স্বামীকে আটকে রেখে আদিবাসী নারীকে ধর্ষণ


সাভারের আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় এক আদিবাসী নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত ১৩ আগস্ট আশুলিয়ার ডেন্ডাবর নতুনপাড়া এলাকার মঈন উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।এই ঘটনায় শনিবার রাতে ধর্ষিতা নারী বাদী হয়ে আশুলিয়ায় থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
এ মামলায় রোববার সকালে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর নতুনপাড়া এলাকা থেকে রনি (২১) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি পাবনার আটঘরিয়া থানার পাইকপাড়া গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে। অন্য আসামিরা হলেন- আশুলিয়ার ডেন্ডাবর নতুনপাড়া এলাকার স্থায়ী নিবাসী খোরশেদ আলম খোকনের ছেলে জয় (২২) এবং ফরিদপুর জেলার শামীম (২৬)। আসামি রনি এবং শামীম ডেন্ডাবর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৩ আগস্ট অবৈধভাবে মদ তৈরির অভিযোগ তুলে আদিবাসী দম্পতির ঘরে ঢোকেন ৩ যুবক। তাদের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তারা। এ সময় তারা বাসায় ভাঙচুর করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওই নারীর স্বামীকে মারধর করা হয়। পরে স্বামীকে পাশের ঘরে আটকে রেখে ওই নারীকে তারা পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এ সময় ওই নারীর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইনসহ নগদ প্রায় ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন তারা। চলে যাওয়ার সময় এ ঘটনা কাউকে জানালে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়ে যান ওই তিন যুবক।
আশুলিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু বলেন, আদিবাসী নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে রনি নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছি। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তথ্যসুত্রঃ ipnewsbd আগস্ট ১৮, ২০১৯

No comments

Theme images by 5ugarless. Powered by Blogger.