পুন্য পুরুষের জন্ম
- চিরশান্তি চাকমা
জগতে পূণ্য পুরুষের জন্ম বড়ই দুর্লভ। এরা সর্বত্র জন্ম গ্রহণ করে না। তাঁরা দেবতাদের আহবানে সাড়া দিয়ে সময়ের প্রয়োজনে নিজ পারমী পুরণ করার মানসে বুদ্ধ মাসনকে রক্ষা করার জন্য বহু দেব মানুষ্য হিতের জন্য তথাপি সর্ব জীবের মুক্তি কামনায় পূন্য ভূমি থেকে কেউ জন্ম নিতে চাইলে সর্ব প্রথম সর্ব গুনান্বিতা দানশীলা মহিরাকে মা হিসেবে বেচে নিবেন এটাই সত্য। এই ক্ষণ জন্মা মহাপুরুষ মাতৃ গর্ভে প্রতি সন্ধি গ্রহনের সঙ্গে সঙ্গে মা বাবার সৌভাগ্যের দ্বার খুলে যায়। এই সকল পূন্য পুরুষের আগমনের ফলে জাত, কুল, সামজ ধন্য হয়। তাঁদের জ্ঞানের আলোর মহিমাই চারিদিকে ছড়িয়ে পরে। দেশের আনাচে কানাচে, দেশ থেকে দেশান্তরে ।
ঠিক তদ্রুপ এই ভব সংসারে ক্ষণিকে ন্যায় অন্ধকার জগতকে আলোকিত করার জন্য তথাগত বুদ্ধে নির্বাণ প্রদায়ী সত্য ধর্মকে প্রচার করার জন্য বৌদ্ধ শাসনকে শ্রীবৃদ্ধি করার জন্য দেব মানুষ্য আহবানে সাড়া দিয়ে স্বর্গ থেকে নেমে এই পৃথিবীতে আগমন কালে বান্দরবান জেলায় বোমাং সার্কেলেথেরতম রাজা উক্যাজ সাইন চৌধুরীর পুত্র উহ্লা থোয়াই প্র“র সন্তান উচাহ্লা (গৃহীর নাম) মাতা অংম্রাচিং এর রাজপরিবারকে অলোকিত করে ১৯৫৫ সালে ২২ ডিসেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন অতি অতুলনীয় পারমীবান গুণ সম্পন্ন দেব মানুষ্য পূজ্য গুরুভন্তে শ্রীমৎ উপঞ্ঞাজোত থের ( এল, এল, বি (সম্মান) এল, এল, এম. বি, সি, এস) প্রাক্তন সহকারী র্জজ। এমন পুন্য পুরুষ অপ্রতিরুপ দেশে জন্ম গ্রহণ করে বৌদ্ধ ধর্মে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছেন। সত্যিই ধন্য এই রাজ পরিবার ও অঞ্চলে বৌদ্ধ জনসাধারণ এবং ধন্য বাংলাদেশ।
অতঃপর আমরা যদি বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাসে তাকালেও দেখতে পায় যুগ যুগ ধরে রাজা, মন্ত্রী, শ্রেষ্ঠী কুলবংশরাই বৌদ্ধ ধর্মকে রক্ষা করে আলোকিত করে রেখেছেন। সে দিক থেকেও বিচার করলেও এই পুরুষ সত্ব রাজ পরিবারের আধুনিক জ্ঞানে শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও সরকারী উচ্চপদস্থ লোভনীয় পদ র্জজ চাকুরী ছেড়ে দিয়ে এমনি রাজ সিংহাসনের সংসারের মোহ তাঁেক আবদ্ধ রাখতে পারেনি। তিনি ছিলেন অবিচল ন্যায় পদ থেকে বিচ্ছ্যুত না হয়ে পার্থিব আনন্দের জন্য কখনও লারায়িত হয়ে পরেনি। আনন্দ ও বেদনায় জ্ঞানী ব্যক্তির মন সর্বদা শান্ত ও অবিচল থাকে। তিনি জানতেন মানুষ অবিদ্যার দ্বারা অচ্ছন্ন্ মানুষের মন অবিদ্যা অন্ধকারে নিম্নজ্জিত সুতরাং দুুংখ ভোগ অনিবার্য ।
আজ আমরা আধুনিক শিক্ষায় কিছুটা উন্নতি হলেও কিন্তু বুদ্ধে শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারিনি। অসত্যকে সত্য মনে করে তার পেছনে ছুটতেই চলেছি। কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা এই সত্য মিথ্যা পার্থক্য করার জ্ঞান টুকু আমাদের নেই অথবা জানার চেষ্টাও করি না। আমরা আজ ও হুজুকের ধর্মের মধ্যে পরে আসি। যে যেথায় বলে আমরা সত্যি মনে করি। পাঠকের দৃষ্টি আর্কষণের জন্র কয়েকটা উদারণ দিচ্ছি। যেমন- ১. ফেনীতে সাধুমা কর্তৃক স্বপ্নে পাওয়া সত্য বুদ্ধ ২. টেকনাফে সত্য পুরুষ ৩. দীঘিনালা বাবু ছড়া গ্রামের গরু চোর, শাস্তি পাওয়ার ভয়ে দেবদুত সেজে (প্রচুর লাভ সৎকার লাভ করে বর্তমানে উদাও) নতুবা তাকে ভিক্ষু বানিয়ে ধর্মের নামে ব্যবসা শুরু করেছে। এ অজ্ঞানতা ও সরলতাকে পুজি করে এক শ্রেণী মৌলবাদ ও ধর্মান্ধরা নিজেদের লাভ সৎকারের আশায় সত্যকে মিথ্যা মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে প্রচার করে চলেছে। এরা নিজেদেরকে সর্বজান্তা হিসেবে জাহির করে থাকে। তারা যেমন পাপের ভাগী হয়েছে অন্য দিকে অপরকেও পাপের পথে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
আমরা জাতকে কাপিল মহাথেরোর কথা জানি সোনালি মৎস্য ভগবান বুদ্ধে সন্মুখে আনয়ন করা হয়েছিল। অতীত জীবনি জানার জন্য। বুদ্ধে সাথে কথোপকথন হয়েছিল। তিনি অত্যন্ত জ্ঞানী ও ত্রিপিটক বিশারদ ছিলেন। তার অনেক শিষ্য ও ভক্তবৃন্দ ছিল। সেই গুরূপদের অহংকার বোধের কারণে তার যশ, খ্যাতির কারণে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। সত্যকে মিথ্যা মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে ধর্ম বিকৃত করার কারনে তিনি মহাপাপের ফলে অবিচিনরকে পতিত হয়েছিল এবং তার অনুসারীরাও নরকে পতিত হয়েছিল।
আমরা আরও জানি ভগবান বুদ্ধের সময় অঙ্গুলিমালা গুরদক্ষিণা দেওয়ার জন্য ৯৯৯জন মানুষ হত্যা করেছেন। শুধু মাত্র একটি আঙ্গুলির জন্য গুরু দক্ষিণা দিতে পারছে না। সর্বশেষ তার মনোবাসনা পূর্ণ করতে তাঁর মাকে হত্যা করতে যাচ্ছিলেন। বুদ্ধে মহা করুনায় অঙ্গুলিমালকে উদ্ধার করলেন। ঐ গুরুর উদ্দেশ্যে নিজ মাকে হত্যা করে গুরু দক্ষিণা দিতেন---! তিনি কি কখনও নির্বাণ সাক্ষাৎ পেতেন? অঙ্গুলিমালা এত পারমি বান হওয়া সত্বেও তিনি নিশ্চিত অবিচিনরকে পতিত হতেন। বৌদ্ধ ধর্মে পাঁচটি গুরুকর্মের মধ্যে মাতৃ হত্যা একটি গুরু কর্ম। তাদের জন্য নির্বান দরজা চিরতরে বন্ধ।
আমি এখানে আরও একটি লেখা উদৃত করতে চাই, বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক অনুবুদ্ধ, শ্রাবক বুদ্ধ এবং অর্হৎ নাম শুনা যায়। বাস্তবে র্অহৎ আছে কি নেই এবিষয়ে মন্তব্য করার ক্ষমতা ও দুঃসাহস আমর নেই। তবে বৌদ্ধ সাহিত্য পর্যালোচনা করলে দেখা য্য় যে, বুদ্ধে জীর্বদ্দশায় ভিক্ষু ভিক্ষুণীকে থের এবং থেরী বলা হত। অর্হৎ শব্দটি ব্যাখ্যা করার মত জ্ঞান আমর নেই ব্যাখ্যাও করতে চাই না। শুধু ত্রিপিটকের খুদ্দক নিকায়ের অর্ন্তরগত থের গাথা এবং থেরী গাথা দুটি বই পাঠ করার জন্য বিজ্ঞ মহলের প্রতি অনুরোধ রইল। বই গুলো পড়ে আপনারাই নির্ধারণ করুন। তখনকার অর্হতের সাথে বর্তমান অহর্ৎ এর সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য। নব্য অনুবুদ্ধ, শ্রাবকবুদ্ধ ও অরহতগণের দাপটে পার্বত্য চট্টগ্রামের অনেক প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার এখন বিলুপ্তির পথে। অথচ যে বিহারগুলো একদিন শাসন সদ্ধর্মের কল্যাণে সুতিকাগার ছিল। ড. অমর কান্তি চাকমা ‘সৌরভ’ চাইন্দাসারা স্মারক ১০ফেব্র“য়ারী ২০১২ইং।
বুদ্: বলেছেন, ধর্মশ্রবণ যেমন দুর্লভ তেমনি সৎগুরু পাওয়াও দুর্লভ সৎ গুরু দর্শন লাভ না পেলে সহজ যুকিত্ নেই। এই অমাশিকায় মৈত্রী প্রদীপ আলোশিখার ন্যায় আমাদের মাঝে উপস্তিত হয়েছেন গুরুবন্তে তিনি সেই অবিদ্যা অজ্ঞানতাকে চোখে আঙ্গুল দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তথাগত ভগবান বুদ্ধর দুর্লভ সত্যবাণী প্রচার করে চলেছেন। যার কথাও কাজের মাধ্যমে মিল খুঁেজ পাওয়া যায়। তাঁকে যেভাবে দেখবেন সেভাবে চিনবেন। আজ বাংলাদেশের বৌদ্ধ জনসাধারণ বড়ই সৌভাগ্যবান। এমন পারমী সম্ভার মহাপূন্য পুরুষ গুরুভান্তে এই অঞ্চলে জন্ম গ্রহণ করে বৌদ্ধ ধর্মকে আলোকিত করে শ্রীবৃদ্ধি করেই চলেছেন। তিনি এসেছিলেন বলে এই অঞ্চলে মানুষ উপকৃত হয়েছেন। যেমন দর্ম সুধা বিতরণ করে দেশ গঠনের কাজে সত্যক্রিয়া করে রোগীর সেবা করানো অনাথ আশ্রম ও পরিয়ত্তি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে অনাখ শিশুদের শিক্ষার আলো দিয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য মায়ানমারে প্রেরণ করে। সর্ব প্রথম এই বাংলাদেশে মাতৃজাতিকে সম্মান, বুদ্ধের শাসন উন্নতির কল্পে তিনিই মেশিলা সংঘ প্রতিষ্ঠা করে মহিলাদের মেশিলা হওয়ার জন্য দুর্লভ মানব জন্ম স্বার্থক করে দিয়েছেন। শুধু কি তাই----। না আজ আমরা তথাগত ভগবান বুদ্ধের ধাতু অগ্রমহাশ্রাবক, সারিপ্রত্র. মৌদগ্যালায়ন ধাতু অর্হৎ যশ লাভীশ্রেষ্ঠ র্অহৎ সীবলি এবং সম্প্রতিকালে অর্হৎগণের ধাতুসহ বার্মা সরকার কর্তৃক রাষ্ট্রীয় সংঘ মহানায়ক কমিটির সবাপতি অ¹মহাপন্ডিত অভিধম্ম মহারট্ঠ ভদন্ত উঃ শোভিত মাহথের ১৯৯৪ সালে গুরু ভন্তেকে হস্তান্তর করেন। তিনি দাতু সমুহকে ফাং করে বাংলাদেশে আনয়ন করেন। ঐ মূল্যবান দাতু সমূহ দিয়ে স্থায়ীভবে নিদানের জন্য তিনিউ প্রথম বাংলাদেশে অতি লৌকিক গুন সম্পর্ক বুদ্ধ বুদ্দ দাতু জাদী বা চৈত্য( স্বনূমন্দির নামে খ্যাত) নির্মাণ করে, সর্ব সাধারণে জীবন্ত বুদ্ধে ন্যায় বুদ্ধ দাতু অর্হৎ ঘণের দাতু পূজা করে অপ্রমেয় অপরন্ত পূন্যরাশি অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। এই সারা তিনি অলৌকিক গুণ সম্পন্ন জিন মার জয়ী জাদী, রামনন্দজাদী (কথিত আছে এই ত্রি-চেতনা পূর্ন হয়) এবং সর্বশেষ অনাগত বুদ্দ রামবোধিসত্বের নির্দ্দেশে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে অতি অলৌকিক গুণ সম্পন্ন রাম জাদী নির্মিত হইতেছে। যার গুণ ইদানিং পেতে শুরু করেছেন। কিন্তু বড়ই আশ্চার্য বিষয় এত বড় কর্মযজ্ঞ নির্মাণ করতে বাংলাদেশ সরকার দেশী-বিদেশী দাতা সংস্থা এক পয়সাও দেয়নি।এমন কি এতগুরো স্তাপনা নির্মাণ করতে শিষ্য প্রশিষ্য, দায়ক- দায়িকা ভক্ত অনুরাগীবুন্দের কাছ থেকে এক পয়সা ও রশিদের মাধমে চাঁদা উত্তোলন করেন নাই। হয়ত এটা গুরুভন্তে জন্ম-জন্মান্তরের পারমীর ফল। আমার বিশ্বাস ঐ রকম পারমীবান পুরুষ সত্ত্ব না হলে কারোর পক্সে সম্ভব হবে না।
আমি প্রথম ২৬/০৮/০৫ সালে সিইপিজেড এলাকায় দক্ষিণ হালিশহর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এক ধর্মী অনুষ্ঠানে গুরুবান্তেকে দেখার সৌভাগ্যহয়েছিল। উনার ধর্মদেশনা এতই হৃদয়গ্রাহী তথ্যসমৃদ্ধ। আমার অন্তরে এক শিহরণ বয়ে যায়, হয়ত আমার অতীত সংস্কার জাগ্রত হয়। সে দিগন থেকে গুরুভন্তের পদাংক অনুসরণ করি, দুর থেকে একজন পূজারী হিসেবে। সুযোগ ফেলে চলে যায় পূন্য অর্জনে, বুদ্দের দুর্লভ বাণী শুনার জন্য। আসলে তিনিই তো মহানগুরু যার চায়াতলে এস শীতল অনভব করে নিজেকে সত্য পথে ধাবিত করে। আমার এ লেখা যদি অজ্ঞানবশতঃ কোন ভুল ত্র“ুটি তাকে আমি ক্ষা চেয়ে নিচ্ছি। পরিশেষে যার ধর্ম দেশনার মুনে াামার লেকা সীমিত জ্হানে প্রয়াস মাত্র, সেই মহান গুরু ভন্তেকে শিরে স্থাপন করে বন্দনা করছি।
3 comments
বাংলাদেশের মাটি উর্বর নয় কাজেই কোন পুন্য পুরুষ জন্ম হবেনা কাজেই আপনার লেখা ভূল নিজের পায়ে কুড়াল মারা
রাম লক্ষন সীতা হনুমান, স্বরসতি দেবী
সাধু সাধু সাধু
Post a Comment