মেসেঞ্জারের কথোপকথন শুনতো ফেসবুক কর্মীরা


মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীদের ভয়েস রেকর্ডিং শুনতে এবং সেগুলোর প্রতিলিপি তৈরি করতে শত শত কর্মী নিয়োগ করেছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। সম্প্রতি এই তথ্যটি ফাঁস হয়েছে।
ফেসবুকই সর্বশেষ প্রতিষ্ঠান যারা এ ধরনের কাজে তৃতীয় পক্ষ ব্যবহার করেছে। এর আগে গুগল, অ্যাপল, মাইক্রোসফট ও অ্যামাজন এই কাজ করে সমালোচিত হয়েছে। এবার ফেসবুক একই সমালোচনার মুখে পড়লো।
ফেসবুকের বরাত দিয়ে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ব্যবহারকারীদের মেসেঞ্জারের কথোপকথন শোনার কার্যক্রম এক সপ্তাহ আগে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মেসেঞ্জারের রেকর্ডিং কর্মীদের কাছে সরবরাহ করতো ফেসবুক। তবে কর্তৃপক্ষ এসব রেকর্ডিং কীভাবে সংগ্রহ করতো সেই পদ্ধতি সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
ফেসবুক জানায়, ব্যবহারকারীদের মেসেঞ্জারের কথোপকথনের প্রতিলিপি তৈরি করা হয়েছে ম্যানুয়ালি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিলিপি তৈরির পদ্ধতিটি যেন আরও উন্নত করা যায় সেজন্য এই কাজটি করা হয়েছে।
ফেসবুক আরও জানায়, ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে তখনই কথোপকথনের রেকর্ডিং সংগ্রহ করা হয়েছে যখন তারা মাইক্রোফোনে একসেসে সম্মতি দিয়েছে। অর্থাৎ, আপনি মাইক্রোফোন একসেসে সম্মতি দিয়ে থাকলে আপনার কথোপকথনেরও প্রতিলিপি তৈরি করে থাকতে পারে ফেসবুক।
তথ্যসুত্রঃ বাংলা ট্রিবিউটস, প্রকাশিত: ২০:৫৩, আগস্ট ১৭, ২০১৯ |

No comments

Theme images by 5ugarless. Powered by Blogger.