হিল চাদিগাং বৌদ্ধ বিহারে ১২ জুলাই আষাঢ়ী পূর্ণিমা অনুষ্ঠান আয়োজন

স্বর্ধমপ্রাণ উপাসক-উপাসিকাবৃন্দ,
    হিল চাদিগাং বৌদ্ধ বিহারের পক্ষ থেকে মৈত্রীময় শুভেচ্ছা রইল। আপনারা সবাই জানেন যে, আগামী ১৬/০৭/২০১৯ইং রোজ মঙ্গল বার শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা। কিন্ত এই দিন আষাঢ়ী পূর্ণিমা হলেও শহরাঞ্চলে কর্ম ব্যস্ততাময় কারণে ১২ জুলাই ২০১৯ইং, ২৮ আষাঢ় ১৪২৬ বাংলা, রোজ শুক্রবার আষাঢ়ী পূর্ণিমা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। এই দিনটি বৌদ্ধদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। বর্ণিত আছে, এক আষাঢ়ী পূর্ণিমায় রাজা শুদ্ধোধনের মহিষী রাণী মহামায়া উপোসথ ব্রত গ্রহণ করলেন। সে রাত্রে রাণী মহামায়া স্বপ্নমগ্না হয়ে দেখলেন। পর দিন প্রত্যুষে রাণী মহামায়া রাজা শুদ্ধোধনকে স্বপ্ন বৃত্তান্ত অবহিত করলেন। কালবিলম্ব না-করে রাজা শুদ্ধোধনকে চৌষট্টিজন জ্যোতির্বিদ এনে স্বপ্নের ফল জানতে চাইলেন। তারা বললেন, "মহারাজ চিন্তা করবেন না, আপনার মহিষী সন্তান সম্ভবা। তিনি এমন এক পুত্ররতœ লাভ করবেন যার ফলে বসুন্ধরা ধন্য হবে। সে অনুসারে সিদ্ধার্থ গৌতম জন্ম গ্রহন করেন। আষাঢ় মাসের আরেক পূর্ণিমা রাতে মাত্র ২৯ বৎসর বয়সে তিনি স্ত্রী-পুত্র-রাজ্য সব মায়া ছেড়ে গৃহত্যাগ করেন। গয়ার বোধিদ্রুম মূলে একাধারে ছয় বছর কঠোর তপস্যার পর পরম জ্ঞান "মহাবোধি" লাভ করেন। নবলব্ধ ধর্ম প্রকাশের উদ্দেশ্যে তিনি আরেক এক আষাঢ়ী পূর্ণিমার রাতে ঈষিপত্তন মৃগদাবে সেই পঞ্চবর্গীয় শিষ্যদেরকে প্রথম ধর্মদেশনা "ধর্মচক্র প্রবর্তন সূত্র" দেশনা করলেন। কৌ-িণ্য, বপ্প, ভদ্দীয়, মহানাম ও অশ্বজিত এ পঞ্চবর্গীয় শিষ্যদের কাছে তাঁর নবলব্ধ সদ্ধর্মকে প্রকাশ করেন। পরে আরো এক পূর্ণিমা তিথিতে তিনি মাতৃদেবীকে সদ্ধর্ম দেশনার জন্য তাবতিংস স্বর্গে গমন করেন। অনুরূপ আষাঢ়ী পূর্ণিমার তিথিতেই পবিত্র বৌদ্ধ ভিক্ষুসংঘ ত্রৈমাসিক বর্ষাব্রত অধিষ্ঠান গ্রহণ করে।
     এ মহান দিনটিকে উপলক্ষ্য করে আগামী ১২ জুলাই ২০১৯ইং, ২৮ আষাঢ় ১৪২৬ বাংলা, রোজ শুক্রবার আষাঢ়ী পূর্ণিমা “হিল চাদিগাং বৌদ্ধ বিহারে” বুদ্ধ পূজা ও বর্ষাব্রত পালনকারী ভিক্ষুদের বর্ষাসাটিক চীবর দানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে আপনারা কায়িক, মানসিক, বাচনিক ও আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে অশেষ পূন্য ভাগী হওয়ার উদাত্ত আহ্বান করা গেল।

বিনীত নিবেদক
প্রিয়দর্শন তালুকদার
সভাপতি
হিল চাদিগাং বৌদ্ধ বিহার কমিটি।

No comments

Theme images by 5ugarless. Powered by Blogger.