গুজব ঠেকাতে একদিনেই ১৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মসূচি পাঁচলাইশ থানা ওসির!
‘ছেলে
ধরা’ গুজবের আতঙ্কে নাজেহাল নগরবাসী। গুজবকে কেন্দ্র করে গণপিটুনির শিকার
হয়ে মারা যাচ্ছে সাধারণ মানুষ। যারা কেউই অপরাধী ছিল না। কেবল সন্দেহের
বশবর্তী হয়েই এমন জঘন্য কর্মকাণ্ডের শিকার হয়েছে নিরীহ মানুষগুলো। ছেলে ধরা
গুজবে সম্প্রতি সারাদেশে বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ নিহত হয়েছেন। রাজধানীর
পাশাপাশি চট্টগ্রাম নগরীতেও একই গুজবে একাধিক ঘটনা ঘটেছে। গণপিটুনিতে নিহত
হয়েছেন ৩ জন। আহত হয়েছেন ৪ জন। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের
(আসক) সূত্র অনুযায়ী এ সাত মাসেই সারাদেশে ৪৩ জন গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
ছেলে ধরা গুজব’ ছড়িয়ে যারা রাষ্ট্রের পরিকল্পিতভাবে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে এবং রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নগরীর ১৬ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান। সেইসঙ্গে গুজব রটনাকারীদের কঠোরভাবে দমনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসন। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া একদিনেই নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন ১৩টি স্কুল-কলেজে গুজব ঠেকাতে সচেতনতা ও গুজববিরোধী ক্যাম্পেইন করেছেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘কমিশনার স্যারের নির্দেশে নগরীর ১৬ থানায় ওসিদের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্পট, স্কুলে সচেতনতামূলক সভা হয়েছে। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এছাড়া মাইকিং, পথসভার মাধ্যমে গুজব শুনে আইন হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করেছে পুলিশ।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা সকাল থেকে পাঁচলাইশ থানার বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করেছি। সাধারণ মানুষকে অহেতুক গুজবে বিশ্বাস না করতে সচেতন করার জন্য আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। আজকেই ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমাদের টিম গিয়ে প্রচারণা চালিয়েছে। সাধারণ মানুষকে গুজবে বিশ্বাস না করার জন্য এবং গুজব ঠেকাতে আমাদের মাইকিং চলছে। তারপরও প্রথমে স্কুল কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমেই প্রচার করছি। যাতে কেউই নিজের হাতে আইন তুলে না নেয়।
যে ১৩টি স্কুল-কলেজ গুজববিরোধী ক্যাম্পেইন হয়েছে- প্রবর্তক স্কুল এন্ড কলেজ, প্রেসিডেন্সি স্কুল এন্ড কলেজ, সারাদিনের স্কুল এন্ড কলেজ, রহমানিয়া স্কুল এন্ড কলেজ, হোসেন আহম্মদ চৌধুরী সিটি করপোরেশন স্কুল এন্ড কলেজ, আল হিদায়া স্কুল এন্ড কলেজ, ষোলোশহর পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, মেরিট বাংলাদেশ স্কুল এন্ড কলেজ, লিটল জুয়েল স্কুল এন্ড কলেজ, পূর্ব নাছিরাবাদ এ জলিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চিটাগাং গ্রামার স্কুল ও কাতালগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসব স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে গুজববিরোধী সচেতনতা ও সতর্কতামূলক দিকনির্দেশনা দেয়।
আবুল কাশেম ভূঁইয়া আরও বলেন, ‘এ ধরনের গুজব যারা ছড়াচ্ছে তাদেরকে চিহ্নিত করে পুলিশের হাতে তুলে দিন। প্রয়োজনে ৯৯৯ এ ফোন করে তাদের তথ্য দিন। ‘ছেলে ধরা’ গুজবে কান দিয়ে কাউকে আহত করা, কাউকে প্রহার করা বা কাউকে শাস্তি দেওয়া চরম অন্যায় এবং ফৌজদারি অপরাধ।
কাউকে সন্দেহ হলে ০১৭৬৯৬৯১১৬২/০৩১৬৩০৩৭৫- এ নম্বরে দ্রুত যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেন ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া।
ওসির নেতৃত্বে স্কুলে স্কুলে ক্যাম্পেইন এবং মাইকিংয়ে ছিলেন কমিউনিটি পুলিশ অফিসার আব্দুল মোতালেব, কমিউনিটি পুলিশের সদস্যসচিব আবু সাঈদ সেলিমসহ আরও অনেকে।
ctgpratidin
ছেলে ধরা গুজব’ ছড়িয়ে যারা রাষ্ট্রের পরিকল্পিতভাবে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে এবং রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নগরীর ১৬ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান। সেইসঙ্গে গুজব রটনাকারীদের কঠোরভাবে দমনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসন। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া একদিনেই নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন ১৩টি স্কুল-কলেজে গুজব ঠেকাতে সচেতনতা ও গুজববিরোধী ক্যাম্পেইন করেছেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘কমিশনার স্যারের নির্দেশে নগরীর ১৬ থানায় ওসিদের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্পট, স্কুলে সচেতনতামূলক সভা হয়েছে। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এছাড়া মাইকিং, পথসভার মাধ্যমে গুজব শুনে আইন হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করেছে পুলিশ।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা সকাল থেকে পাঁচলাইশ থানার বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করেছি। সাধারণ মানুষকে অহেতুক গুজবে বিশ্বাস না করতে সচেতন করার জন্য আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। আজকেই ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমাদের টিম গিয়ে প্রচারণা চালিয়েছে। সাধারণ মানুষকে গুজবে বিশ্বাস না করার জন্য এবং গুজব ঠেকাতে আমাদের মাইকিং চলছে। তারপরও প্রথমে স্কুল কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমেই প্রচার করছি। যাতে কেউই নিজের হাতে আইন তুলে না নেয়।
যে ১৩টি স্কুল-কলেজ গুজববিরোধী ক্যাম্পেইন হয়েছে- প্রবর্তক স্কুল এন্ড কলেজ, প্রেসিডেন্সি স্কুল এন্ড কলেজ, সারাদিনের স্কুল এন্ড কলেজ, রহমানিয়া স্কুল এন্ড কলেজ, হোসেন আহম্মদ চৌধুরী সিটি করপোরেশন স্কুল এন্ড কলেজ, আল হিদায়া স্কুল এন্ড কলেজ, ষোলোশহর পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, মেরিট বাংলাদেশ স্কুল এন্ড কলেজ, লিটল জুয়েল স্কুল এন্ড কলেজ, পূর্ব নাছিরাবাদ এ জলিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চিটাগাং গ্রামার স্কুল ও কাতালগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসব স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে গুজববিরোধী সচেতনতা ও সতর্কতামূলক দিকনির্দেশনা দেয়।
আবুল কাশেম ভূঁইয়া আরও বলেন, ‘এ ধরনের গুজব যারা ছড়াচ্ছে তাদেরকে চিহ্নিত করে পুলিশের হাতে তুলে দিন। প্রয়োজনে ৯৯৯ এ ফোন করে তাদের তথ্য দিন। ‘ছেলে ধরা’ গুজবে কান দিয়ে কাউকে আহত করা, কাউকে প্রহার করা বা কাউকে শাস্তি দেওয়া চরম অন্যায় এবং ফৌজদারি অপরাধ।
কাউকে সন্দেহ হলে ০১৭৬৯৬৯১১৬২/০৩১৬৩০৩৭৫- এ নম্বরে দ্রুত যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেন ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া।
ওসির নেতৃত্বে স্কুলে স্কুলে ক্যাম্পেইন এবং মাইকিংয়ে ছিলেন কমিউনিটি পুলিশ অফিসার আব্দুল মোতালেব, কমিউনিটি পুলিশের সদস্যসচিব আবু সাঈদ সেলিমসহ আরও অনেকে।
ctgpratidin
No comments
Post a Comment