্ধদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। কথিত আছে আগেকার দিনে প্রথমে অগ্রহায়ণ মাসকে অগ্র বা প্রথম মাস হিসেবে গণনা করা হত। ভগবান বুদ্ধের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানোর জন্যই বৈশাখ মাস অগ্র মাস হিসেবে গণনা করা হয়েছে। যদিও সম্রাট আকবর  বাংলা সাল গণনার প্রবক্তা।  আমরা পাহাড়ি বৌদ্ধরা যেভাবে পহেলা বৈশাখকে যেভাবে উদযাপন করে থাকি কিন্তু সেভাবে বৈশাখী পূর্ণিমাকে উদযাপন করি না।  বৌদ্ধ হিসেবে ‍আমাদের বৈশাখী পূর্নিমাকেই যাকজমকপূর্নভাবে পালন করা উচিত। যেহেতু বৈশাখী পূর্ণিমা ‍আমাদের ধর্মের সাথে সম্পৃক্ত। পহেল বৈশাখ ‍আমাদের ভাষার সাথে সম্পৃক্ত নয়। ‍ মূলতঃ তথাগত বুদ্ধের আর্বিভাব, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বাণ এ ত্রিস্মৃতি বিজরিত দিন বৈশাখী পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করেই এই বৈসাবি উৎসব পালন করা উচিত।

No comments

Theme images by 5ugarless. Powered by Blogger.