খাগড়াছড়ি পরিচিতি
ভূমিকা : ১৯৮৩ সালে ৭
নভেম্বর খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা গঠিত হয়। ২২.৩৮ডিগ্রী হতে ২৩.৪৪ডিগ্রী
উত্তর অক্ষাংশ ও ৯১.৪২ ডিগ্রী হতে ৯২.১১ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশে এর
অবস্থান। পাহাড়, ছোট ছোট নদী, ছড়া ও সমতল ভূমি মিলে এটি একটি অপরূপ
সৌন্দর্য্য মন্ডিত ঢেউ খেলানো এলাকা। চেঙ্গী, মাইনী ও ফেণী প্রভৃতি এ জেলার
উল্লেখযোগ্য নদী। এ ছাড়াও এতে রয়েছে ৩,৩৬৮টি পুকুর, জলাশয় ও দীঘি যার ৬৭%
খাস।
জেলার উত্তর ও পশ্চিমে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, দক্ষিণে চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটি জেলা এবং পূর্বে রাঙ্গামাটি জেলা অবস্থিত। মোট আয়তন ২,৬৯৯.৫৫ বর্গ কিলোমিটার। উঁচু ভূমির পরিমাণ ৮৫% প্রায় এবং সমতল ভূমির পরিমাণ ১৫% (প্রায়)। জেলায় মোট ১২১টি মৌজার রয়েছে যার মধ্যে ৮৮টি মং সার্কেল ও ৩৩টি চাকমা সার্কেলের অন্তর্ভূক্ত। মং সার্কেলের আওতাধীন এলাকাগুলো হচ্ছে খাগড়াছড়ি সদর, মাটিরাঙ্গা, রামগড়, মানিকছড়ি, মহালছড়ি, পানছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার আংশিক এবং চাকমা সার্কেলের অধীনে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার আংশিক ও দীঘিনালা উপজেলা। গ্রােেমর সংখ্যা ৩৫৩, ইউনিয়ন-৩৫টি, উপজেলা- ০৮টি, থানা- ০৯টি, পৌরসভা- ০৩টি।
জেলার উত্তর ও পশ্চিমে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, দক্ষিণে চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটি জেলা এবং পূর্বে রাঙ্গামাটি জেলা অবস্থিত। মোট আয়তন ২,৬৯৯.৫৫ বর্গ কিলোমিটার। উঁচু ভূমির পরিমাণ ৮৫% প্রায় এবং সমতল ভূমির পরিমাণ ১৫% (প্রায়)। জেলায় মোট ১২১টি মৌজার রয়েছে যার মধ্যে ৮৮টি মং সার্কেল ও ৩৩টি চাকমা সার্কেলের অন্তর্ভূক্ত। মং সার্কেলের আওতাধীন এলাকাগুলো হচ্ছে খাগড়াছড়ি সদর, মাটিরাঙ্গা, রামগড়, মানিকছড়ি, মহালছড়ি, পানছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার আংশিক এবং চাকমা সার্কেলের অধীনে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার আংশিক ও দীঘিনালা উপজেলা। গ্রােেমর সংখ্যা ৩৫৩, ইউনিয়ন-৩৫টি, উপজেলা- ০৮টি, থানা- ০৯টি, পৌরসভা- ০৩টি।
প্রশাসন : অত্র জেলায় মোট
০৮ (আট) টি উপজেলা রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- খাগড়াছড়ি সদর, মাটিরাঙ্গা, রামগড়,
মানিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি, মহালছড়ি, দীঘিনালা ও পানছড়ি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির
গুরুত্ব অনুভব করে মাটিরাঙ্গা উপজেলাকে দুটি (পুলিশ) থানায় (মাটিরাঙ্গা ও
গুইমারা) বিভক্ত করা হয়েছে। ১৯৯৮ সনে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার
পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ এর আওতায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ স্থাপন
করা হয়। এ পরিষদ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে থেকে কাজ করে
যাচ্ছে।
খাগড়াছড়ির ঐতিহাসিক পটভূমি :
ইতিহাস পর্যালোচনায় জানা যায়, খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দী থেকে চতুর্দশ
শতাব্দী পর্যন্ত অত্র এলাকাটি কখনো ত্রিপুরা, কখনো বা আরকান রাজন্যবর্গ
দ্বারা শাসিত হয়েছে। তন্মধ্যে ৫৯০ হতে ৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত মোট ৩৬৩ বছর
ধরে ত্রিপুরা রাজাগণ বংশপরম্পরায় পার্বত্য চট্টগ্রাম (খাগড়াছড়িসহ) ও
চট্টগ্রাম শাসন করে। অতঃপর ৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দ হতে ১২৪০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত
আরকান রাজাগণ ২৯৭ বছরব্যাপী এ এলাকা শাসন করলেও তদ্পরবর্তীতে ১০২ বছরব্যাপী
(১৩৪২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত) পুনরায় ত্রিপুরা রাজাগণ এ এলাকার কর্তৃত্ব
করেন।
অক্ষাংশ: ২২.৩৮ ডিগ্রি হতে ২৩.৪৪ ডিগ্রি উত্তর
ভাষা ও সংস্কৃতি :
পৃথিবীর সকল জাতির ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রত্যেক জাতি বা জনগোষ্ঠীর পৃথক বংশ পরিচয়-ইতিহাস রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ১৩ টি উপজাতির জীবন যাত্রা স্বতন্ত্র, বৈচিত্রময় কিন্তু সহজ সরল। এই আদিবাস সমূহের মধ্যে চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমা পর্যায়ক্রমিক সংখ্যাগরিষ্ঠ।
পৃথিবীর সকল জাতির ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রত্যেক জাতি বা জনগোষ্ঠীর পৃথক বংশ পরিচয়-ইতিহাস রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ১৩ টি উপজাতির জীবন যাত্রা স্বতন্ত্র, বৈচিত্রময় কিন্তু সহজ সরল। এই আদিবাস সমূহের মধ্যে চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমা পর্যায়ক্রমিক সংখ্যাগরিষ্ঠ।
ক) চাকমা : কোন কোন
পন্ডিতদের মতে “চাকমাং” শব্দটি হতে ‘চাকমা’ শব্দের উৎপত্তি। আরাকানীরা
শাক্যবংশকে “চাকমাং” বলতেন। এ চাকমা শব্দটির অর্থ আমরা পাই “চাক” অর্থ
শাক্য আর “মাং” শব্দের অর্থ রাজবংশ। সুতরাং এর অর্থ শাক্য রাজ বংশ।
চাক্মারাও নিজেদের শাক্য বংশ দাবী করেন।
শাক্য জাতিকে মগেরা বলত “শাক” বা “চাক”। যারা শাক্য রাজবংশীয় তাদেরকে বলত “শাকম্যাং”। “ম্যাং” শব্দের অর্থ রাজা । অর্থাৎÑ শাক্য রাজবংশীয়। কিন্তু বাঙ্গালি গ্রন্থাচার্য্য ব্রাহ্মণগণ চম্পক নগর বাসী বলে চাম্পা বা পরিশেষে “চাকমা” নামে অভিহিত হয়ে ছিলেন। (শ্রী শ্রী রাজ নাম- ২১ পৃষ্ঠা )
রাজা ভূবন মোহন রায় প্রাচীন রাজবংশের ইতিহাসে দেখা যায়, মগ ভাষায় “চাক-চেক” অর্থ শাক্য এবং যারা শাক্যরাজবংশীয় তাদেরকে বলা হত চাকম্যাং অর্থাৎ শাক্য রাজবংশীয়। ব্রহ্ম ভাষায় ম্যাং শব্দের অর্থ রাজা, এই চাকম্যাং বা চাকমাং হতে রূপান্তরে এখন চাকমা হয়েছে। (চাকমা জাতির ইতিবৃত্ত -২৫ পৃষ্ঠা)
মতান্তরে কর্ণ তালুকদাদের বামুনী লেখা হতে “রাজবংশাবলী” পুঁথির তথ্যে জানা যায়, রাজা বিজয় গিরির আরাকান (অক্রাদেশ) অভিযানের পর চাকমা রাজারা রাজ্যাভিষেক শ্বেত হস্তীর দ্বারা এবং বিভিন্ন কাজে হস্তীর ব্যবহারের প্রাচুর্য্যে সম্পন্ন করতেন বলে ব্রহ্মদেশে চাক্মাদের চাং ম্যাং নামে আখ্যায়িত করতেন। ব্রহ্মদেশীয় ভাষায় চাং অর্থে হাতী আর ম্যাং অর্থে রাজা এই শব্দদ্বয় হতে ‘চাকমা’ নামের আদি উৎসের পরিচয় ভিত্তি বলে এতে উল্লেখ পাওয়া যায়। (চাক্মা জাতির ইতিবৃত্ত- ২৬ পৃঃ)। সতীশ চন্দ্র ঘোষ চাকমা বৌদ্ধদের শরীরের গঠন সম্পর্কে বলেছেন এদের মুখমন্ডল গোলাকার নাসিকা নত ও চেপ্টা, গন্ডদেশের অস্থি উন্নত, বহ্ম প্রশস্ত বাহুযুগল মাংসল জংগাদেশ অতিশয় স্থল ও সুদৃৃঢ় অক্ষি গোলকের কপিলাভাস এবং বক্র দৃষ্টি ইত্যাদি নিয়ে শরীর বেশ হৃষ্ট Ñ পুষ্ট, বলিষ্ঠ ও সুদৃঢ় বটে কিন্তু সুগঠিত নয়।
হুমায়ুন আজাদ চাকমাদের শরীরের গঠন সম্পর্কে বলেছেন আকালে খাটো, চুল কালো, চোখ সরু আর কপালে অস্থি উচ্চ।
কুশল রাজ প্রসেনজিতের পুত্র বিড়–ঢ়কের আক্রমণে শাক্যবংশ কপিলাবস্তু হতে বিতাড়িত হন। ক্রমে ক্রমে দেশ-দেশান্তরে বসতি স্থাপন করে ঘুরতে ঘুরতে চতুর্থ কি পঞ্চম শতাব্দীতে চম্পক নগরে বসবাস করতে থাকেন। এই চম্পক নগর বর্তমানে ভারতে ত্রিপুরা রাজ্যে ভাগলপুরে অবস্থিত। কাল ক্রমে এই শাক্য বংশ শক্তিশালী হয়ে উঠে। কথিত আছে, চম্পক নগরের রাজা সম্বুদ্ধের বিজয় গিরি ও উদয় গিরি নামে দুই পুত্র ছিল। তাঁর এক সেনা পতির নাম নিয়ে চট্টগ্রামে আরাকান রাজার বিরুদ্ধে অভিযান চালান। এ অভিযানে কুমার বিজয় গিরি জয়লাভ করেন। এ দিকে তাঁর পিতার মৃত্যু হলে ছোট ভাই উদয় গিরি রাজসিংহাসনে আরোহন করেন। তিনি খবর জ্ঞাত হয়ে চম্পক নগরের রাজধানীতে ফিরে না গিয়ে চট্টগ্রামে বিজিত রাজ্য শাসন করেন।
শাক্য জাতিকে মগেরা বলত “শাক” বা “চাক”। যারা শাক্য রাজবংশীয় তাদেরকে বলত “শাকম্যাং”। “ম্যাং” শব্দের অর্থ রাজা । অর্থাৎÑ শাক্য রাজবংশীয়। কিন্তু বাঙ্গালি গ্রন্থাচার্য্য ব্রাহ্মণগণ চম্পক নগর বাসী বলে চাম্পা বা পরিশেষে “চাকমা” নামে অভিহিত হয়ে ছিলেন। (শ্রী শ্রী রাজ নাম- ২১ পৃষ্ঠা )
রাজা ভূবন মোহন রায় প্রাচীন রাজবংশের ইতিহাসে দেখা যায়, মগ ভাষায় “চাক-চেক” অর্থ শাক্য এবং যারা শাক্যরাজবংশীয় তাদেরকে বলা হত চাকম্যাং অর্থাৎ শাক্য রাজবংশীয়। ব্রহ্ম ভাষায় ম্যাং শব্দের অর্থ রাজা, এই চাকম্যাং বা চাকমাং হতে রূপান্তরে এখন চাকমা হয়েছে। (চাকমা জাতির ইতিবৃত্ত -২৫ পৃষ্ঠা)
মতান্তরে কর্ণ তালুকদাদের বামুনী লেখা হতে “রাজবংশাবলী” পুঁথির তথ্যে জানা যায়, রাজা বিজয় গিরির আরাকান (অক্রাদেশ) অভিযানের পর চাকমা রাজারা রাজ্যাভিষেক শ্বেত হস্তীর দ্বারা এবং বিভিন্ন কাজে হস্তীর ব্যবহারের প্রাচুর্য্যে সম্পন্ন করতেন বলে ব্রহ্মদেশে চাক্মাদের চাং ম্যাং নামে আখ্যায়িত করতেন। ব্রহ্মদেশীয় ভাষায় চাং অর্থে হাতী আর ম্যাং অর্থে রাজা এই শব্দদ্বয় হতে ‘চাকমা’ নামের আদি উৎসের পরিচয় ভিত্তি বলে এতে উল্লেখ পাওয়া যায়। (চাক্মা জাতির ইতিবৃত্ত- ২৬ পৃঃ)। সতীশ চন্দ্র ঘোষ চাকমা বৌদ্ধদের শরীরের গঠন সম্পর্কে বলেছেন এদের মুখমন্ডল গোলাকার নাসিকা নত ও চেপ্টা, গন্ডদেশের অস্থি উন্নত, বহ্ম প্রশস্ত বাহুযুগল মাংসল জংগাদেশ অতিশয় স্থল ও সুদৃৃঢ় অক্ষি গোলকের কপিলাভাস এবং বক্র দৃষ্টি ইত্যাদি নিয়ে শরীর বেশ হৃষ্ট Ñ পুষ্ট, বলিষ্ঠ ও সুদৃঢ় বটে কিন্তু সুগঠিত নয়।
হুমায়ুন আজাদ চাকমাদের শরীরের গঠন সম্পর্কে বলেছেন আকালে খাটো, চুল কালো, চোখ সরু আর কপালে অস্থি উচ্চ।
কুশল রাজ প্রসেনজিতের পুত্র বিড়–ঢ়কের আক্রমণে শাক্যবংশ কপিলাবস্তু হতে বিতাড়িত হন। ক্রমে ক্রমে দেশ-দেশান্তরে বসতি স্থাপন করে ঘুরতে ঘুরতে চতুর্থ কি পঞ্চম শতাব্দীতে চম্পক নগরে বসবাস করতে থাকেন। এই চম্পক নগর বর্তমানে ভারতে ত্রিপুরা রাজ্যে ভাগলপুরে অবস্থিত। কাল ক্রমে এই শাক্য বংশ শক্তিশালী হয়ে উঠে। কথিত আছে, চম্পক নগরের রাজা সম্বুদ্ধের বিজয় গিরি ও উদয় গিরি নামে দুই পুত্র ছিল। তাঁর এক সেনা পতির নাম নিয়ে চট্টগ্রামে আরাকান রাজার বিরুদ্ধে অভিযান চালান। এ অভিযানে কুমার বিজয় গিরি জয়লাভ করেন। এ দিকে তাঁর পিতার মৃত্যু হলে ছোট ভাই উদয় গিরি রাজসিংহাসনে আরোহন করেন। তিনি খবর জ্ঞাত হয়ে চম্পক নগরের রাজধানীতে ফিরে না গিয়ে চট্টগ্রামে বিজিত রাজ্য শাসন করেন।
খ) মারমা: পার্বত্য
জেলাসমূহে মারমারা সংখ্যায় দ্বিতীয় হলেও খাগড়াছড়িতে এরা তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ
আদিবাসী। বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলাতেই মূলত: এদের বসবাস। মারমারা অত্যন্ত
অতিথিপরায়ন। এ জনগোষ্ঠীর মেয়েরা অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন। তারা বৌদ্ধ
ধর্মাবলম্বী এবং তাদের প্রধান সামাজিক উৎসব ‘‘সাংগ্রাইং’’। সাধারণত: মারমা
বর্ষপঞ্জি ঘোষণাপত্র ‘‘সাংগ্রাইংজা’’ এর মাধ্যমে চান্দ্রমাস অনুসারে
মারমারা তাদের প্রধান সামাজিক উৎসব ‘‘সাংগ্রাইং’’ পালন করে থাকে। বহু
পূর্বে মারমারা ‘‘মগ’’ নামেই পরিচিতি ছিল। বর্তমানে তারা নিজেদের ‘‘মারমা’’
বলেই দাবি করে। ‘‘মারমা’’ শব্দটি ‘‘মারমাজা’’ বা ‘‘¤্রাইমাচা’’ নামক
উপমহাদেশীয় প্রাচীন ব্রাহ্মী হস্তাক্ষর লিপি থেকে উদ্ভুত।
মারমা ভাষার নিজস্ব হরফও আছে। এ বর্ণমালা ‘‘মারমাচা’’ বা ‘‘¤্রাইমাজাহ্’’ নামে পরিচিত। ১৩টি স্বরবর্ণ ও ৩৬টি ব্যঞ্জনবর্ণ নিয়ে প্রণীত মারমা বর্ণমালা প্রাচীন ভারতের ব্রাহ্মী ও খরেষ্ট্রী লিপি হতে উদ্ভুত। মারমারা বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী হলেও তারা অন্যান্য উপজাতীয়দের ন্যায় দেবতা ও অপদেবতায় বিশ্বাসী। তবে বৌদ্ধ ধর্মের অন্যান্য উৎসব পার্বণাদিও তারা পালন করে। মারমা জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী থালা নৃত্য, প্রদীপ নৃত্য, পরী নৃত্য অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
মারমা ভাষার নিজস্ব হরফও আছে। এ বর্ণমালা ‘‘মারমাচা’’ বা ‘‘¤্রাইমাজাহ্’’ নামে পরিচিত। ১৩টি স্বরবর্ণ ও ৩৬টি ব্যঞ্জনবর্ণ নিয়ে প্রণীত মারমা বর্ণমালা প্রাচীন ভারতের ব্রাহ্মী ও খরেষ্ট্রী লিপি হতে উদ্ভুত। মারমারা বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী হলেও তারা অন্যান্য উপজাতীয়দের ন্যায় দেবতা ও অপদেবতায় বিশ্বাসী। তবে বৌদ্ধ ধর্মের অন্যান্য উৎসব পার্বণাদিও তারা পালন করে। মারমা জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী থালা নৃত্য, প্রদীপ নৃত্য, পরী নৃত্য অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
গ) ত্রিপুরা : পার্বত্য
চট্টগ্রামে বসবাসরত আদিবাসীদের জাতিগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ত্রিপুরারাই ইতিহাস
সমৃদ্ধ জাতি। খ্র্স্টিাব্দ গণনার বহু পূর্ব হতেই এ অঞ্চলে ত্রিপুরাদের
অস্তিত্ব ছিল। মহাভারতে বর্ণিত কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধেও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী
অংশ নিয়েছিল বলে জানা যায়। ৫৯০ খ্রিস্টাব্দে ত্রিপুরা রাজা যুঝারুফা কর্তৃক
বঙ্গ বিজয়ের পর স্মারক হিসেবে ‘‘ত্রিপুরাব্দ’’ প্রবর্তনের পর হতে
ত্রিপুরাদের লিখিত ইতিহাসের সূচনা ঘটে। সঠিক তথ্য জানা না গেলেও বহু আদিকাল
থেকে এ অঞ্চলে ত্রিপুরাদের বসবাস ছিল। অধ্যাপক শাহেদ আলী তাঁর ‘‘বাংলা
সাহিত্যে চট্টগ্রামের অবদান’’ বইয়ে লিখেছেন- পাহাড়ী জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে
ত্রিপুরারাই সবচেয়ে সংঘবদ্ধ ও শক্তিশালী। ত্রিপুরারা সনাতন ধর্মাবলম্বী।
তাদের প্রধান উপজীবিকা কৃষি তথা জুমচাষ। তাদের প্রধান উৎসব ‘‘বৈসু’’।
আদিবাসী প্রায় সকল রমণীরাই নিজেদের তৈরি তাঁতে বোনা কাপড় পড়ে। এদের পরনের
কাপড়কে ‘‘রিনাই’’, ‘‘রিসাই’’ বলে। রূপার তৈরি অলংকার ত্রিপুরা রমণীদের খুব
প্রিয়। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী অত্যন্ত সমৃদ্ধ। ত্রিপুরাদের
ঐতিহ্যবাহী ‘‘গড়াইয়া’’ ও ‘‘বোতল নৃত্য’’ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ত্রিপুরাদের
মধ্যে ‘‘রোয়াজা’’ উপাধি ধারীরাই সামাজিক বিচার আচার করে থাকে।
দ্রাঘিমাংশ : ৯১.৪২ ডিগ্রি হতে ৯২.১১ ডিগ্রি পূর্ব ।
দ্রাঘিমাংশ : ৯১.৪২ ডিগ্রি হতে ৯২.১১ ডিগ্রি পূর্ব ।
সীমানা : উত্তর ও
উত্তর-পশ্চিমে- ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে – রাঙ্গামাটি
পার্বত্য জেলা, দক্ষিণ-পশ্চিমে চট্টগ্রাম জেলা, পশ্চিমে ফেণী নদী
ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য এর অবস্থা।
ভৌগোলিক রূপ : পাহাড়, ছোট ছোট নদী, ছড়া ও সমতল ভূমি মিলে এটি একটি অপরূপ সৌন্দর্যমন্ডিত ঢেউ খেলানো এলাকা।
১। আয়তন : ২,৬৯৯.৫৬ র্বগ কিমি।
২। নির্বাচনী এলাকা : ২৯৮ পার্বত্য খাগড়াছড়ি।
৩। সংসদীয় আসন : ০১ টি।
৪। উপজলো : ০৮টি (খাগড়াছড়ি সদর, দীঘনিালা, পানছড়ি, মাটরিাঙ্গা, মানকিছড়ি, মহালছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি ও রামগড়)।
৫। থানা : ০৯টি।
৬। পৌরসভা : ৩টি (খাগড়াছড়ি, রামগড় ও মাটিরাঙ্গা)।
৭। ইউনয়িন : ৩৫টি।
৮। মৌজা : ১২১ টি।
৯। গ্রাম : ১,৩৮৮টি।
১০। জনসংখ্যা ঃ ৫,১৮,৪৬৩ জন (পুরুষ- ২,৭১,১৩১জন এবং মহলিা- ২,৪৭,৩৩২জন) [২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে]।
(ক) আদিবাসী ২,৬৯,৯০৪জন (৫২%)। [চাকমা- ১,৪৬,০৪৫, মারমা- ৫৫,৮৪৪, ত্রিপুরা- ৬৭,৩৪২, অন্যান্য-৬৭৩] (খ) অ-উপজাতি- ২,৪৮,৫৫৯ জন (৪৮%)।
১১। জনসংখ্যা ঘনত্ব : প্রতি র্বগ কিলোমটিারে ১৯২ জন।
১২। শিক্ষার হার : ৪৪.০৭% (পুরুষ- ৫৪.১৯%, মহিলা- ৩৩.৬২%)।
১৩। প্রাথমকি বিদ্যালয়ে গমনরে হার : ৮৩%।
১। আয়তন : ২,৬৯৯.৫৬ র্বগ কিমি।
২। নির্বাচনী এলাকা : ২৯৮ পার্বত্য খাগড়াছড়ি।
৩। সংসদীয় আসন : ০১ টি।
৪। উপজলো : ০৮টি (খাগড়াছড়ি সদর, দীঘনিালা, পানছড়ি, মাটরিাঙ্গা, মানকিছড়ি, মহালছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি ও রামগড়)।
৫। থানা : ০৯টি।
৬। পৌরসভা : ৩টি (খাগড়াছড়ি, রামগড় ও মাটিরাঙ্গা)।
৭। ইউনয়িন : ৩৫টি।
৮। মৌজা : ১২১ টি।
৯। গ্রাম : ১,৩৮৮টি।
১০। জনসংখ্যা ঃ ৫,১৮,৪৬৩ জন (পুরুষ- ২,৭১,১৩১জন এবং মহলিা- ২,৪৭,৩৩২জন) [২০০১ সালের আদম শুমারি অনুসারে]।
(ক) আদিবাসী ২,৬৯,৯০৪জন (৫২%)। [চাকমা- ১,৪৬,০৪৫, মারমা- ৫৫,৮৪৪, ত্রিপুরা- ৬৭,৩৪২, অন্যান্য-৬৭৩] (খ) অ-উপজাতি- ২,৪৮,৫৫৯ জন (৪৮%)।
১১। জনসংখ্যা ঘনত্ব : প্রতি র্বগ কিলোমটিারে ১৯২ জন।
১২। শিক্ষার হার : ৪৪.০৭% (পুরুষ- ৫৪.১৯%, মহিলা- ৩৩.৬২%)।
১৩। প্রাথমকি বিদ্যালয়ে গমনরে হার : ৮৩%।
১৪। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : ৫৪৭ টি।
(ক) কলেজ-৭টি।
(খ) উচ্চ বদ্যিালয়-৭১টি (সরকারী ৫টি ও বেসরকারী – ৬৬টি)।
(গ) সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয়- ৪২০টি (সরকারি- ৩২০টি ও বেসরকারী- ১০০টি)।
(ঘ) কিন্ডার র্গাটেন-০৯টি।
(ঙ) মাদ্রাসা-১৩টি (মাদ্রাসা শিক্ষা র্বোড এর অধীন)।
(চ) এবতদোয়ী মাদ্রাসা- ২২টি।
(ছ) অন্যান্য র্ধমীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- ০৩টি।
(জ) কারগিরি বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়- ০১টি।
(ঝ) টেক্সটাইল ভোকশেনাল ট্রেনিং ইনস্টটিউিট- ০১টি।
(ক) কলেজ-৭টি।
(খ) উচ্চ বদ্যিালয়-৭১টি (সরকারী ৫টি ও বেসরকারী – ৬৬টি)।
(গ) সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয়- ৪২০টি (সরকারি- ৩২০টি ও বেসরকারী- ১০০টি)।
(ঘ) কিন্ডার র্গাটেন-০৯টি।
(ঙ) মাদ্রাসা-১৩টি (মাদ্রাসা শিক্ষা র্বোড এর অধীন)।
(চ) এবতদোয়ী মাদ্রাসা- ২২টি।
(ছ) অন্যান্য র্ধমীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- ০৩টি।
(জ) কারগিরি বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়- ০১টি।
(ঝ) টেক্সটাইল ভোকশেনাল ট্রেনিং ইনস্টটিউিট- ০১টি।
১৫। র্ধমীয় উপাসনালয় : ৭৫১টি।
(ক) মসজদি- ২৫৫টি।
(ক) মসজদি- ২৫৫টি।
(খ) বৌদ্ধ মন্দির (ক্যাং)- ২৬৩টি।
(গ) মন্দির- ২০৭টি।
(ঘ) র্গীজা- ২৬টি।
(গ) মন্দির- ২০৭টি।
(ঘ) র্গীজা- ২৬টি।
১৬। গুচ্ছগ্রাম ও ভারত প্রত্যাগত শরর্ণাথী :
(ক) ১। গুচ্ছগ্রামের সংখ্যা- ৮১টি।
২। গুচ্ছগ্রামে বসবাসরত পরিবার- ৫৩,৮৫৫টি।
৩। গুচ্ছগ্রামে রেশন র্কাডধারী পরিবার- ২৬,২২০টি।
৪। রেশন র্কাডবিহীন পরিবার- ২৭,৬৩৫টি।
৫। গুচ্ছগ্রামে বসবাসকারী জনসংখ্যা- ২,১২,১৬৫জন।
(খ) ১। ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী পরিবার- ১২,১৭০টি।
২। রেশন র্কাডধারী পরিবার- ১২,১৭০টি।
৩। ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থীর সংখ্যা- ৬৪,৩৩৪জন।
(ক) ১। গুচ্ছগ্রামের সংখ্যা- ৮১টি।
২। গুচ্ছগ্রামে বসবাসরত পরিবার- ৫৩,৮৫৫টি।
৩। গুচ্ছগ্রামে রেশন র্কাডধারী পরিবার- ২৬,২২০টি।
৪। রেশন র্কাডবিহীন পরিবার- ২৭,৬৩৫টি।
৫। গুচ্ছগ্রামে বসবাসকারী জনসংখ্যা- ২,১২,১৬৫জন।
(খ) ১। ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী পরিবার- ১২,১৭০টি।
২। রেশন র্কাডধারী পরিবার- ১২,১৭০টি।
৩। ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থীর সংখ্যা- ৬৪,৩৩৪জন।
১৭। খাস জমি সংক্রান্ত :
(ক) মোট খাস জমির পরিমাণ- ৩,০৫,৯৬৫.৭৩ একর।
(খ) বন্দোবস্তকৃত জমির পরিমাণ- ১,৮০,২৭৯.৬২ একর।
(গ) র্বতমানে খাস জমির পরমিাণ- ১,২৫,৬৮৬.১১ একর।
(ক) মোট খাস জমির পরিমাণ- ৩,০৫,৯৬৫.৭৩ একর।
(খ) বন্দোবস্তকৃত জমির পরিমাণ- ১,৮০,২৭৯.৬২ একর।
(গ) র্বতমানে খাস জমির পরমিাণ- ১,২৫,৬৮৬.১১ একর।
১৮। সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান :
(ক) সিনেমা হল-০১টি।
(খ) উপজাতীয় সাংস্কৃতকি ইনস্টটিউিট- ০১টি।
(গ) শিশু একাডেমি- ০১টি।
(ঘ) শিল্পকলা একাডেমি- ০১টি।
(ক) সিনেমা হল-০১টি।
(খ) উপজাতীয় সাংস্কৃতকি ইনস্টটিউিট- ০১টি।
(গ) শিশু একাডেমি- ০১টি।
(ঘ) শিল্পকলা একাডেমি- ০১টি।
১৯। স্টেডিয়াম : ০১টি (জিমনেসিয়ামসহ)।
২০। প্রেস ক্লাব : ০২টি।
২১। জেলা কারাগার : ০১টি।
২০। প্রেস ক্লাব : ০২টি।
২১। জেলা কারাগার : ০১টি।
২২। র্দশনীয় স্থান :
আলুটিলা পাহাড়ের রহস্যময় সুড়ঙ্গ, নুনছড়ি মৌজার দেবতা পুকুর, রিছাং র্ঝণা, ঐতহিাসকি রামগড় (ইর্স্টান ফ্রন্টিয়ার রাইফলেস্ র্বতমান বিডিআর এর প্রথম হেডকোর্য়াটার), রামগড় লেক, পাহাড়ি কৃষি গবষেণা কেন্দ্রের খামার, দীঘিনালা সংরক্ষতি বনাঞ্চল, ভগবান টিলা।
২৩। র্পযটন কেন্দ্র :
(ক) আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র।
(খ) নূনছড়ি দেবতা পুকুর।
(গ) দীঘিনালা সংরক্ষতি বনাঞ্চল।
(ঘ) খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র।
(ঙ) দুই টিলা ও তিন টিলা, দীঘিনালা।
(চ) ভগবান টিলা
আলুটিলা পাহাড়ের রহস্যময় সুড়ঙ্গ, নুনছড়ি মৌজার দেবতা পুকুর, রিছাং র্ঝণা, ঐতহিাসকি রামগড় (ইর্স্টান ফ্রন্টিয়ার রাইফলেস্ র্বতমান বিডিআর এর প্রথম হেডকোর্য়াটার), রামগড় লেক, পাহাড়ি কৃষি গবষেণা কেন্দ্রের খামার, দীঘিনালা সংরক্ষতি বনাঞ্চল, ভগবান টিলা।
২৩। র্পযটন কেন্দ্র :
(ক) আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র।
(খ) নূনছড়ি দেবতা পুকুর।
(গ) দীঘিনালা সংরক্ষতি বনাঞ্চল।
(ঘ) খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র।
(ঙ) দুই টিলা ও তিন টিলা, দীঘিনালা।
(চ) ভগবান টিলা
২৪। নদী : ০৩টি (চেঙ্গী, মাইনী, ফেণী)।
২৫। চা-বাগান : ০১টি (রামগড়)।
২৬। রাবার বাগান : ৩,৪০০.০০ একর।
২৭। সেনাবাহিনী ব্রিগেড : ০২টি (খাগড়াছড়ি ও গুইমারা)।
২৮। বিডিআর সেক্টর : ০১টি।
২৯। ব্যাংক : ০৬টি (মোট শাখা- ২১টি)।
৩০। এনজিও : ৩৪টি।
(ক) জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক- ০৭টি।
(খ) স্থানীয়- ২৭টি।
৩১। প্রধান সমস্যা : বিদ্যুৎ।
৩২। যোগাযোগ ব্যবস্থা :
পাকা রাস্তা- ২৯৬.৩৬ কি.মি.,অর্ধ পাকা রাস্তা- ২৬১ কি.মি।
৩৩। প্রাকৃতিক সম্পদ :
(ক) কৃষিজ- (১) প্রধান ফসল : ধান, গম, ভুট্টা, সরিষা, তুলা, আখ ও শাকসবজি ইত্যাদি।
(২) ফলমূল : আম, কাঁঠাল, আনারস, কলা, পেঁেপ, পেয়ারা, লেবু ও তরমুজ ইত্যাদি।
(খ) খনিজ- গ্যাস (সিমুতাং গ্যাসফিল্ড, মানকিছড়ি)।
(গ) বনজ- সেগুন, গামারী, কড়ই, গর্জন, চাপালিশ, জারুল ইত্যাদি।
৩৪। সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র :
(ক) পর্যটন (খ) বনজ সম্পদ (গ) খনজি সম্পদ (ঘ) হস্তশিল্প (ঙ) রাবার শিল্প (চ) ফলভত্তিক শিল্প।
২৫। চা-বাগান : ০১টি (রামগড়)।
২৬। রাবার বাগান : ৩,৪০০.০০ একর।
২৭। সেনাবাহিনী ব্রিগেড : ০২টি (খাগড়াছড়ি ও গুইমারা)।
২৮। বিডিআর সেক্টর : ০১টি।
২৯। ব্যাংক : ০৬টি (মোট শাখা- ২১টি)।
৩০। এনজিও : ৩৪টি।
(ক) জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক- ০৭টি।
(খ) স্থানীয়- ২৭টি।
৩১। প্রধান সমস্যা : বিদ্যুৎ।
৩২। যোগাযোগ ব্যবস্থা :
পাকা রাস্তা- ২৯৬.৩৬ কি.মি.,অর্ধ পাকা রাস্তা- ২৬১ কি.মি।
৩৩। প্রাকৃতিক সম্পদ :
(ক) কৃষিজ- (১) প্রধান ফসল : ধান, গম, ভুট্টা, সরিষা, তুলা, আখ ও শাকসবজি ইত্যাদি।
(২) ফলমূল : আম, কাঁঠাল, আনারস, কলা, পেঁেপ, পেয়ারা, লেবু ও তরমুজ ইত্যাদি।
(খ) খনিজ- গ্যাস (সিমুতাং গ্যাসফিল্ড, মানকিছড়ি)।
(গ) বনজ- সেগুন, গামারী, কড়ই, গর্জন, চাপালিশ, জারুল ইত্যাদি।
৩৪। সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র :
(ক) পর্যটন (খ) বনজ সম্পদ (গ) খনজি সম্পদ (ঘ) হস্তশিল্প (ঙ) রাবার শিল্প (চ) ফলভত্তিক শিল্প।
উপজেলা ইউনিয়ন
উপজেলাভিত্তিক ইউনিয়নসমূহের নাম :
১. খাগড়াছড়ি সদর : খাগড়াছড়ি, কমলছড়ি, পেরাছড়া, ভাইবোনছড়া, গোলাবাড়ি।
২. মাটিরাঙ্গা : মাটিরাঙ্গা, গুইমারা, বাল্যাছড়ি, তাইন্দং, তবলছড়ি, বর্ণাল, বেলছড়ি।
৩. রামগড় : রামগড়, হাফছড়ি, পাতাছড়া।
৪. দিঘীনালা : দীঘিনালা, বাবুছড়া, মেরুং, কবাখালী, বোয়ালখালী।
৫. লক্ষীছড়ি : লক্ষ্মীছড়ি, দুল্যাতলী, বর্মাছড়ি।
৬. পানছড়ি : লোগাং, পানছড়ি, চেঙ্গী, লতিবান, উল্টাছড়ি।
৭. মানিকছড়ি : মানিকছড়ি, বাটনাতলী।
৮. মহালছড়ি : মহালছড়ি, মুবাছড়ি, ক্যায়াংঘাট, মাইসছড়ি, সিন্দুকছড়ি।
উপজেলাভিত্তিক ইউনিয়নসমূহের নাম :
১. খাগড়াছড়ি সদর : খাগড়াছড়ি, কমলছড়ি, পেরাছড়া, ভাইবোনছড়া, গোলাবাড়ি।
২. মাটিরাঙ্গা : মাটিরাঙ্গা, গুইমারা, বাল্যাছড়ি, তাইন্দং, তবলছড়ি, বর্ণাল, বেলছড়ি।
৩. রামগড় : রামগড়, হাফছড়ি, পাতাছড়া।
৪. দিঘীনালা : দীঘিনালা, বাবুছড়া, মেরুং, কবাখালী, বোয়ালখালী।
৫. লক্ষীছড়ি : লক্ষ্মীছড়ি, দুল্যাতলী, বর্মাছড়ি।
৬. পানছড়ি : লোগাং, পানছড়ি, চেঙ্গী, লতিবান, উল্টাছড়ি।
৭. মানিকছড়ি : মানিকছড়ি, বাটনাতলী।
৮. মহালছড়ি : মহালছড়ি, মুবাছড়ি, ক্যায়াংঘাট, মাইসছড়ি, সিন্দুকছড়ি।
বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ :
ভদন্ত সুমনালংকার মহাথের (সাবেক পার্বত্য ভিক্ষুসংঘের সভাপতি), বাবু অনন্ত বিহারী খীসা (প্রবীন শিক্ষাবিধ), কল্পরঞ্জন চাকমা (সাবেক মন্ত্রী) , উপেন্দ্র লাল চাকমা (সাবেক এমপি), হংস ধ্বজ্ব চাকমা (সাবেক যোগাযোগ কমিটির আহ্বায়ক), নবীন কুমার ত্রিপুরা (প্রবীন শিক্ষাবিধ), প্রসীত বিকাশ খীসা (ইউপিডিএফ সভাপতি), বোধি সত্ব দেওয়ান (প্রবীন শিক্ষাবিধ), মধু মঙ্গল চাকমা (প্রবীন শিক্ষাবিধ), সুধীন কুমার চাকমা (প্রবীন শিক্ষাবিধ), যতীন্দ্ররাল ত্রিপুরা (সাবেক এমপি), প্রীতি কুমার চাকমা (সাবেক বাদী গ্রুপের প্রধান), পাইলা প্রু (সাবেক মং রাজা), শরদেন্দু শেখর চাকমা (সাবেক ভূটানে নিষুক্ত রাষ্ট্রদুত) ।
ভদন্ত সুমনালংকার মহাথের (সাবেক পার্বত্য ভিক্ষুসংঘের সভাপতি), বাবু অনন্ত বিহারী খীসা (প্রবীন শিক্ষাবিধ), কল্পরঞ্জন চাকমা (সাবেক মন্ত্রী) , উপেন্দ্র লাল চাকমা (সাবেক এমপি), হংস ধ্বজ্ব চাকমা (সাবেক যোগাযোগ কমিটির আহ্বায়ক), নবীন কুমার ত্রিপুরা (প্রবীন শিক্ষাবিধ), প্রসীত বিকাশ খীসা (ইউপিডিএফ সভাপতি), বোধি সত্ব দেওয়ান (প্রবীন শিক্ষাবিধ), মধু মঙ্গল চাকমা (প্রবীন শিক্ষাবিধ), সুধীন কুমার চাকমা (প্রবীন শিক্ষাবিধ), যতীন্দ্ররাল ত্রিপুরা (সাবেক এমপি), প্রীতি কুমার চাকমা (সাবেক বাদী গ্রুপের প্রধান), পাইলা প্রু (সাবেক মং রাজা), শরদেন্দু শেখর চাকমা (সাবেক ভূটানে নিষুক্ত রাষ্ট্রদুত) ।
আলুটিলার ঝর্ণা বা রিছাং ঝর্ণা : মহাসড়ক
হতে হেরিংবোন রাস্তায় জীপ, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস বা পায়ে হেঁটে যাতায়াত
করা যায়। আলুটিলা পর্যটন স্পট থেকে প্রায় ৩কিঃ মিঃ পশ্চিমে (খাগড়াছড়ি থেকে
১১কিঃমিঃ) খাগড়াছড়ি-মাটিরাঙ্গা সড়ক হতে বাম পার্শ্বে ১কিঃ মিঃ দক্ষিণে।
অবস্থান : আলুটিলা পর্যটন স্পট থেকে প্রায়
৩কিঃ মিঃ পশ্চিমে (খাগড়াছড়ি থেকে ১১কিঃমিঃ) খাগড়াছড়ি-মাটিরাঙ্গা সড়ক হতে
বাম পার্শ্বে ১কিঃ মিঃ দক্ষিণে।
আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র : পর্যটন
কেন্দ্রটি খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্বে অবস্থিত হওয়ায় বাস,
ট্যাক্সিযোগ যাতায়াত করা যায়।
অবস্থান : খাগড়াছড়ি শহর থেকে ৮কিঃ মিঃ পশ্চিমে আলুটিলা পাহাড় চূড়ায় আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র।
আলুটিলার সুড়ঙ্গ বা রহস্যময় সুড়ঙ্গ :
পর্যটন কেন্দ্রটি খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্বে অবস্থিত হওয়ায় বাস,
ট্যাক্সিযোগ যাতায়াত করা যায়। শহর থেকে ৮কিঃ মিঃ পশ্চিমে আলুটিলা পাহাড়
চূড়ায় আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে এর অবস্থান।
দেবতার পুকুর (দেবতার লেক)
খাগড়াছড়ি-মহালছড়ি-রাঙ্গামাটি সড়কে জেলা সদর থেকে ১১কিঃ মিঃ দক্ষিণে মূল
রাস্তা হতে ৪কিঃ মিঃ পশ্চিমে সদর উপজেলার নূনছড়ি মৌজায় চির প্রশান্তিময়
দেবতার পুকুরের অবস্থান। খাগড়াছড়ি-মহালছড়ি-রাঙ্গামাটি সড়কে জেলা সদর
থেকে ১১কিঃ মিঃ দক্ষিণে মূল রাস্তা হতে ৪কিঃ মিঃ পশ্চিমে সদর উপজেলার
নূনছড়ি মৌজায় চির প্রশান্তিময় দেবতার পুকুরের অবস্থান।
দেবতার পুকুর (দেবতার লেক)
অবস্থান : খাগড়াছড়ি-মহালছড়ি-রাঙ্গামাটি
সড়কে জেলা সদর থেকে ১১কিঃ মিঃ দক্ষিণে মূল রাস্তা হতে ৪কিঃ মিঃ পশ্চিমে সদর
উপজেলার নূনছড়ি মৌজায় চির প্রশান্তিময় দেবতার পুকুরের অবস্থান।
শান্তিপুর অরণ্য কুটির : পানছড়ি
পর্যন্ত পাকা রাস্তা। চেঙ্গী ব্রীজ পার হবার পর কিছু অংশ পাকা বাকী অংশ
হেরিংবোন। পানছড়ি পর্যন্ত বাসে, অতঃপর কার, জীপযোগে যাওয়া যায়। পানছড়ি
উপজেলা হতে চেঙ্গী নদীর অপর তীরে ৫কিঃ মিঃ দক্ষিণে ছোট্ট টিলার উপর এই
অরণ্য কুটির। খাগড়াছড়ি জেলা শহর হতে খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়ক দিয়ে ২৫ কিঃ মিঃ
রাস্তা অতিক্রম করে পানছড়ি বাজারে পৌঁছার পর দক্ষিণ দিকের ৫ কিঃ মিঃ পথ
অতিক্রম করলেই দেখা যাবে প্রকৃতির বুকে অপরূপ শোভা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে
শান্তিপুর অরণ্য কুটির। এখানে প্রধান আর্কষণ হচ্ছে বিশাল আকারে বুদ্ধ
মূর্তি।
অবস্থান : পানছড়ি উপজেলা হতে চেঙ্গী নদীর
অপর তীরে ৫কিঃ মিঃ দক্ষিণে ছোট্ট টিলার উপর এই অরণ্য কুটির।খাগড়াছড়ি জেলা
শহর হতে খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়ক দিয়ে ২৫ কিঃ মিঃ রাস্তাা অতিক্রম করে পানছড়ি
বাজারে পৌঁছার পর দক্ষিণ দিকের ৫ কিঃ মিঃ পথ অতিক্রম করলেই দেখা যাবে
প্রকৃতির বুকে অপরূপ শোভা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শান্তিপুর অরণ্য কুটির।
বিডিআর স্মৃতিসৌধ : বিডিআর এর জন্ম
সম্পর্কিত ঐতিহাসিক স্থানটি রামগড় উপজেলা পরিষদের পাশে ভারতীয় সীমান্তের
কাছাকাছি অবস্থিত। বিডিআর এর জন্ম সম্পর্কিত ঐতিহাসিক স্থানটি রামগড় উপজেলা
পরিষদের পাশে ভারতীয় সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত।
অবস্থান : বিডিআর এর জন্ম সম্পর্কিত ঐতিহাসিক স্থানটি রামগড় উপজেলা পরিষদের পাশে ভারতীয় সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত।
মুক্তিযুদ্ধ : ১৯৭১ সালের মহান
মুক্তিযুদ্ধে সারা বাংলাদেশের ন্যায় পার্বত্য চট্টগ্রামেও পাক হানাদার
বাহিনীর অনুপ্রবেশ ঘটে। আর ঠিক সে মূহুর্তে ক্যাপ্টেন আফতাবুল কাদের
স্থানীয়দের সংগঠিত করে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং সম্মুখ
যুদ্ধে শাহাদাৎ বরণ করেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। আর তাই তারই সম্মানে যে
স্থানে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন সে স্থানে তার প্রতিকৃতি নির্মিত হয়েছে।
খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি মহাসড়কে মহালছড়ি উপজেলায় প্রবেশমুখে মহালছড়ি কলেজের
পাশে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্যের অবস্থান।
মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ ও গৌরবোজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৩ সালে সরকার ক্যাপ্টেন আফতাবুল কাদেরকে মরণোত্তর ‘বীর উত্তম’ উপাধীতে ভূষিত করে।
মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ ও গৌরবোজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৩ সালে সরকার ক্যাপ্টেন আফতাবুল কাদেরকে মরণোত্তর ‘বীর উত্তম’ উপাধীতে ভূষিত করে।
রামগড়ের যুদ্ধ :
১ এপ্রিল, ’৭১-এ বিদ্রোহী ইপিআর বাহিনীর হালিশহর এবং ২ এপ্রিল কোর্ট হিলের অবস্থান দু’টি পাকবাহিনীর দখলে চলে যাবার পর থেকে পুরো চট্টগ্রাম বন্দর নগরীটির পতন ঘটে। ৩০ মার্চেই পুরো বন্দরনগরী চট্টগ্রাম একটি জন-মানব শূন্য শহরে রূপ নিয়েছিল। এরই মধ্যে অন্যান্য জেলার জনসাধারণ বিভিন্ন পথে নিজ নিজ গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে শহর ত্যাগ করে চলে যায়। ১ এপ্রিল থেকেই সীমান্ত সংলগ্ন ফেনী নদীর তীরে অবস্থিত তৎকালীন ছোট মহকুমা শহর রামগড় হয়ে ওঠে চট্টগ্রাম এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সশস্ত্র প্রতিরোধ-সংগ্রামের পাণকেন্দ্র। ফেনী নদীর অপর পাড়ে খুব নিকটেই ছিল ভারতীয় মহকুমা শহর সাবরুম। দু’টি মহকুমা ভিন্ন দেশের হলেও রামগড় এবং সাবরুমের জনগণ একে অপরের সাথে পরিচিত ছিল সুদীর্ঘকাল ধরে। ৩০ মার্চ ইপিআর বাহিনীর নেতৃত্বদানকারী ক্যাপ্টেন রফিক এবং ১ এপ্রিল অষ্টম ইস্ট বেঙ্গলের নেতৃত্ব দানকারী মেজর জিয়াউর রহমান ভিন্ন ভিন্ন ভাবে সাবরুমে ভারতীয় বিএসএফ-এর কর্মকর্তাদের সাথে অস্ত্র-শস্ত্র ও গোলা-বারুদ দিয়ে সাহায্য করার জন্য আবেদন করেন। বিএসএফ কর্মকর্তাদের নির্দেশে ক্যাপ্টেন রফিক সাবরুম থেকে চলে যান আগরতলায়। এদিকে মেজর জিয়া সাবরুমে দেখা করেন ভারতীয় বিএসএফ এর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান ব্রিগেডিয়ার পান্ডের সাথে। মেজর জিয়া এসময় কালুর ঘাট ব্রীজ এলাকায় অবস্থানকারী তাঁর নেতৃত্বাধীন বাহিনীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন। ওদিকে ক্যাপ্টেন রফিকের অনুপস্থিতিতে তাঁর নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী ইপিআর বাহিনীর সদস্যরা জেসিও এবং এনসিওদের নেতৃত্বে যে যার মত প্রতিরোধ সংগ্রাম চালিয়ে শেষ পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ক্ষয়ক্ষতিও হয় ব্যাপক। ২ এপ্রিল তেলিয়া পাড়ায় ব্রিগেডিয়ার পান্ডের সাথে দেখা হয় মেজর শফিউল্লাহ, মেজর খালেদ মোশারফ ও মেজর শাফায়াত জামিলসহ কয়েকজন বিদ্রোহী সেনা অফিসারের সাথে। ঊর্ধ্বতন বিদ্রোহী সেনা অফিসারগণ সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামটিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ৪ এপ্রিল তেলিয়া পাড়ায় একটি কনফারেন্সে যোগ দেবার জন্য রামগড়ে অবস্থানরত মেজর জিয়াকে সংবাদ পাঠানো জন্য ব্রিগেডিয়ার পান্ডেকে অনুরোধ করেন। ওদিকে আগরতলায় সংলগ্ন কোনবন এলাকায় ঢাকা শহর থেকে ২ এপ্রিল পালিয়ে আসা কর্নেল (অবঃ) এম এ জি ওসমানী, এমএনএ-কে ব্রিগেডিয়ার পান্ডে দ্বিতীয় ও চতুর্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের অস্থায়ী হেডকোয়ার্টার তেলিয়াপাড়া নিয়ে আসেন।
তেলিয়াপাড়া কনফারেন্সের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং নোয়াখালী অঞ্চলের যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয় মেজর জিয়াউর রহমানকে। ব্রিগেডিয়ার পান্ডের অনুরোধ এবং তেলিয়াপাড়া কনফারেন্সের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চট্টগ্রাম শহরটি পুনর্দখলের জন্য ক্যাপ্টেন মতিনের নেতৃত্বে চতুর্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি কোম্পানি ঐদিন সন্ধ্যার মধ্যেই রামগড়ের উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কোম্পানি দু’টি ভারতীয় ভূখন্ডের ওপর দিয়ে কয়েকশ মাইল পাহাড়ী রাস্তা পেরিয়ে ৫ এপ্রিল রাতে রামগড়ে গিয়ে পৌঁছে। ২ মে সকালে পাকিন্তানিরা রামগড়ের উপর ব্যাপক আক্রমণ চালিয়ে বসে। আর্টিলারির শেলিং-এর ফায়ার কাভার করে এগিয়ে এসে তারা করের হাট-রামগড় রাস্তাকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা মুক্তিবাহিনীর প্রতিরক্ষা ব্যূহ ভেঙে দেয়। মুক্তিযোদ্ধাদের অসম সাহসী লড়াইয়ের পরও পতন হয় রামগড়ের।
১ এপ্রিল, ’৭১-এ বিদ্রোহী ইপিআর বাহিনীর হালিশহর এবং ২ এপ্রিল কোর্ট হিলের অবস্থান দু’টি পাকবাহিনীর দখলে চলে যাবার পর থেকে পুরো চট্টগ্রাম বন্দর নগরীটির পতন ঘটে। ৩০ মার্চেই পুরো বন্দরনগরী চট্টগ্রাম একটি জন-মানব শূন্য শহরে রূপ নিয়েছিল। এরই মধ্যে অন্যান্য জেলার জনসাধারণ বিভিন্ন পথে নিজ নিজ গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে শহর ত্যাগ করে চলে যায়। ১ এপ্রিল থেকেই সীমান্ত সংলগ্ন ফেনী নদীর তীরে অবস্থিত তৎকালীন ছোট মহকুমা শহর রামগড় হয়ে ওঠে চট্টগ্রাম এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সশস্ত্র প্রতিরোধ-সংগ্রামের পাণকেন্দ্র। ফেনী নদীর অপর পাড়ে খুব নিকটেই ছিল ভারতীয় মহকুমা শহর সাবরুম। দু’টি মহকুমা ভিন্ন দেশের হলেও রামগড় এবং সাবরুমের জনগণ একে অপরের সাথে পরিচিত ছিল সুদীর্ঘকাল ধরে। ৩০ মার্চ ইপিআর বাহিনীর নেতৃত্বদানকারী ক্যাপ্টেন রফিক এবং ১ এপ্রিল অষ্টম ইস্ট বেঙ্গলের নেতৃত্ব দানকারী মেজর জিয়াউর রহমান ভিন্ন ভিন্ন ভাবে সাবরুমে ভারতীয় বিএসএফ-এর কর্মকর্তাদের সাথে অস্ত্র-শস্ত্র ও গোলা-বারুদ দিয়ে সাহায্য করার জন্য আবেদন করেন। বিএসএফ কর্মকর্তাদের নির্দেশে ক্যাপ্টেন রফিক সাবরুম থেকে চলে যান আগরতলায়। এদিকে মেজর জিয়া সাবরুমে দেখা করেন ভারতীয় বিএসএফ এর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান ব্রিগেডিয়ার পান্ডের সাথে। মেজর জিয়া এসময় কালুর ঘাট ব্রীজ এলাকায় অবস্থানকারী তাঁর নেতৃত্বাধীন বাহিনীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন। ওদিকে ক্যাপ্টেন রফিকের অনুপস্থিতিতে তাঁর নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী ইপিআর বাহিনীর সদস্যরা জেসিও এবং এনসিওদের নেতৃত্বে যে যার মত প্রতিরোধ সংগ্রাম চালিয়ে শেষ পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ক্ষয়ক্ষতিও হয় ব্যাপক। ২ এপ্রিল তেলিয়া পাড়ায় ব্রিগেডিয়ার পান্ডের সাথে দেখা হয় মেজর শফিউল্লাহ, মেজর খালেদ মোশারফ ও মেজর শাফায়াত জামিলসহ কয়েকজন বিদ্রোহী সেনা অফিসারের সাথে। ঊর্ধ্বতন বিদ্রোহী সেনা অফিসারগণ সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামটিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ৪ এপ্রিল তেলিয়া পাড়ায় একটি কনফারেন্সে যোগ দেবার জন্য রামগড়ে অবস্থানরত মেজর জিয়াকে সংবাদ পাঠানো জন্য ব্রিগেডিয়ার পান্ডেকে অনুরোধ করেন। ওদিকে আগরতলায় সংলগ্ন কোনবন এলাকায় ঢাকা শহর থেকে ২ এপ্রিল পালিয়ে আসা কর্নেল (অবঃ) এম এ জি ওসমানী, এমএনএ-কে ব্রিগেডিয়ার পান্ডে দ্বিতীয় ও চতুর্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের অস্থায়ী হেডকোয়ার্টার তেলিয়াপাড়া নিয়ে আসেন।
তেলিয়াপাড়া কনফারেন্সের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং নোয়াখালী অঞ্চলের যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয় মেজর জিয়াউর রহমানকে। ব্রিগেডিয়ার পান্ডের অনুরোধ এবং তেলিয়াপাড়া কনফারেন্সের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চট্টগ্রাম শহরটি পুনর্দখলের জন্য ক্যাপ্টেন মতিনের নেতৃত্বে চতুর্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি কোম্পানি ঐদিন সন্ধ্যার মধ্যেই রামগড়ের উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কোম্পানি দু’টি ভারতীয় ভূখন্ডের ওপর দিয়ে কয়েকশ মাইল পাহাড়ী রাস্তা পেরিয়ে ৫ এপ্রিল রাতে রামগড়ে গিয়ে পৌঁছে। ২ মে সকালে পাকিন্তানিরা রামগড়ের উপর ব্যাপক আক্রমণ চালিয়ে বসে। আর্টিলারির শেলিং-এর ফায়ার কাভার করে এগিয়ে এসে তারা করের হাট-রামগড় রাস্তাকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা মুক্তিবাহিনীর প্রতিরক্ষা ব্যূহ ভেঙে দেয়। মুক্তিযোদ্ধাদের অসম সাহসী লড়াইয়ের পরও পতন হয় রামগড়ের।
খেলাধুলা ও বিনোদন :
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ক্রীড়াঙ্গন সংক্রান্ত তথ্যাবলী :
(১) বিশেষ খেলার নাম : ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, এ্যাথলেটিকস্, হ্যান্ডবল ও ব্যাডমিন্টন।
এছাড়াও আদিবাসীদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈস্যু সাংগ্রাই ও বিজু পালনকালে ‘সুংগুই’ খেলা, ‘ধ’ খেলা, ‘আলাঢ়ী’ খেলা, ‘ঘিলা’ খেলা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
(২) খেলার স্থান : (ক) খাগড়াছড়ি স্টেডিয়াম। (খ) খাগড়াছড়ি জিমন্যাসিয়াম । (গ) ৮টি উপজেলা সদরের মাঠ। (ঘ) খাগড়াছড়ি পৌরসভার মাঠ। (ঙ) উপজাতীয়দের ঐতিহ্যবাহী খেলাসমূহ আয়োজন হয় মূলত : গ্রাম-গঞ্জের মাঠে-ঘাটে।
(৩) মাঠ ও স্টেডিয়াম সংখ্যা : (ক) মাঠ রয়েছে মোট ২২টি।
(খ) স্টেডিয়াম : ০২টি (১) খাগড়াছড়ি স্টেডিয়াম (পূর্নাঙ্গ) (২) রামগড় স্টেডিয়াম (পরিত্যক্ত)।
(১) বিশেষ খেলার নাম : ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, এ্যাথলেটিকস্, হ্যান্ডবল ও ব্যাডমিন্টন।
এছাড়াও আদিবাসীদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈস্যু সাংগ্রাই ও বিজু পালনকালে ‘সুংগুই’ খেলা, ‘ধ’ খেলা, ‘আলাঢ়ী’ খেলা, ‘ঘিলা’ খেলা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
(২) খেলার স্থান : (ক) খাগড়াছড়ি স্টেডিয়াম। (খ) খাগড়াছড়ি জিমন্যাসিয়াম । (গ) ৮টি উপজেলা সদরের মাঠ। (ঘ) খাগড়াছড়ি পৌরসভার মাঠ। (ঙ) উপজাতীয়দের ঐতিহ্যবাহী খেলাসমূহ আয়োজন হয় মূলত : গ্রাম-গঞ্জের মাঠে-ঘাটে।
(৩) মাঠ ও স্টেডিয়াম সংখ্যা : (ক) মাঠ রয়েছে মোট ২২টি।
(খ) স্টেডিয়াম : ০২টি (১) খাগড়াছড়ি স্টেডিয়াম (পূর্নাঙ্গ) (২) রামগড় স্টেডিয়াম (পরিত্যক্ত)।
বাৎসরিক যে সব খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয় :-
ক) জেলা ফুটবল লীগ (স্থান : খাগড়াছড়ি স্টেডিয়াম)
খ) জেলা ক্রিকেট লীগ (-ঐ-)
গ) জেলা ভলিবল লীগ (-ঐ-)
ঘ) জেলা হ্যান্ডবল লীগ (-ঐ-)
ঙ) জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট
চ) জেলা পরিষদ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট
ছ) সেনা জোন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট
ক) জেলা ফুটবল লীগ (স্থান : খাগড়াছড়ি স্টেডিয়াম)
খ) জেলা ক্রিকেট লীগ (-ঐ-)
গ) জেলা ভলিবল লীগ (-ঐ-)
ঘ) জেলা হ্যান্ডবল লীগ (-ঐ-)
ঙ) জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট
চ) জেলা পরিষদ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট
ছ) সেনা জোন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট
অন্য কোন খেলা থাকলে তার বিবরণ :
ক) দেশে প্রচলিত খেলাধুলার পাশাপাশি পার্বত্য জেলায় আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী আলাঢ়ী-খেলা, ধ-খেলা, খয়াঙ খেলা, ঘিলা খেলা, লুডু খেলা, পাশা খেলা, পানি খেলা, কানামাছি খেলা, পোর খেলাসহ বাঁশ খড়ম দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন প্রতি বছর চৈত্র সংক্রান্তিতে অনুষ্ঠিত হয়।
ক) দেশে প্রচলিত খেলাধুলার পাশাপাশি পার্বত্য জেলায় আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী আলাঢ়ী-খেলা, ধ-খেলা, খয়াঙ খেলা, ঘিলা খেলা, লুডু খেলা, পাশা খেলা, পানি খেলা, কানামাছি খেলা, পোর খেলাসহ বাঁশ খড়ম দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন প্রতি বছর চৈত্র সংক্রান্তিতে অনুষ্ঠিত হয়।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার বিনোদন সংক্রান্ত তথ্যাবলী:
পানি খেলা, ঘিলা খেলা, ধ-খেলা ও গড়ইয়া নৃত্য প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিতে অর্থাৎ চৈত্র মাসের শেষ তিনদিন ও বৈশাখের প্রথম তিনদিন এসব খেলার আয়োজন হয়ে থাকে। পানি খেলা, ঘিলা খেলা, ধ-খেলা ও গড়ইয়া নৃত্য প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিতে অর্থাৎ চৈত্র মাসের শেষ তিনদিন ও বৈশাখের প্রথম তিনদিন এসব খেলার আয়োজন হয়ে থাকে। উপজাতি জনগোষ্ঠীদের মধ্যে রয়েছে নানা প্রকার সাংস্কৃতিক চর্চা। তাদের আবহমানকালের সংস্কৃতিকে ধরে রাখার জন্য এ জেলাতে ‘উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট’ স্থাপন করা হয়েছে। নিম্নে উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট সংক্রান্ত কিছ তথ্য প্রদান করা হলো:
অফিসের নাম : উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
মন্ত্রণালয় ঃ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
বিভাগ ঃ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, সেগুনবাগিচা, ঢাকা।
ফোন ঃ ০৩৭১-৬২১৪৯ (অফিস), ০৩৭১-৬২৪৪৩ (বাসা)
মোবাইল- ০১৫৫৬৪৪০১৩৬
ফ্যাক্স ঃ ০৩৭১-৬২১৪৯
মেইল ঃ পযধশসধংঁংধসড়ু@ুধযড়ড়.পড়স
পানি খেলা, ঘিলা খেলা, ধ-খেলা ও গড়ইয়া নৃত্য প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিতে অর্থাৎ চৈত্র মাসের শেষ তিনদিন ও বৈশাখের প্রথম তিনদিন এসব খেলার আয়োজন হয়ে থাকে। পানি খেলা, ঘিলা খেলা, ধ-খেলা ও গড়ইয়া নৃত্য প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিতে অর্থাৎ চৈত্র মাসের শেষ তিনদিন ও বৈশাখের প্রথম তিনদিন এসব খেলার আয়োজন হয়ে থাকে। উপজাতি জনগোষ্ঠীদের মধ্যে রয়েছে নানা প্রকার সাংস্কৃতিক চর্চা। তাদের আবহমানকালের সংস্কৃতিকে ধরে রাখার জন্য এ জেলাতে ‘উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট’ স্থাপন করা হয়েছে। নিম্নে উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট সংক্রান্ত কিছ তথ্য প্রদান করা হলো:
অফিসের নাম : উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
মন্ত্রণালয় ঃ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
বিভাগ ঃ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, সেগুনবাগিচা, ঢাকা।
ফোন ঃ ০৩৭১-৬২১৪৯ (অফিস), ০৩৭১-৬২৪৪৩ (বাসা)
মোবাইল- ০১৫৫৬৪৪০১৩৬
ফ্যাক্স ঃ ০৩৭১-৬২১৪৯
মেইল ঃ পযধশসধংঁংধসড়ু@ুধযড়ড়.পড়স
প্রাকৃতিক সম্পদ :
(ক) কৃষিজ : (১) প্রধান ফসল : ধান ,গম, ভুট্টা, সরিষা, তুলা, আখ ও শাকসবজি ইত্যাদি।
(২) ফলমূল : আম, কাঁঠাল, আনারস, কলা, পেঁপে, পেয়ারা, লেবু ও তরমুজ ইত্যাদি।
(খ) খনিজ : গ্যাস (সিমুতাং গ্যাসফিল্ড, মানিকছড়ি)।
(গ) বনজ : সেগুন, গামারী, কড়ই, গর্জন, চাপালিশ, জারুল ইত্যাদি।
(ক) কৃষিজ : (১) প্রধান ফসল : ধান ,গম, ভুট্টা, সরিষা, তুলা, আখ ও শাকসবজি ইত্যাদি।
(২) ফলমূল : আম, কাঁঠাল, আনারস, কলা, পেঁপে, পেয়ারা, লেবু ও তরমুজ ইত্যাদি।
(খ) খনিজ : গ্যাস (সিমুতাং গ্যাসফিল্ড, মানিকছড়ি)।
(গ) বনজ : সেগুন, গামারী, কড়ই, গর্জন, চাপালিশ, জারুল ইত্যাদি।
নদ-নদী :
খাগড়াছড়ি জেলায় ফেনী, মাইনী ও চেঙ্গী নামে তিনটি প্রধান নদী রয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলায় ফেনী, মাইনী ও চেঙ্গী নামে তিনটি প্রধান নদী রয়েছে।
ব্যবসা বানিজ্য :
এ জেলায় উল্লেখযোগ্য তেমন কোন শিল্প কারখানা গড়ে ওঠেনি। তবে অপার সম্ভাবনার এই পাহাড়ী জনপদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, অতি ঊর্বর জমি কৃষিক্ষেত্রে সুপরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করা গেলে এ পার্বত্য জেলা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হিসেবে পরিগণিত হতে পারে।
এ জেলায় উল্লেখযোগ্য তেমন কোন শিল্প কারখানা গড়ে ওঠেনি। তবে অপার সম্ভাবনার এই পাহাড়ী জনপদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, অতি ঊর্বর জমি কৃষিক্ষেত্রে সুপরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করা গেলে এ পার্বত্য জেলা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হিসেবে পরিগণিত হতে পারে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা :
ঢাকা-খাগড়াছড়ি সড়ক যোগাযোগ :
বিআরটিসি :
খাগড়াছড়ি মোবাইল – ০১৫৫৭৪০২৫০৭
মাটিরাঙ্গা মোবাইল – ০১৫৫৭৯০৫৫৭৩
মানিকছড়ি মোবাইল- ০১৮২৭৮৫১৭৭০
ফকিরাপুল মোবাইল- ০১৬৮৯৫৯২৩০৫
ভাড়া ৭০০ টাকা, যাত্রার সময় দুপুর ১টা, রাত ৯টা
ফকিরাপুল হতে রাত ১১টা
বিআরটিসি :
খাগড়াছড়ি মোবাইল – ০১৫৫৭৪০২৫০৭
মাটিরাঙ্গা মোবাইল – ০১৫৫৭৯০৫৫৭৩
মানিকছড়ি মোবাইল- ০১৮২৭৮৫১৭৭০
ফকিরাপুল মোবাইল- ০১৬৮৯৫৯২৩০৫
ভাড়া ৭০০ টাকা, যাত্রার সময় দুপুর ১টা, রাত ৯টা
ফকিরাপুল হতে রাত ১১টা
এস.আলম সার্ভিস :
খাগড়াছড়ি মোবাইল – ০১৫৫২২৮৮৩৬৬
ফকিরাপুল মোবাইল – ০২-৯৩৩১৮৬৪, ০২-৭১৯৩৯৬১
কমলাপুর মোবাইল – ০২-৮৩১৫০৮৭, ০১৯১৭৭২০৩৯৫
গাবতলী মোবাইল – ০২-৯০০২৭০২, ০১৮১৩৩২৯৩৯৪
ভাড়া ৫২০টাকা, সকাল ৭.৪৫মি, সকাল ৯.৩০মি, দুপুর, ২টা, রাত, ৯টা
গাবতলী হতে সকাল ৬.৪৫ মি.।
ফকিরাপুল হতে রাত ১০.৩০মি, রাত ১১.৩০মি.।
খাগড়াছড়ি মোবাইল – ০১৫৫২২৮৮৩৬৬
ফকিরাপুল মোবাইল – ০২-৯৩৩১৮৬৪, ০২-৭১৯৩৯৬১
কমলাপুর মোবাইল – ০২-৮৩১৫০৮৭, ০১৯১৭৭২০৩৯৫
গাবতলী মোবাইল – ০২-৯০০২৭০২, ০১৮১৩৩২৯৩৯৪
ভাড়া ৫২০টাকা, সকাল ৭.৪৫মি, সকাল ৯.৩০মি, দুপুর, ২টা, রাত, ৯টা
গাবতলী হতে সকাল ৬.৪৫ মি.।
ফকিরাপুল হতে রাত ১০.৩০মি, রাত ১১.৩০মি.।
শ্যামলী পরিবহন :
খাগড়াছড়ি মোবাইল – ০১৫৫২৭৪১৮৯৫
ফকিরাপুলমোবাইল – ০২-৯৩৩৩৩৬৪, ০১৭৩৩৮০৪০৪১
গাবতলী মোবাইল – ০১৭২০১৩২২৫৫
ভাড়া ৫২০টাকা, সকাল ১০টা, দুপুর ১.৩০মি, রাত ৯টা
গাবতলী হতে রাত ১০.৩০মি.।
খাগড়াছড়ি মোবাইল – ০১৫৫২৭৪১৮৯৫
ফকিরাপুলমোবাইল – ০২-৯৩৩৩৩৬৪, ০১৭৩৩৮০৪০৪১
গাবতলী মোবাইল – ০১৭২০১৩২২৫৫
ভাড়া ৫২০টাকা, সকাল ১০টা, দুপুর ১.৩০মি, রাত ৯টা
গাবতলী হতে রাত ১০.৩০মি.।
ঈগল পরিবহন :
খাগড়াছড়ি মোবাইল -০১৯৭৩২৫৯৬৯৫
গাবতলী মোবাইল -০২-৯০০৬৭০০
ভাড়া ৫২০টাকা, সকাল ১০টা, রাত ৯টা
গাবতলী হতে সকাল ৬.৪৫মি., রাত ৯.৪৫মি.
খাগড়াছড়ি মোবাইল -০১৯৭৩২৫৯৬৯৫
গাবতলী মোবাইল -০২-৯০০৬৭০০
ভাড়া ৫২০টাকা, সকাল ১০টা, রাত ৯টা
গাবতলী হতে সকাল ৬.৪৫মি., রাত ৯.৪৫মি.
সৌদিয়া :
খাগড়াছড়ি মোবাইল – ০১৯১৯৬৫৪৮৮২
গাবতলী মোবাইল – ০১৯১৯৬৫৪৮৬৩
ভাড়া ৫২০টাকা, রাত ৯টা
গাবতলী হতে রাত ১০.৩০মি.
খাগড়াছড়ি মোবাইল – ০১৯১৯৬৫৪৮৮২
গাবতলী মোবাইল – ০১৯১৯৬৫৪৮৬৩
ভাড়া ৫২০টাকা, রাত ৯টা
গাবতলী হতে রাত ১০.৩০মি.
শান্তি পরিবহন :
খাগড়াছড়ি মোবাইল – ০৩৭১-৬১৮০৭
গাবতলী মোবাইল – ০১১৯০৯৯৪০০৮
ভাড়া ৫২০টাকা, সকাল ৭.৪৫মি. ৮.৪৫মি. ১১.০০মি
দুপুর ১২.৩০মি. ১.৩০মি. ২.৩০মি. ৩.৩০মি.
বিকাল ৪.৩০মি. রাত ৮.৩০মি.
গাবতলী সকাল ৯.৩০মি. ১১.৩০মি. রাত ৯.০০মি.
খাগড়াছড়ি মোবাইল – ০৩৭১-৬১৮০৭
গাবতলী মোবাইল – ০১১৯০৯৯৪০০৮
ভাড়া ৫২০টাকা, সকাল ৭.৪৫মি. ৮.৪৫মি. ১১.০০মি
দুপুর ১২.৩০মি. ১.৩০মি. ২.৩০মি. ৩.৩০মি.
বিকাল ৪.৩০মি. রাত ৮.৩০মি.
গাবতলী সকাল ৯.৩০মি. ১১.৩০মি. রাত ৯.০০মি.
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ঠিকানা :
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
পোস্ট কোড: ৪৪০০।
ফোন নং : ০৩৭১-৬১৮১১
ফ্যাক্স নং : ০৩৭১-৬১৩২৮
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
পোস্ট কোড: ৪৪০০।
ফোন নং : ০৩৭১-৬১৮১১
ফ্যাক্স নং : ০৩৭১-৬১৩২৮
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার পত্র-পত্রিকাসমূহ ঃ
১. প্রতিদিন খাগড়াছড়ি
সম্পাদক তরুণ কুমার ভট্টাচার্য্য
উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয় এলাকা,
খাগড়াছড়ি সদর।
ফোন-০৩৭১-৬২০৫৩
মোবাঃ ০১৭১৫৭৫৫৩৫০
সম্পাদক তরুণ কুমার ভট্টাচার্য্য
উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয় এলাকা,
খাগড়াছড়ি সদর।
ফোন-০৩৭১-৬২০৫৩
মোবাঃ ০১৭১৫৭৫৫৩৫০
২. দৈনিক অরণ্যবার্তা
সম্পাদক চৌধুরী আতাউর রহমান
মাষ্টারপাড়া, খাগড়াছড়ি সদর।
ফোন-০৩৭১-৬১০২৯,
মোবাঃ ০১৫৫৪৩০৭০৮৬
সম্পাদক চৌধুরী আতাউর রহমান
মাষ্টারপাড়া, খাগড়াছড়ি সদর।
ফোন-০৩৭১-৬১০২৯,
মোবাঃ ০১৫৫৪৩০৭০৮৬
হোটেল ও আবাসনের তালিকা :
ডাকবাংলো : জেলা পরিষদ, খাগড়াছড়ি মহালছড়ি উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ডাকবাংলোটি অবস্থিত। এটি জেলা পরিষদ কর্তৃক একটি এনজিও সংস্থাকে বর্তমানে ভাড়া দেওয়া হয়েছে মর্মে জানা যায়।
হোটেল/আবাসনের ধরণ :
হোটেল নিরিবিলি : মো: মীর হোসেন মানিকছড়ি বাজার সড়কস্থ আকাশপুরি নামক স্থানে মানিকছড়ি সদর ইউনিয়নে অবস্থিত, মোবাইল নং- ০১৮১৩৩৪৩৮৫১, ০১৮২০৭১৪৪৪২।
হোটেল শৈল সুবর্ণা (আবাসিক) : শামসুল আলম, খাগড়াছড়ি বাজার, চাউল বাজার রাস্তা, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা। ০১৮৩১-১৪৭৩১০
ক্যাফে চমক হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট : জনাব নুরুল আলম, সাং- আরামবাগ, ৩নং পৌর ওয়ার্ড, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
হোটেল গাইরিং : জনাব এস. অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা, সাং-মিলন পুর, ৭নং পৌর ওয়ার্ড, সদর উপজেলা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
হোটেল ফোর স্টার (আবাসিক) : জনাব সিরাজুল ইসলাম মসজিদ রোড, খাগড়াছড়ি বাজার, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা ০৩৭১-৬২২৪০।
ডাকবাংলো : জেলা পরিষদ, খাগড়াছড়ি মহালছড়ি উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ডাকবাংলোটি অবস্থিত। এটি জেলা পরিষদ কর্তৃক একটি এনজিও সংস্থাকে বর্তমানে ভাড়া দেওয়া হয়েছে মর্মে জানা যায়।
হোটেল/আবাসনের ধরণ :
হোটেল নিরিবিলি : মো: মীর হোসেন মানিকছড়ি বাজার সড়কস্থ আকাশপুরি নামক স্থানে মানিকছড়ি সদর ইউনিয়নে অবস্থিত, মোবাইল নং- ০১৮১৩৩৪৩৮৫১, ০১৮২০৭১৪৪৪২।
হোটেল শৈল সুবর্ণা (আবাসিক) : শামসুল আলম, খাগড়াছড়ি বাজার, চাউল বাজার রাস্তা, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা। ০১৮৩১-১৪৭৩১০
ক্যাফে চমক হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট : জনাব নুরুল আলম, সাং- আরামবাগ, ৩নং পৌর ওয়ার্ড, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
হোটেল গাইরিং : জনাব এস. অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা, সাং-মিলন পুর, ৭নং পৌর ওয়ার্ড, সদর উপজেলা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা।
হোটেল ফোর স্টার (আবাসিক) : জনাব সিরাজুল ইসলাম মসজিদ রোড, খাগড়াছড়ি বাজার, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা ০৩৭১-৬২২৪০।
No comments
Post a Comment