বান্দরবান পরিচিতি
বান্দরবান জেলার নামকরণ নিয়ে একটি কিংবদন্তি রয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের প্রচলিত রূপ কথায় আছে অত্র এলাকায় এক সময় বাস করত অসংখ্য বানর। আর এই বানর গুলো শহরের প্রবেশ মুখে ছড়ার পাড়ে পাহাড়ে প্রতিনিয়ত লবণ খেতে আসত। এক সময় অনবরত বৃষ্টির কারণে ছড়ার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বানরের দল ছড়া পাড় হয়ে পাহাড়ে যেতে না পারায় একে অপরকে ধরে ধরে সারিবদ্ধভাবে ছড়া পাড় হয়। বানরের ছড়া পারাপারের এই দৃশ্য দেখতে পায় এই জনপদের মানুষ। এই সময় থেকে এই জায়গাটির পরিচিতি লাভ করে "ম্যাঅকছি ছড়া" হিসাবে । অর্থ্যাৎ মার্মা ভাষায় ম্যাঅক অর্থ বানর আর ছিঃ অর্থ বাঁধ। কালের প্রবাহে বাংলা ভাষাভাষির সাধারণ উচ্চারণে এই এলাকার নাম রুপ লাভ করে বান্দরবান হিসাবে। বর্তমানে সরকারি দলিল পত্রে বান্দরবান হিসাবে এই জেলার নাম স্থায়ী রুপ লাভ করেছে। তবে মার্মা ভাষায় বান্দরবানের প্রকৃত নাম "রদ ক্যওচি ম্রো"।
জেলা রূপে আবির্ভাব :
বৃটিশ শাসন আমলে ১৮৬০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামকে জেলা ঘোষণা করা হয়। তৎকালীন সময়ে বান্দরবান পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার অধীন ছিলো। ক্যাপ্টেন মাগ্রেথ ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার প্রথম সুপারিনট্যানডেন্ট। ১৮৬৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার সুপারিনট্যানডেন্ট পদটির কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করা হয় এবং ১৮৬৭ সালে এই পদটির নামকরণ করা হয় ডেপুটি কমিশনার। পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার প্রথম ডেপুটি কমিশনার ছিলেন টি, এইচ লুইন। ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন অনুসারে পার্বত্য চট্টগ্রামকে তিনটি সার্কেলে বিভক্ত করা হয়- চাকমা সার্কেল, মং সার্কেল, এবং বোমাং সার্কেল। প্রত্যেক সার্কেলের জন্য একজন সার্কেল চীফ নিযুক্ত ছিলেন। বান্দরবান তৎকালীন সময়ে বোমাং সার্কেলের অর্ন্তভুক্ত ছিলো। বোমাং সার্কেলের অন্তর্ভূক্ত হওয়ার কারণে এই জেলার আদি নাম বোমাং থং।
বান্দরবান জেলা ১৯৫১ সালে মহকুমা হিসেবে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু করে। এটি রাংগামাটি জেলার প্রশাসনিক ইউনিট ছিলো। পরর্বতীতে ১৯৮১ সালের ১৮ই এপ্রিল, তৎকালিন লামা মহকুমার ভৌগলিক ও প্রশাসনিক সীমানাসহ সাতটি উপজেলার সমন্বয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলা হিসাবে আত্ম প্রকাশ করে।
ভৌগলিক পরিচিতি :
বান্দরবান বাংলাদেশের ২১.১১ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ হতে ২২.২২'ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২.৪০ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ হতে ৯২.৪১' পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এ জেলার উত্তরে রাঙ্গামাটি জেলা, দক্ষিণে আরাকান (মায়ানমার), পূর্বে ভারত এবং পশ্চিমে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা অবস্থিত। প্রধান গিরি শ্রেণীর মধ্যে- মিরিঞ্জা, ওয়ালটং, তামবাং এবং পলিতাই উল্লেখযোগ্য। এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস ও বার্ষিক বৃষ্টিপাত ৩.৩১ মি: মি:। এখানকার পাহাড় শ্রেণী সমূহ সমদ্র পৃষ্ঠ হতে ৩০০-১১০০ মিটার উচ্চে অবস্থিত। সাঙগু, মাতামুহুরী এবং বাঁকখালী এ জেলার প্রধান নদী ।
এক নজরে জেলার বিভিন্ন তথ্য :
আয়তন /ক্ষেত্রফল : ৪৪৭৯.০৩বর্গ কিঃমিঃ
সংসদীয় এলাকার সংখ্যা : ১টি আসন, নং -৩০০, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
মোট লোক সংখ্যা : ৪,০৪,০৯৩ জন। পুরুষ ২,১১,৬২৮ জন, মহিলা ১,৯২,৪৬৫ জন।
ভোটার সংখ্যা : ১,৭৪,৩৫৯ জন। পুরুষ ৯২,৪১৭ জন, মহিলা ৮১,৯৪২ জন।
শিক্ষার হার : ৩৫.৯%। পুরুষ ৪০.৩%, মহিলা ৩০.৯%
উপজেলার সংখ্যা : ০৭টি
থানার সংখ্যা : ০৭টি
পৌরসভার সংখ্যা : ০২টি
ইউনিয়নের সংখ্যা : ৩১টি
গ্রাম সংখ্যা/পাড়াা : ১৪৮২টি
মৌজার সংখ্যা : ৯৬টি
কলেজের সংখ্যা : ০৫টি
হাইস্কুলের সংখ্যা : ২৭টি
মাদ্রাসার সংখ্যা : ০৮টি
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা : ২১৯টি
বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা : ১৫০টি
কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্য : ০২টি
টেক্সটাইল ভোকেশনাল প্রেনিং ইন্সটিটিউট : ০১টি
শিশু একাডেমী : ০১টি
মসজিদের সংখ্যা : ২৯৭টি
হিন্দু মন্দিরের সংখ্যা : ৩৪টি
বৌদ্ধ মন্দিরেরসংখ্যা : ১৭৭টি
গীর্জার সংখ্যা : ১১৩টি
মোট আবাদি জমির পরিমাণ : ১,০১,১৯৩.৫০একর
অর্থকরী ফসল : আদা, হলুদ, তিল, তুলা, আনারস, কাজুবাদাম, কমলা, কলা, কাঁঠাল, লেবু, তামাক, ইক্ষুসহ নানা প্রকারশাকসব্জি ।
শিল্প প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা : ০৩টি : ০১টি বড়, ০১টি মধ্যম এবং ০১টি কুটির শিল্প ।
দর্শনীয় স্থানের নাম : মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স, চিম্বুক, শৈল প্রপাত, প্রান্তিক লেক, বগালেক, কেওক্রাডং, তজিংডং, মিরিঞ্জা, ঋজুক জল প্রপাত, নীলাচল পর্যটন কমপ্লেক্স, নীলগিরি, স্বর্ণমন্দির, ক্যওজাদি পাহাড়, নতুন ব্রীজ রীভার ভিউ, আলীর সুড়ঙ্গ, তিন্দু পাথর ছড়া, রাইংখং পুকুর।
পাকা রাস্তা : ৩৫৯ কি : মি :
আধা পাকা রাস্তা : ১৮২ কি : মি :
কাঁচা রাস্তা : ১৫০কি: মি:
জনসংখ্যার ঘনত্ব : ৬৭ জন (প্রতি বর্গ কি:মি:)
জেলা কারাগার : ০১টি
বিকাশমান ক্ষেত্র : পর্যটন, বনভিত্তিক শিল্প, চা শিল্প, রাবার শিল্প, বাশঁ ভিত্তিক হস্তশিল্প, তাঁত ভিত্তিক হস্তশিল্প, ফল ভিত্তিক শিল্প, খনিজ সম্পদ ।
সিনেমা হল : ০৫টি
নদ-নদী : ০৩টি (সাংগু, মাতামুহুরী এবং বাকখালী)
স্টেডিয়াম : ০১টি
উপজেলা ও ইউনিয়ন :
বান্দরবান সদর : ৩নং বান্দরবান ইউনিয়ন, ২নং কুহালং, ৪নং সুয়ালক, ৫নং টংকাবতী, ১নং রাজবিলা
লামা : আজিজনগর, লামা, গজালিয়া, সরই, রুপসীপাড়া, ফাসিঁয়াখালী, ফাইতং
আলীকদম : আলীকদম, চৈক্ষ্যং
নাইক্ষংছড়ি : নাইক্ষ্যংছড়ি, বাইশরী, দোছড়ী, ঘুমধুম,সোনাইছড়ি
রুমা : পাইন্দু, রুমা সদর, রেমাক্রী প্রাংসা, গালেংগ্যা
রোয়াংছড়ি : রোয়াংছড়ি, তারাছা নয়াপতং, আলেক্ষ্যং
থানছি : থানছি, রেমাক্রী, তিন্দু, বলিপাড়া
জেলার ঐতিহ্য :
ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি এবং কক্সবাজার থেকে বান্দরবান বাস যোগাযোগ রয়েছে। বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে বালাঘাটায় রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মন্দির। এটি সম্পূর্ণরুপে দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার মন্দিরগুলোর অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে এবং বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৌদ্ধ মুর্তিটি এখানে রয়েছে। স্থানীয়ভাবে এটি হলো "বুদ্ধ ধাতু জাদি"। এছাড়াা শহরের মধ্যেই রয়েছে জাদিপাড়াার রাজবিহার এবং উজানীপাড়ার বিহার। শহর থেকে চিম্বুকের পথে যেতে পড়বে বম ও ¤্রাে উপজাতীয়দের গ্রাম। প্রান্তিক হ্রদ, জীবননগর এবং কিয়াচলং হ্রদ আরও কয়েকটি উল্লেখ্য পর্যটন স্থান। রয়েছে মেঘলা সাফারী পার্ক, যেখানে রয়েছে দুটি সম্পূর্ণ ঝুলন্ত সেতু। সাঙগু নদীতে নৌকা ভ্রমণ, ভ্রমণ পিয়াসীদের জন্য হতে পারে একটি মনোহর অভিজ্ঞতা। বান্দরবান শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শৈল প্রপাত একটি আকর্ষণীয় পাহাড়ি ঝর্ণা।
এছাড়া বাংলাদেশের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ তাজিংডং এবং বৃহত্তম পর্বতশৃঙ্গ কেওক্রাডং এই বান্দরবান জেলাতেই অবস্থিত। মৌসুম গুলোতে এই দুটি পর্বতশৃঙ্গে আরোহন করার জন্য পর্যটকদের ভীড় জমে উঠে। পর্যটকরা সাধারণত বগা লেক থেকে হেঁটে কেওক্রাডং এ যান। অনেকেই আছেন যারা কেওক্রাডং না গিয়ে বগা লেক থেকে ফিরে আসেন। এই হ্রদটিও বিশেষ দর্শনীয় স্থান। হ্রদ সন্নিহিত এলাকায় বম উপজাতিদের বাস। এছাড়া অন্যান্য আকর্ষণের মধ্যে আছে :
বাকলাই ঝরণা, বগা লেক, বুদ্ধ ধাতু জাদি, চিম্বুক পাহাড় রেঞ্জ, চিনরি ঝিরি ঝরণা, ফাইপি ঝরণা, জাদিপাই ঝরণা, কেওক্রাডং, মেঘলা, মিরিংজা পর্যটন, নাফাখুম, রেমাক্রি, নীলাচল, নীলগিরি, থানচি, পতংঝিরি ঝরণা, প্রান্তিক লেক, রাজবিহার, উজানিপারা বিহার, রিজুক ঝরণা, সাংগু নদী, শৈল প্রপাত, তাজিংডং উপবন পর্যটন ।
দর্শনীয় স্থান :
চিম্বুক পাহাড় : চাঁন্দের গাড়ি/ঝীপ/মাইক্রোবাস/পাবলিক বাস যোগে যাওয়া যায়। এর অবস্থান বান্দরবান সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের আওতাভূক্ত ।
নীলগিরি : যে কোনো গাড়িতে চড়ে সরাসরি নীলগিরিতে যাওয়া যায়। বান্দরবান জেলা সদর থেকে প্রায় ৪৭ কিলোইমটার দক্ষিণ পূর্ব দিকে বান্দরবান-থানছি সড়কে পাহাড় চূড়ায় নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র অবস্থিত।
মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স : বান্দরবান শহর থেকে চান্দের গাড়ি, বেবি টেক্সি, জীপ, কার যোগে যাওয়া যায়। শহর থেকে ৪ কি: মি: দূরে জেলা পরিষদের বিপরীতে সুন্দর মনোরম পরিবেশে অবস্থিত।
বগা লেক : শুষ্ক মৌসুমে বান্দরবান হতে চাঁন্দের গাড়িতে যাওয়া যায়। এটি রুমা উপজেলায় অবস্থিত।
নীলাচল : বান্দরবান শহর থেকে চান্দের গাড়ি বেবি টেক্সি, জীপ, কার যোগে যাওয়া যায়। শহর থেকে ৫ কি. মি. দূরে টাইগার পাড়া এলাকায় অবস্থিত।
শৈল প্রপাত : বান্দরবান শহর থেকে চান্দের গাড়ি/বেবী টেক্সি/প্রাইভেট কার/জীপে যাওয়া যায়। বান্দরবান-রুমা সড়কে ৮ কি. মি. দূরত্বে অবস্থিত।
প্রান্তিক লেক : চাঁন্দের গাড়ি/ঝীপ/মাইক্রোবাস/পাবলিক বাস যোগে যাওয় যায়। এটি বান্দরবান কেরানি হাট সড়কের হলুদিয়া নিকটবর্তী এলাকায়।
জীবন নগর পাহাড় : কেবলমাত্র শুষ্ক মৌসুমে গাড়ি করে এর কাছাকাছি পৌছা সম্ভব। বান্দরবান সদর হতে অথবা রুমা উপজেলা সদর হতে চাঁন্দের গাড়ি ভাড়া পাওয়া যায়। বান্দরবান সদর হতে প্রায় ৭০ কি. মি. দূরে থানচি উপজেলায় অবস্থিত।
মিরিঞ্চা : বান্দরবান শহর থেকে জীপ/চান্দের গাড়ি প্রাইভেট কারে যাওয়া যায়। বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায়।
আলী সুড়ঙ্গ : আলীদম উপজেলা সদর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। একটি লোহায় সিঁড়ি বেয়ে এ সুড়ঙ্গে যেতে হয়। সাথে টচ লাইট থাকা ভাল। বান্দরবান শহর থেকে ১১৮ কিলোমিটার দূরে আলীকদম উপজেলায় এটি অবস্থিত।
শুভ্র নীল : চান্দের গাড়ি, প্রাইভেট কার, বেবি টেক্সি শহর থেকে ৫ কি. মি. দূরে টাইগার পাড়া এলাকায় অবস্থিত।
তাজিংডং বিজয় : কেবলমাত্র শুষ্ক মৌসুমে গাড়ি করে কাছাকাছি পৌঁছা সম্ভব। বান্দরবান সদর হতে অথবা রুমা উপজেলা সদর হতে চাঁন্দের গাড়ি ভাড়া পাওয়া যায়। এটি রুমা উপজেলায়।
কেওক্রাডং : বগালেক থেকে শুষ্ক মৌসুমে চাঁন্দের গাড়িতে পাহাড় চূড়ায় পৌছা যায়। তবে এ জাতীয় গাড়ির সংখ্যা খুবই কম বিধায় গমনের পূর্বেই গাড়ী ভাড়া করতে হবে। সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কেওক্রাডং পাহাড় সফর করেছেন। তিনি এখানে একটি স্মৃতি ফলক উন্মোচন করেন। এটি রুমা উপজেলায় ।
ক্যামলং জলাশয় : জেলা শহর থেকে ৫ কি. মি.। রিকশা, ইজিবাইক সহ সকল যানবাহন যোগে এখানে যাওয়া যায়।
উপবন লেক : শহর থেকে চান্দের গাড়ি বেবি টেক্সি, জীপ, কার যোগে যাওয়া যায়। বান্দরবান জেলাধীন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরে অবস্থিত কৃত্রিম হ্রদ।
কানাপাড়া পাহাড় : চাঁন্দের গাড়ি জীপ বেবী টেক্সিতে কানাপাড়া যাওয়া যায়। বান্দরবান সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের আওতাভূক্ত ।
বৌদ্ধ ধাতু জাদী (স্বর্ণ মন্দির) : শহর থেকে চান্দের গাড়ি বেবি টেক্সি, জীপ, কার যোগে যাওয়া যায়। বান্দরবান শহর হতে ৪ কি:মি: দূরত্বে বান্দরবান-রাংগামাটি সড়কের পার্শ্বে পুরপাড়া নামক স্থানে সুউচ্চ পাহাড়ের চূড়ায় স্বর্ণ মন্দির এর অবস্থান।
প্রখ্যাত ব্যক্তিত :
১. বীর বিক্রম ইউ. কে. চিং মার্মা: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসের এক স্মরণীয় অধ্যায়। বাংলাদেশের আপামর জনগণ এক হয়ে এই যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। পরাধীন দেশকে স্বাধীন করার ব্রত নিয়ে যাঁরা এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাঁদের একজন ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপজাতী ইউ. কে. চিং মার্মা।
২. ভদন্ত উ. পঞ্ঞ জোত মহাথের : বৌদ্ধ শাসন সেবক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা, রাম জাদি (চৈত্য) প্রতিষ্ঠাতা. স্বর্ণ মন্দির বা জাদি (চৈত্য) রুপকার।
৩. বাবু বীর বাহাদুর (এমপি) : জাতীয় সংসদ সদস্য।
ভাষা ও সংস্কৃতি :
পার্বত্য চট্টগ্রামে মোট ১১টি নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর বসতি রয়েছে। এরা হচ্ছেন মারমা, চাকমা, মুরং, ত্রিপুরা, লুসাই, খুমি, বোম, খেয়াং, চাক, পাংখো ও তংচংগ্যা । এ ১১টি জাতিগোষ্ঠির বসবাস রয়েছে একমাত্র বান্দরবান জেলাতে। বান্দরবান জেলায় বসবাসকারী উপজাতী জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংখ্যা গরিষ্ঠ সম্প্রদায় হলো ‘‘মারমা’’। তাদের সংখ্যা ৭৫,৮৮০জন। তারা মূলতঃ ¤্রাইমা নামে বার্মা হতে এসে বসতি স্থাপন করেছে অত্র এলাকাতে।
বান্দরবানের ২য় বৃহত্তর উপজাতি জনগোষ্ঠী মুরং (ম্রো) সম্প্রদায়। তাঁদের সংখ্যা ২৮,১০৯ জন। তাঁরা বার্মার আরাকান রাজ্য হতে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে খুমীদের সাথে প্রচন্ড সংঘর্ষে পরাজিত হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চলে এসে বসতি গড়ে তোলে। এ জেলায় ৩য় বৃহত্তর জনগোষ্ঠী হল ত্রিপুরা। তাঁদের সংখ্যা ১০,৪৭৮ জন। যদিও খাগড়াছড়িতে তাঁদের সংখ্যা বেশি। ত্রিপুরারা মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত। তাদের আদি নিবাস ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। এ জেলায় তংচংগ্যা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ৭,০০০ জন। তংচংগ্যা সমাজ চাকমাদের একটি উপশাখা হলেও তাঁরা তা অস্বীকার করে নিজেদের পৃথক জাতীসত্ত্বারূপে মনে করে। এ ছাড়া বান্দরবানে বসবাসরত অবশিষ্ট ০৬টি উপজাতির সংখ্যা মোট ১৪,৩৮৯ জন। তন্মধ্যে লুসাই জাতিগোষ্ঠী প্রায় ১৫০ বছর আগে ভারতের মিজোরাম হতে পার্বত্য চট্টগ্রামে এসে বর্তমান রাঙ্গামাটি জেলার সাজেক এলাকায় কেন্দ্রিভূত হয়। খুমীরা সপ্তদশ শতাদ্বীর শেষের দিকে মায়ানমারের আরাকান অঞ্চল হতে আসে। বোমরা সংযুক্ত জাতি। তাদের আদি নিবাস বার্মার ইরাবতী ও চীনদুইন নদীর মধ্যবতী এলাকায়।
এ অঞ্চলের ইতিহাসে জানা যায় ১৮৩৮-৩৯ সালের দিকে তাঁরা এ অঞ্চলে আসে। খিয়াংরা অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে এ এলাকায় আসে। তাঁরা আরাকানের উমাতাং অঞ্চলে বসবাস করত। চাকরা আরাকান থেকে এ অঞ্চলে আসে। এদের আদীবাস চীনের যুনান প্রদেশে। পাংখোরা ভারতের লুসাই পাহাড় ও মিজোরাম হতে এ অঞ্চলে আসে। ইতিহাস বলে যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকাংশ উপজাতিই এসেছে পাশ্ববর্তী দেশ বার্মা, চীন, ভারতের মিজোরাম ও ত্রিপুরা রাজ্য হতে। সে কারণে এ অঞ্চলের উপজাতিদের সাথে পাশ্ববর্তী রাষ্ট্রের উপজাতি বা আদিবাসীদেরও মিল পাওয়া যায়। ঐতিহাসিক তথ্য প্রমাণ থেকে জানা যায় যে, সুপ্রাচীন কাল থেকেই পার্বত্য এলাকায় অ-উপজাতীয় জনগণের বসতি ছিল, যদিও মোঘল সুবেদার শায়েস্তা খাঁর আমলে (১৬৬৬) তাদের দৃপ্ত পদচারণা লক্ষণীয়। ১৭৬০ সাল পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম ছিল মোগল স¤্রাটের অধীন। তখন চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামসহ গোটা এলাকাটির নাম ছিল ইসলামাবাদ। ১৫১৮ সালে বাংলাদেশ ভ্রমণকারী পর্তুগীজ বনিকের বর্ণনামতে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলা ভাষাভাষীদের বসবাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। বর্তমানে এ জেলায় ৪৭% উপজাতি জনগোষ্ঠী এবং ৫৩% অ-উপজাতি জনগোষ্ঠীর বসতি রয়েছে।
উপজাতীয়দের বৈসাবী উৎসব :
১৯৪৭ সালে বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারত বিভক্তি সম্পন্ন হয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম পাকিস্থানের অন্তর্ভূক্ত হয়। ১৯৫৬ ও ১৯৬২ সালের সংবিধানে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশেষ এলাকার মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখা হলেও ১৯৬৩ সালে সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে উক্ত বিশেষ এলাকার মর্যাদা বাতিল করা হয়। ১৯৮৯ সালে তিন পার্বত্য জেলায় স্থানীয় সরকার পরিষদ গঠিত হয়। ১৯৯৬ সালে গঠিত জাতীয় কমিটি কর্তৃক উপজাতীয় নেতাদের সাথে বৈঠকের প্রেক্ষিতে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ জেলায় বসবাসরত নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠির রয়েছে আলাদা আলাদা ভাষা ও সংস্কৃতি। এদের অনেক রীতিনীতি, কৃষ্টি, সামাজিক জীবনাচার ও গৌরবময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে মহামান্বিত ও বৈচিত্র্যময় করেছে। এক সময়ের প্রচলিত রাজ প্রথা ও রাজ পূণ্যাহ্ অনুষ্ঠান মূলত: এ জেলাতেই হয়ে থাকে।
খেলাধুলা ও বিনোদন :
ক্রীড়া ঃ
দেশের অন্যান্য জেলার মত বান্দরবান জেলায় বিভিন্ন ধরণের খেলাধূলার প্রচলন রয়েছে। খেলাধূলার জন্য একটি স্টেডিয়াম আছে। স্টেডিয়ামটি বান্দরবান সদর উজেলায় অবস্থিত। এই স্টেডিয়ামে বাৎসরিক বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বলি খেলা এ অঞ্চলের একটি অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। ০৭টি উপজেলা নিয়ে জেলা সদরের স্টেডিয়ামে ফুটবল, ক্রিকেট প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং বান্দরবানের জনগণ তা উপভোগ করে। নিম্নে বান্দরবান জেলায় প্রচলিত খেলাধূলার নাম দেয়া হল :
১। ফুটবল ২। ক্রিকেট ৩। ব্যাডমিন্টন ৪। দাবা ৫। হ্যান্ডবল ৬। টেবিল টেনিস ৭। ভলিবল ৮। ক্যরম
প্রাকৃতিক সম্পদ :
পাহাড় বেষ্টিত বান্দরবান পার্বত্য জেলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে লীলাভূমি। তবে এ জেলায় এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোন খনিজ সম্পদ আবিস্কৃত হয়নি। জেলায় প্রবাহমান অসংখ্য ছড়া ও ঝিরিতে পাথর ভেসে আসে, যা এ অঞ্চলের উন্নয়ন কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয়।
নদ-নদী
বান্দরবান জেলার অন্যতম নদী সাঙ্গু নদী যা সাংপো বা শঙ্খ নামেও পরিচিত। এই নদীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এটি বাংলাদেশের একমাত্র নদী যা দক্ষিণ থেকে উত্তরে প্রবাহিত হয়। অন্যান্য নদীর মধ্যে রয়েছে মাতামুহুরী এবং বাঁকখালী।
ব্যবসা ও বাণিজ্য :
শিল্প কারখানা :
০১। সাত্তার ম্যাচ ওয়ার্কস্ ঃ ০২টি।
০২। আজিজ উদ্দিন ফ্যাক্টরী
০৩। বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ণ সংস্থা ।
বান্দরবান পার্বত্য জেলার সম্ভাবনাময় শিল্প :
বান্দরবান পার্বত্য জেলা দূর্গম পাহাড়ী এলাকা হলেও এটি প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ বিধায় জাতীয় পর্যায়ে এ জেলার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। বিস্তীর্ণ পাহাড়ী এলাকায় অবস্থিত অশ্রেণীভূক্ত বনাঞ্চল মূল্যবান কাঠ ও বনজ সম্পদে পরিপূর্ণ। একই সংগে এ জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত সাংগু ও মাতমূহুরী নদী উৎপাদিত বনজ সম্পদ আহরণ ও বিপননে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এ জেলার উৎপাদিত প্রধান বনজ দ্রব্যের মধ্যে সেগুন, গামারী, গর্জন, শিল কড়ই, তৈলসুর ইত্যাদি মূল্যবান কাঠ ও বাঁশ প্রধান। কৃষিজ দ্রব্যের মধ্যে আনারস, কলা, পেঁপে, কমলা, লেবু ও আলু। নিম্নে উল্লিখিত কৃষি পণ্যের ২০০৩ সালের বার্ষিক উৎপাদন নিম্নে দেখানো হল :
অর্থকরী ফসলের নাম - আবাদকৃত জমি(হেক্টরে) - মোট উৎপাদন (মেঃ টন)
কাঁঠাল ২১০০, ৫০২০০
কলা ৩৮০০, ৭৬৪০০
আনারস ১৯৫০, ৭৫৩০০
আম ১৮০০, ২২৮০০
লেবু ১১০০, ১৮৭০০
পেঁপে ১০০০, ১৬৬০০
নারিকেল ৮০০, ৮৮০০
পেয়ারা ৮০০, ১০৬০০
কুল(বরই) ৫০০, ২৪০০
কমলা ৩৮০, ৯৫০০
জাম ২৫০, ১৩০০
জাম্মুরা ২৩০, ৩০০০
আমলকী ১৮০, ১৭০০
আমড়া ২০০, ২৩০০
লিচু ২০০, ১০০০
বেল ২০০, ৫৮০
জলপাই ২০০, ১৬০০
তেতুল ১২৫, ৯২০
সফেদা ৯০, ৬০০
গরিফা ২০, ১০০
কাজু বাদাম ৭০, ৫৫০
সুপারী ১০০, ৬০০
কামরাঙ্গা ৪০, ৫৫০
ডেওয়া ৩০, ৪২০
খেজুর ৫০, ২৪০
আতা ৪০, ৩১০
ডালীম ৩০, ৯০
চালতা ৪০, ২৫০
তাল ৩০, ৮০০
পানিগোলা ৩৫, ৪১০
গোলাপজাম ২০, ১২
তরমুজ ১২০, ৪৭৮৮
আঁখ ২২০, ১২০০০
লটকন ১০, ৫০
বান্দরবান পার্বত্য জেলায় কোন ফল প্রক্রিয়াজাতকরণ প্লান্ট নেই এবং কোন হিমাগারও নেই। ফলে উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ কৃষিজাত পণ্যের একাংশ স্থানীয় চাহিদা পূরণ করলেও অধিকাংশই সমতল ভূমিতে পরিবহন করা হয় এবং কিছু কিছু যথা সময়ে পরিবহনের অভাবে নষ্ট হয়ে যায়। বান্দরবান জেলা সদরে একটি ফল প্রক্রিয়াজাতকরণ প্লান্ট এবং একটি হিমাগার স্থাপন করা হলে এখানকার উৎপাদিত ফল ফলাদি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। এ ব্যবস্থা দেশের পুষ্টির চাহিদা পূরণ এবং জাতীয় সম্পদ সংরক্ষণে অত্যন্ত সহায়ক ভুমিকা পালন করবে।
সাম্প্রতিক সময়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলায় তুলা চাষের প্রচুর সম্ভাবনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিশেষত কুমিল্লা ভ্যারাইটি তুলা উৎপাদনের জন্য বান্দরবানের মাটি অত্যন্ত উপযোগী বলে বিবেচিত হয়েছে বিধায় এখানে তুলা গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমানে এই জেলায় ১১,০০০ একর জমি তুলা চাষের আওতায় আনা হয়েছে এবং তাতে বাৎসরিক ৬১,০০০ কেজি (১৬৪৮ বেল আঁশ তুলা) বীজ তুলা উৎপন্ন হয়। ইহা একটি মূল্যবান জাতীয় সম্পদ। বান্দরবান পার্বত্য জেলায় সাম্প্রতিককালে রাবার উৎপাদনের সম্ভাবনা ক্রমাগতভাবে উজ্জ্বলতর হচ্ছে। রাবার বাগানসমূহে চাষ শুরু হয়েছে এবং ইতিমধ্যে বেশ কিছু বাগানে রাবার উৎপাদন শুরু হয়েছে। এ এলাকার উপযোগী সকল জমিতে রাবার উৎপাদন শুরু হলে তা বাংলাদেশের রপ্তানী ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় ভূমিকা পালন করবে বলে সবার ধারণা। সাংগু নদী একটি খরস্রোতা নদী। এই নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে জল বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এই বিষয়ে ইতিপূর্বে প্রাথমিক জরীপ চালানোর পর পরবর্তীতে সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা :
ক্রঃনং নাম ও ঠিকানা অফিস মোবাইল
১ বি.আর.টিবাসসার্ভিস ৬২৮৫৫ ০১৮৩৭৮৩০২৪১
২ শ্যামলীপরিবহন ৬৩৬১১ ০১৯১৮৬৯২৬২৪
৩ ইউনিকপরিবহন ৬৩৫৩২ ০১৫৫৩২০৮০১০
৪ ঈগলপরিবহন ০১৮২৮৯৫০৬০৫
৫ হানিফএন্টারপ্রাইজ ০১৭৩৭৪৪৬৮১১
৬ ডলফিন চেয়ারকোচ, বাসস্টেশন ৬২৫৫৬
৭ পূরবী চেয়ারকোচ, বাসস্টেশন ৬২৪৩৯
৮ পূবানী চেয়ারকোচ, বাসস্টেশন ৬২৫০৮
৯ এস.আলম চেয়ারকোচ, বাসস্টেশন ৬২৬৬৪
১০ পূবালী চেয়ারকোচ, বাসস্টেশন ৬২১৯৯
১১ কার, মাইক্রোবাস, জীপমালিক সমিতি ৬২৮৫৩
১২ সৌদিয়া চেয়ারকোচ সার্ভিস, বাসস্টেশন ০১৯১৯৬৫৪৮৩৩
সড়ক পথে বান্দরবান হতে চট্টগ্রাম যাতায়াত
পূরবী চেয়ারকোচ বান্দরবান থেকে ছাড়ে চট্টগ্রাম থেকে ছাড়ে
সকাল ৬.৩০ টা
সকাল ৬.৩০ টা
সকাল ৭.৩০ টা
সকাল ৭.৩০ টা
সকাল ৮.৩০ টা
সকাল ৮.৩০ টা
সকাল ৯.৩০ টা
সকাল ৯.৩০ টা
সকাল ১০.৩০ টা
সকাল ১০.৩০ টা
সকাল ১১.৩০ টা
সকাল ১১.৩০ টা
দুপুর ১২.৩০ টা
দুপুর ১২.৩০ টা
দুপুর ১.৩০ টা
দুপুর ১.৩০ টা
দুপুর ২.৩০ টা
দুপুর ২.৩০ টা
বিকেল ৩.৩০ টা
বিকেল ৩.৩০ টা
বিকেল ৪.৩০ টা
বিকেল ৪.৩০ টা
বিকেল ৫.৩০ টা
বিকেল ৫.৩০ টা
সন্ধ্যা ৬.৩০ টা
সন্ধ্যা ৬.৩০ টা
যোগাযোগ- পূরবী কাউন্টার, বান্দরবান বাস স্টেশন
ফোন নং-০ ৩৬১-৬২৪৩৯
পূর্বাণী চেয়ারকোচ বান্দরবান থেকে ছাড়ে চট্টগ্রাম থেকে ছাড়ে
ভোর ৫.৪৫ টা
সকাল ৬.১০ টা
সকাল ৬.১০ টা
সকাল ৭.০০ টা
সকাল ৭.০০ টা
সকাল ৮.০০ টা
সকাল ৮.০০টা
সকাল ৯.০০ টা
সকাল ৯.০০ টা
সকাল ১০.০০ টা
সকাল ১০.০০ টা
সকাল ১১.০০ টা
সকাল ১১.০০ টা
দুপুর ১২.০০ টা
দুপুর ১২.০০ টা
দুপুর ১.০০ টা
দুপুর ১.০০ টা
দুপুর ২.০০ টা
বিকেল ২.০০ টা
বিকেল ৩.০০ টা
বিকেল ৩.০০ টা
বিকেল ৪.০০ টা
বিকেল ৪.০০ টা
বিকেল ৫.০০ টা
বিকেল ৫.০০ টা
বিকেল ৬.০০ টা
সন্ধ্যা ৬.০০ টা
সন্ধ্যা ৭.০০ টা
যোগাযোগ-পূর্বাণী কাউন্টার, বান্দরবান বাস স্টেশন
ফোন নং-০৩৬১-৬২৫০৮
ভাড়া ৯০ টাকা-পৌছতে সময় লাগে ২.৩০ ঘন্টা
বান্দরবান হতে সক পথে ঢাকা যাতায়াত :
নাম যোগাযোগের তথ্য সম্ভাব্য সময়সূচী ভাড়া বান্দরবান হতে ঢাকা ঢাকা হতে বান্দরবান
এস আলম চেয়ারকোচ
কাউন্টার বান্দরবান বাস স্টেশন
ফোন-০৩৬১-৬২৬৪৪, ০১৯১৯-৬৫৪৪৮৩৩
সকাল ৯.০০ এবং রাত ৯.০০ টা
সকাল ৮.০০টা রাত ১১.০০টা
৩৮০ টাকা
ফকিরাপুল, ঢাকা, ফোন নং-০২-৯৩৩১৮৬৪, এবং কমলাপুর, ফোন নং-৮৩১৫০৮৭
ডলফিন চেয়ারকোচ
বান্দরবান বাস স্টেশন, ফোন নং-০৩৬১-৬২৫৬৬, এবং কলাবাগান, ঢাকা, ফোন নং-০২-৮১৩০৫২৭, মোবা-০১৮১৯৮০৯৯০১
রাত-৭.৩০টা রাত-১১.০০টা ৩৩০টাকা
সৌদিয়া চেয়ারকোচ
কাউন্টার- বান্দরবান বাস স্টেশন,ফোন নং- ০৩৬১- ৬৩২৩৩, ০১৯১৯-৬৫৪৮৩৩
এবং ফকিরাপুল, ঢাকা,ফোন নং-০২-৯৩৩১৮৬৪,
রাত ৮.৪৫ টা এবং সকাল ৮.৩০ সকাল ৮.০০ এবং রাত ১১.০০ টায় ৩৮০টাকা
ইউনিক চেয়ারকোচ
কাউন্টার-বান্দরবান বাস স্টেশন, মোবাঃ নং-(০১৫৫৩২০৮০১০),
ফকিরাপুল, ঢাকা, ফোন নং-০২-৮৩১৮১৫১, এবং কমলাপুর, ফোন নং-০২-৯৩৩৭৮৪৬
সকাল ৮.৪৫ এবং রাত ৮.৩০ টা সকাল ৮.০০ এবং রাত ১১.০০ টা ৩৮০টাকা
শ্যামলী চেয়ারকোচ
কাউন্টার-বান্দরবান বাস স্টেশন, ফোন-০৩৬১-৬৩৬১১
এবং কমলাপুর, ঢাকা ফোন-০২৮৩৬০২৪১, ছায়দাবাদ, ফোন-০২-৭৫৪০৯৯৩/১
সকাল-৩.০০টা এবং রাত-৯.৩০ ও ১০.০০টা সকাল-৯.০০টা এবং রাত ১০.০০ টা ও রাত ১১.৩০টা
৩৮০টাকা
বান্দরবান হতে সড়ক পথে কক্সবাজার যাতায়াত
পূরবী চেয়ারকোচ বান্দরবান থেকে ছাড়ে কক্সবাজার থেকে বান্দরবান
সকাল ৮.৩০ টা
সকাল ৮.৩০ টা
সকাল ১১.০০টা
সকাল ১১.০০টা
দুপুর ১২.০০টা
দুপুর ১২.০০টা
বিকাল ৪.০০টা
বিকাল ৪.০০টা
যোগাযোগ-পূরবী কাউন্টার, বান্দরবান বাস স্টেশন
ফোন নং-০৩৬১-৬২৪৩৯
পূর্বাণী চেয়রকোচ বান্দরবান থেকে ছাড়ে কক্সবাজার থেকে বান্দরবান
সকাল ৭.৩০ টা
সকাল ৮.৩০ টা
সকাল ৯.৩০টা
সকাল ১১.০০টা
দুপুর ১.০০টা
দুপুর ১২.০০টা
দুপুর ২.০০টা
দুপুর ৪.০০টা
বিকাল ৩.০০টা
বিকাল ৩.০০টা
বিকাল ৫.০০টা
বিকাল ৫.০০টা
যোগাযোগ-পূর্বাণী কাউন্টার, বান্দরবান বাস স্টেশন
ফোন নং-০৩৬১-৬২৫০৮ ভাড়া ১২০ টাকা-পৌছতে সময় লাগে ৩.০০ ঘন্টা
বান্দরবান-রোয়াং ছড়ি চাঁদের গাড়ি বান্দরবান থেকে ছাড়ে রোয়াং ছড়ি থেকে ছাড়ে
সকাল ৮.৩০টা
সকাল ৮.৩০টা
সকাল ১০.০০টা
সকাল ১০.০০টা
সকাল ১১.৩০টা
সকাল ১১.৩০টা
দুপুর ১.০০টা
দুপুর ১.০০টা
দুপুর ২.৩০টা
দুপুর ২.৩০টা
বিকাল ৪.০০টা
বিকাল ৪.০০টা
বান্দরবান- রুমা চাঁদের গাড়ি বান্দরবান থেকে ছাড়ে রুমা থেকে ছাড়ে
সকাল ৯.০০টা
সকাল ৯.০০টা
সকাল ১১.০০টা
সকাল ১১.০০টা
দুপুর ১.০০টা
দুপুর ১.০০টা
বিকাল ৩.০০টা
বিকাল ৩.০০টা
বান্দরবান হতে সড়ক পথে আলীকদম যাতায়াত
পূর্বাণী এবং জীপ গাড়ী বান্দরবান থেকে ছাড়ে আলীকদম থেকে ছাড়ে
বিকাল ৩.০০ (জীপ গাড়ী)
সকাল ৭.০০ (জীপ গাড়ী)
বিকাল ৩.০০(পূর্বাণী চেয়ারকোচ)
সকাল ৭.৩০(পূর্বাণী চেয়ারকোচ)
বান্দরবান হতে সড়ক পথেলামা যাতায়াত
পূর্বাণী এবং জীপ গাড়ী বান্দরবান থেকে ছাড়ে লামা থেকে ছাড়ে
বিকাল ২.৩০(পূর্বাণী চেয়ারকোচ)
সকাল ৭.০০ (জীপ গাড়ী)
বিকাল ৩.০০ (জীপ গাড়ী)
সকাল ৭.৩০ (পূর্বাণী চেয়ারকোচ)
বান্দরবান হতে সড়ক পথে নাইক্ষ্যংছড়ি যাতায়াত
মাইক্রোবাস বান্দরবান থেকে ছাড়ে লামা থেকে ছাড়ে
সকাল ৭.০০ টা
বিকাল ৩.০০টা
বান্দরবান হতে সড়ক পথে থানছি যাতায়াত বান্দরবান থেকে ছাড়ে থানছি থেকে ছাড়ে
সকাল ৮.০০টা (বাস)
সকাল ৭.০০টা (বাস)
সকাল ৯.৩০টা
সকাল ৮.৩০টা
দুপুর ১২.০০টা
সকাল ১০.৩০টা
বিকাল ৩.০০টা
দুপুর ১.৩০টা
হোটেল ও আবাসন :
সরকারি এবং বেসরকারি হোটেলের তথ্য
ক্রমিক নং হোটেলের নাম
০১ সার্কিট হাউজ (সরকারি)
০২ হিলটপ রেস্ট হাউজ (সরকারি)
০৩ হোটেল হলিডে ইন
০৪ হোটেল প্লাজা
০৫ হোটেল সাংগু
০৬ সাকুরা হিল রিসোর্ট
০৭ হিল সাইট রিসোর্ট (মিলনছড়ি)
০৮ হোটেল পূরবী
০৯ হোটেল প্রু আবাসিক
১০ হোটেল ফোর স্টার
১১ পর্যটন মোটেল
১২ হোটেল হিলবার্ড
১৩ হোটেল গ্রীণ হিল
১৪ জামাল বোর্ডিং
১৫ হোটেল অতিথি
১৬ হোটেল বিলকিছ
১৭ বান্দরবান গেস্ট হাউজ
১৮ হোটেল লোহাগাড়া
১৯ রয়েল হোটেল
২০ পাহাড়িকা গেস্ট হাউজ
২১ সরওয়ার বোর্ডিং
২২ হিরো বোর্ডিং
২৩ কামাল বোর্ডিং
২৪ শাওন বোর্ডিং
২৫ আল-আমিন বোর্ডিং
২৬ হোটেল রাজু
২৭ হোটেল হাবিব
২৮ আজমীর রোর্ডিং
২৯ হোটেল পর্বত
৩০ হোটেল পূর্বাণী
৩১ মাস্টার গেস্ট হাউজ
পত্রপত্রিকা :
বান্দরবান হতে প্রকাশিত সংবাদপত্র পত্রিকা/ম্যাগাজিনের
নাম সম্পাদক/প্রকাশকের নাম :
দৈনিক সচিত্র মৈত্রী, জনাব অধ্যাপক মোঃ ওসমান গনি
পাক্ষিক সাংগু, সম্পাদক-আইরিন বম প্রকাশক-কবির হোসেন ছিদ্দিকী
দৈনিক নতুন বাংলাদেশ, জনাব আফাজ উল্লাহ খান
মাসিক চিম্বুক, জনাব মোঃ বাদশা মিয়া
মাসিক নীলাচল, জনাব মোহাম্মদ ইসলাম
মাসিক বান্দরবান, জনাব মোহাম্মদ মোজাম্মল হক
No comments
Post a Comment