মহিলা সিটে পুরুষ বসলে ১ মাসের কারাদণ্ড
যানবাহনে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে পুরুষ যাত্রী বসলে তাকে এক মাসের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেয়া হবে।
এছাড়া চালক হওয়ার জন্য ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি পাস এবং চালকের সহকারী হতে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা থাকতে হবে।
প্রস্তাবিত ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৭’-এ এমন বিধান রাখা হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০টায় সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন আইনের খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করা হয়।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের তৈরি করা এ আইন অনুযায়ী, কোনো চালক গাড়ি
চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বললে তাকে এক মাসের কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার
টাকা জরিমানা করা হবে।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান,
উচ্চ আদালতের নির্দেশে ১৯৮৩ সালের মোটরযান অধ্যাদেশকে নতুন আইনে পরিণত করা
হয়েছে।
তিনি জানান, নতুন আইনে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে, পরিবর্তন আনা হয়েছে শাস্তিতেও। এতে গাড়ি চালনায় ২৫টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগের আইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে শিক্ষাগত
যোগ্যতার কোনো শর্ত ছিল না। নতুন আইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য
চালককে কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে।
আর চালকের সহকারী হতে হলে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া থাকতে হবে এবং বাধ্যতামূলকভাবে লাইসেন্স নিতে হবে বলে জানান তিনি।
শফিউল আলম জানান, কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড দেয়া হবে।
অন্যদিকে চালকের সহকারীর লাইসেন্স না থাকলে এক মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
তিনি বলেন, গাড়ি চালনার জন্য চালকের বয়স আগের মতই কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। আর পেশাদার চালকদের বয়স হতে হবে কমপক্ষে ২১ বছর।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নতুন আইন পাস হলে কেউ গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।
তিনি জানান, এ আইন ভাঙলে এক মাসের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা
হতে পারে। আর এমন অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় চালকদের গ্রেফতার
করতে পারবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালালে এক বছর কারাদণ্ড বা এক
লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হবে। আর পাল্লা দিয়ে (রেসিং) চালানোর সময় দুর্ঘটনা
ঘটলে, সে ক্ষেত্রে তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা ২৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান
রাখা হয়েছে।
তবে দুর্ঘটনার জন্য মৃত্যু বা অন্যান্য ক্ষেত্রে আগের মতোই দণ্ডবিধি
অনুযায়ী শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি। ব্যাখ্যায় মন্ত্রিপরিষদ
সচিব বলেন, কেউ যদি গাড়ি চালিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নরহত্যা করে, তাহলে
৩০২ ধারা অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হবে। আর মৃত্যু নয়, এমন ঘটনায় ৩০৪ ধারা
অনুযায়ী সাজা দেয়া হবে। শুধু দুর্ঘটনা হলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড
দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, চালকরা যাতে আইন মেনে চলেন, সেজন্য পয়েন্টভিত্তিক
ব্যবস্থা চালু হবে। মোট ১২ পয়েন্ট বরাদ্দ থাকবে। বিভিন্ন অপরাধের জন্য
চালকের পয়েন্ট কাটা যাবে। পয়েন্ট শূন্য হয়ে গেলে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স
বাতিল হয়ে যাবে।
আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট আইন-২০১৭ এবং
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট (সংশোধন) আইন ২০১৭-এর খসড়ারও নীতিগত
অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তথ্যসূত্র:ফ্রীডমবিডি২৪আপডেটঃ মার্চ ২৭, ২০১৭ সোমবার
তথ্যসূত্র:ফ্রীডমবিডি২৪আপডেটঃ মার্চ ২৭, ২০১৭ সোমবার
No comments
Post a Comment