ত্রিপিটক পরিচিতি

ত্রিপিটক পরিচিতি
ত্রিপিটক হচ্ছে তিনটি পিটক, যথা -
ক. সূত্র পিটক খ. বিনয় পিটক
গ. অভিধর্ম পিটক

ক. সূত্র পিটক পাঁচটি নিকায়ে বিভক্ত, যথা -
১) দীর্ঘ নিকায় ২) মজ্ঝিম নিকায় ৩) সংযুক্ত নিকায় ৪) অঙ্গুত্তর নিকায় ৫) খুদ্ধক নিকায়

১. দীর্ঘ নিকায় : দীঘ নিকায় বা দীর্ঘ নিকায় সুত্র পিটকের প্রথম গ্রন্থ। বুদ্ধের দীর্ঘ উপদেশগুলো এ নিকায়ের অন্তর্গত। সূত্রগুলোর বিষয়বস্তু হর- দান, শীল, সমাধি, প্রজ্ঞা, ধ্যান, বিমোক্ষ, অনিত্য, দুঃখ, অনাত্মা, চিত্ত, চৈতসিক ও নির্বাণ।দীঘ নিকায় বৌদ্ধ ও প্রাক-বৌদ্ধ ভারতের ইতিহাস, দর্শন, রাজনীতি, সমাজ বিজ্ঞান, অর্থনীতি প্রভৃতি বিবিধ বিষয়ের আলোচনায় ভরপুর। দীঘ নিকায়ের সূত্রগুলোতে দর্শনের অপেক্ষা নৈতিক চরিত্রের উপরই বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
দীঘ নিকায়ে একত্রিশ লোক ভূমি ও শীল সম্বদ্ধে বিষদ আলোচনা দৃষ্ট হয়।
দীঘ নিকয়ে সর্বমোট ৩৪টি সূত্র আছে। এগুলো আবার তিনবর্গে বিভক্ত- শীলস্কন্ধ বর্গ, মহাবর্গ ও পাটিকবর্গ।

দীঘ নিকায় বা দীর্ঘ নিকায় সুত্র পিটকের প্রথম গ্রন্থ। বুদ্ধের দীর্ঘ উপদেশগুলো এ নিকায়ের অন্তর্গত। সূত্রগুলোর বিষয়বস্তু হর- দান, শীল, সমাধি, প্রজ্ঞা, ধ্যান, বিমোক্ষ, অনিত্য, দুঃখ, অনাত্মা, চিত্ত, চৈতসিক ও নির্বাণ।দীঘ নিকায় বৌদ্ধ ও প্রাক-বৌদ্ধ ভারতের ইতিহাস, দর্শন, রাজনীতি, সমাজ বিজ্ঞান, অর্থনীতি প্রভৃতি বিবিধ বিষয়ের আলোচনায় ভরপুর। দীঘ নিকায়ের সূত্রগুলোতে দর্শনের অপেক্ষা নৈতিক চরিত্রের উপরই বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
দীঘ নিকায়ে একত্রিশ লোক ভূমি ও শীল সম্বদ্ধে বিষদ আলোচনা দৃষ্ট হয়।
দীঘ নিকয়ে সর্বমোট ৩৪টি সূত্র আছে। এগুলো আবার তিনবর্গে বিভক্ত- শীলস্কন্ধ বর্গ, মহাবর্গ ও পাটিকবর্গ।
- See more at: http://dhammainfo.com/the-tripitaka/sutta-pitaka/837#sthash.75ywJJw7.dpuf
২. মজ্ঝিম নিকায় : মজ্ঝিম নিকায় বা মধ্যম নিকায় সুত্ত পিটকের দ্বিতীয় গ্রন্থ।মজ্ঝিম নিকায়ে সর্বমোট ১৫২টি সূত্র আছে। এগুলো ৩টি বর্গে বিভক্ত- মূল পঞ্ঞাসক, মজ্ঝিম পঞঞাসক ও সেলপঞঞাসক্ ১ম ও ২য় খন্ডে ৫০টি করে সূত্র এবং ৩য় খন্ডে ৫২টি সূত্র আছে।মধ্যম নিকায়ে বৌদ্ধ দর্শনের গূঢ়তত্ত্বগুলো অতি সুন্দরভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।দীঘ নিকায়ে প্রাক বৌদ্ধ ভারতের দর্শন, ইতিহাস, রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজনীতি সম্পর্কীয় বহুবিধ আলোচনায় ভরপুর। মজ্ঝিম নিকায়ে দর্শন অপেক্ষা নৈতিক চরিত্রের উপরই যেন অধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
বৌদ্ধধর্মের মূলতত্ত্ব সমূহ মধ্যম নিকায়ে যথাযথভাবে উপস্থাপিত ও ব্যাখ্যা করা হয়েছে। চার আর্যসত্য,মধ্যপথ, কর্মবাদ, পার্থিব ভোগ-সুখের অসারতা, ধ্যান, বিমোক্ষ, সমাপত্তি,অনাত্ম লক্ষণ, কার্যকারণ নীতি, নির্বাণ ও পরমার্থ সত্য-মধ্যম নিকায়ে সুন্দর ও পরিমার্জিতভাবে প্রদর্শিত হয়েছে।

৩. সংযুক্ত নিকায় : সংযুক্ত নিকায়ে ছাপ্পান্নটি সংযুক্ত বা অধ্যায় আছে। এগুলো পাঁচটি বর্গে বিভক্ত। সগাথা বর্গে এগারোটি, নিদান বর্গে বারোটি, খন্ধবর্গে তেরোটি, সলায়তন বর্গে দশটি এবং মহাবর্গে বারোটি অধ্যায় আছে। পাচঁ বর্গে মোট সুত্রসংখ্যা ২৮৮৯টি। সূত্র গুলো নৈতিক, মনস্তত্ত্ব, দর্শন ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কীয় সূত্রের সমবায়ে রচিত। দীর্ঘ ও মজ্ঝিম নিকায়ের তুলনায় সংযুক্ত নিকায়ের সূত্র গুলো ছোট হলেও গভীর তাৎপর্যপূর্ণ। বিষয়বস্তু তিনটি ধারায় বিভাজন করে অবস্থান করে উপস্থাপন করা হয়েছে।: ১) দেবতা ২) দেবতা, মনুষ্য ইত্যাদি সম্পর্কীয় ঘটনা এবং ৩) ধর্মীয় ব্যক্তি।

৪. অঙ্গুত্তর নিকায়: অঙ্গুত্তর নিকায় সূত্র পিটকের চতুর্থ গ্রন্থ। এ নিকায়ে সর্বমোট ২৩০৮টি সূত্র আছে। এগুলো ১১টি নিপাত বা অধ্যায়ে বিভক্ত। আলোচ্য বিষয়ের সংখ্যানুসারে নিপাত সমূহের নামকরণ করা হয়েছে।অঙ্গুত্তর নিকয়ের সূত্রগুলো প্রায়ই গদ্যে ও পদ্যে রচিত।ত্রিপিটকের অন্যান্য নিকায়ে যে উপায়ে সত্যসমূহ ব্যাখ্যা করা হয়েছে, অঙ্গুত্তর নিকায়েও সেই একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে।(ত্রিপিটক পরিচিতি, সুদর্শন বড়ুয়া, পৃঃ ৬২।)
স্ত্রী চরিত্র নিয়ে বহু সংখ্যক সূত্র এ নিকায়ে রচিত হয়েছে। এ স্থলে স্ত্রী চরিত্রের বহুবিধ দোষগুণের বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। ‘মনোরথ পুরণী’ অনুসারে অঙ্গুত্তর নিকায়ে ৯৫৫৭ প্রকার বিষয় সর্ম্পকীয় দেশনা, আলোচনা ও উপদেশাবলী সংগৃহীত হয়েছে। অঙ্গুত্তর নিকায়কে সূত্র পিটকের ‘সার সংগ্রহ’ বলা হয়।
অঙ্গুত্তর নিকায় সূত্র পিটকের চতুর্থ গ্রন্থ। এ নিকায়ে সর্বমোট ২৩০৮টি সূত্র আছে। এগুলো ১১টি নিপাত বা অধ্যায়ে বিভক্ত। আলোচ্য বিষয়ের সংখ্যানুসারে নিপাত সমূহের নামকরণ করা হয়েছে।অঙ্গুত্তর নিকয়ের সূত্রগুলো প্রায়ই গদ্যে ও পদ্যে রচিত।ত্রিপিটকের অন্যান্য নিকায়ে যে উপায়ে সত্যসমূহ ব্যাখ্যা করা হয়েছে, অঙ্গুত্তর নিকায়েও সেই একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে।(ত্রিপিটক পরিচিতি, সুদর্শন বড়ুয়া, পৃঃ ৬২।)
স্ত্রী চরিত্র নিয়ে বহু সংখ্যক সূত্র এ নিকায়ে রচিত হয়েছে। এ স্থলে স্ত্রী চরিত্রের বহুবিধ দোষগুণের বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। ‘মনোরথ পুরণী’ অনুসারে অঙ্গুত্তর নিকায়ে ৯৫৫৭ প্রকার বিষয় সর্ম্পকীয় দেশনা, আলোচনা ও উপদেশাবলী সংগৃহীত হয়েছে। অঙ্গুত্তর নিকায়কে সূত্র পিটকের ‘সার সংগ্রহ’ বলা হয়।
- See more at: http://dhammainfo.com/the-tripitaka/sutta-pitaka/850#sthash.vO4tohEw.dpuf
অঙ্গুত্তর নিকায় সূত্র পিটকের চতুর্থ গ্রন্থ। এ নিকায়ে সর্বমোট ২৩০৮টি সূত্র আছে। এগুলো ১১টি নিপাত বা অধ্যায়ে বিভক্ত। আলোচ্য বিষয়ের সংখ্যানুসারে নিপাত সমূহের নামকরণ করা হয়েছে।অঙ্গুত্তর নিকয়ের সূত্রগুলো প্রায়ই গদ্যে ও পদ্যে রচিত।ত্রিপিটকের অন্যান্য নিকায়ে যে উপায়ে সত্যসমূহ ব্যাখ্যা করা হয়েছে, অঙ্গুত্তর নিকায়েও সেই একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে।(ত্রিপিটক পরিচিতি, সুদর্শন বড়ুয়া, পৃঃ ৬২।)
স্ত্রী চরিত্র নিয়ে বহু সংখ্যক সূত্র এ নিকায়ে রচিত হয়েছে। এ স্থলে স্ত্রী চরিত্রের বহুবিধ দোষগুণের বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। ‘মনোরথ পুরণী’ অনুসারে অঙ্গুত্তর নিকায়ে ৯৫৫৭ প্রকার বিষয় সর্ম্পকীয় দেশনা, আলোচনা ও উপদেশাবলী সংগৃহীত হয়েছে। অঙ্গুত্তর নিকায়কে সূত্র পিটকের ‘সার সংগ্রহ’ বলা হয়।
- See more at: http://dhammainfo.com/the-tripitaka/sutta-pitaka/850#sthash.vO4tohEw.dpuf
অঙ্গুত্তর নিকায় সূত্র পিটকের চতুর্থ গ্রন্থ। এ নিকায়ে সর্বমোট ২৩০৮টি সূত্র আছে। এগুলো ১১টি নিপাত বা অধ্যায়ে বিভক্ত। আলোচ্য বিষয়ের সংখ্যানুসারে নিপাত সমূহের নামকরণ করা হয়েছে।অঙ্গুত্তর নিকয়ের সূত্রগুলো প্রায়ই গদ্যে ও পদ্যে রচিত।ত্রিপিটকের অন্যান্য নিকায়ে যে উপায়ে সত্যসমূহ ব্যাখ্যা করা হয়েছে, অঙ্গুত্তর নিকায়েও সেই একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে।(ত্রিপিটক পরিচিতি, সুদর্শন বড়ুয়া, পৃঃ ৬২।)
স্ত্রী চরিত্র নিয়ে বহু সংখ্যক সূত্র এ নিকায়ে রচিত হয়েছে। এ স্থলে স্ত্রী চরিত্রের বহুবিধ দোষগুণের বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। ‘মনোরথ পুরণী’ অনুসারে অঙ্গুত্তর নিকায়ে ৯৫৫৭ প্রকার বিষয় সর্ম্পকীয় দেশনা, আলোচনা ও উপদেশাবলী সংগৃহীত হয়েছে। অঙ্গুত্তর নিকায়কে সূত্র পিটকের ‘সার সংগ্রহ’ বলা হয়।
- See more at: http://dhammainfo.com/the-tripitaka/sutta-pitaka/850#sthash.vO4tohEw.dpuf
অঙ্গুত্তর নিকায় সূত্র পিটকের চতুর্থ গ্রন্থ। এ নিকায়ে সর্বমোট ২৩০৮টি সূত্র আছে। এগুলো ১১টি নিপাত বা অধ্যায়ে বিভক্ত। আলোচ্য বিষয়ের সংখ্যানুসারে নিপাত সমূহের নামকরণ করা হয়েছে।অঙ্গুত্তর নিকয়ের সূত্রগুলো প্রায়ই গদ্যে ও পদ্যে রচিত।ত্রিপিটকের অন্যান্য নিকায়ে যে উপায়ে সত্যসমূহ ব্যাখ্যা করা হয়েছে, অঙ্গুত্তর নিকায়েও সেই একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে।(ত্রিপিটক পরিচিতি, সুদর্শন বড়ুয়া, পৃঃ ৬২।)
স্ত্রী চরিত্র নিয়ে বহু সংখ্যক সূত্র এ নিকায়ে রচিত হয়েছে। এ স্থলে স্ত্রী চরিত্রের বহুবিধ দোষগুণের বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। ‘মনোরথ পুরণী’ অনুসারে অঙ্গুত্তর নিকায়ে ৯৫৫৭ প্রকার বিষয় সর্ম্পকীয় দেশনা, আলোচনা ও উপদেশাবলী সংগৃহীত হয়েছে। অঙ্গুত্তর নিকায়কে সূত্র পিটকের ‘সার সংগ্রহ’ বলা হয়।
- See more at: http://dhammainfo.com/the-tripitaka/sutta-pitaka/850#sthash.vO4tohEw.dpuf
অঙ্গুত্তর নিকায় সূত্র পিটকের চতুর্থ গ্রন্থ। এ নিকায়ে সর্বমোট ২৩০৮টি সূত্র আছে। এগুলো ১১টি নিপাত বা অধ্যায়ে বিভক্ত। আলোচ্য বিষয়ের সংখ্যানুসারে নিপাত সমূহের নামকরণ করা হয়েছে।অঙ্গুত্তর নিকয়ের সূত্রগুলো প্রায়ই গদ্যে ও পদ্যে রচিত।ত্রিপিটকের অন্যান্য নিকায়ে যে উপায়ে সত্যসমূহ ব্যাখ্যা করা হয়েছে, অঙ্গুত্তর নিকায়েও সেই একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে।(ত্রিপিটক পরিচিতি, সুদর্শন বড়ুয়া, পৃঃ ৬২।)
স্ত্রী চরিত্র নিয়ে বহু সংখ্যক সূত্র এ নিকায়ে রচিত হয়েছে। এ স্থলে স্ত্রী চরিত্রের বহুবিধ দোষগুণের বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। ‘মনোরথ পুরণী’ অনুসারে অঙ্গুত্তর নিকায়ে ৯৫৫৭ প্রকার বিষয় সর্ম্পকীয় দেশনা, আলোচনা ও উপদেশাবলী সংগৃহীত হয়েছে। অঙ্গুত্তর নিকায়কে সূত্র পিটকের ‘সার সংগ্রহ’ বলা হয়।
- See more at: http://dhammainfo.com/the-tripitaka/sutta-pitaka/850#sthash.vO4tohEw.dpuf
অঙ্গুত্তর নিকায় সূত্র পিটকের চতুর্থ গ্রন্থ। এ নিকায়ে সর্বমোট ২৩০৮টি সূত্র আছে। এগুলো ১১টি নিপাত বা অধ্যায়ে বিভক্ত। আলোচ্য বিষয়ের সংখ্যানুসারে নিপাত সমূহের নামকরণ করা হয়েছে।অঙ্গুত্তর নিকয়ের সূত্রগুলো প্রায়ই গদ্যে ও পদ্যে রচিত।ত্রিপিটকের অন্যান্য নিকায়ে যে উপায়ে সত্যসমূহ ব্যাখ্যা করা হয়েছে, অঙ্গুত্তর নিকায়েও সেই একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে।(ত্রিপিটক পরিচিতি, সুদর্শন বড়ুয়া, পৃঃ ৬২।)
স্ত্রী চরিত্র নিয়ে বহু সংখ্যক সূত্র এ নিকায়ে রচিত হয়েছে। এ স্থলে স্ত্রী চরিত্রের বহুবিধ দোষগুণের বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। ‘মনোরথ পুরণী’ অনুসারে অঙ্গুত্তর নিকায়ে ৯৫৫৭ প্রকার বিষয় সর্ম্পকীয় দেশনা, আলোচনা ও উপদেশাবলী সংগৃহীত হয়েছে। অঙ্গুত্তর নিকায়কে সূত্র পিটকের ‘সার সংগ্রহ’ বলা হয়।
- See more at: http://dhammainfo.com/the-tripitaka/sutta-pitaka/850#sthash.vO4tohEw.dpuf
অঙ্গুত্তর নিকায় সূত্র পিটকের চতুর্থ গ্রন্থ। এ নিকায়ে সর্বমোট ২৩০৮টি সূত্র আছে। এগুলো ১১টি নিপাত বা অধ্যায়ে বিভক্ত। আলোচ্য বিষয়ের সংখ্যানুসারে নিপাত সমূহের নামকরণ করা হয়েছে।অঙ্গুত্তর নিকয়ের সূত্রগুলো প্রায়ই গদ্যে ও পদ্যে রচিত।ত্রিপিটকের অন্যান্য নিকায়ে যে উপায়ে সত্যসমূহ ব্যাখ্যা করা হয়েছে, অঙ্গুত্তর নিকায়েও সেই একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে।(ত্রিপিটক পরিচিতি, সুদর্শন বড়ুয়া, পৃঃ ৬২।)
স্ত্রী চরিত্র নিয়ে বহু সংখ্যক সূত্র এ নিকায়ে রচিত হয়েছে। এ স্থলে স্ত্রী চরিত্রের বহুবিধ দোষগুণের বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। ‘মনোরথ পুরণী’ অনুসারে অঙ্গুত্তর নিকায়ে ৯৫৫৭ প্রকার বিষয় সর্ম্পকীয় দেশনা, আলোচনা ও উপদেশাবলী সংগৃহীত হয়েছে। অঙ্গুত্তর নিকায়কে সূত্র পিটকের ‘সার সংগ্রহ’ বলা হয়।
- See more at: http://dhammainfo.com/the-tripitaka/sutta-pitaka/850#sthash.vO4tohEw.dpuf

৫, খুদ্ধক নিকায় : খুদ্ধক নিকায়ে ১৫টি ভাগে করা হয়েছে। তা হল ঃ-
১. খুদ্ধক পাঠ ২. ধম্মপদ ৩. উদান ৪. ইতিবুত্তক ৫.সুত্ত নিপাত ৬. বিমানবত্থু ৭. পেতবত্থু ৮. থের গাথা ৯. থেরী গাথা ১০. জাতক ১১. নিদ্দেস ১২.পটিসম্ভিদা ১৩. বুদ্ধ বংস ১৪. অপদান ও ১৫. চরিয়া পিটক।

১. খুদ্ধক পাঠ: গ্রন্থটি ভিক্ষু শ্রমণদের অবশ্যই পাঠ্য।  ভক্ত গৃহস্থ বৌদ্ধদের নিকট এটি পবিত্র মন্ত্ররুপে পরিগণিত হয়। এতে ত্রিশরণ , পঞ্চশীল, দশশীল, কুমারপ্রশ্ন ও বত্রিশ প্রকার অশুচি সম্পর্কে বিশদভাবে জানা যায়।

 ২. ধম্মপদ : এতে ২৬টি বর্গে ৪২৩টি গাতা আছে। এর প্রত্যেক কাহিনীকে গঠন পদ্ধিতে অনুসারে আট ভাগে ভাগ করা হয়েছে। শীল, সমাধি, প্রজ্ঞা, নির্বাণ, চিত্ত, পাপ ও পূন্য, কুশল-অকুশল ইত্যাদি আলোচনা ছাড়াও প্রাচীন ভারতের রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

৩. উদান:  এ গ্রন্থে আটটি বর্গে বিভক্ত করা হয়েছে। গৌতম বুদ্ধের বোধিজ্ঞান লাভের পরের ঘটনা, মেঘিয় নামক স্থবিরের কাহিনী, অষ্টবিধ অথ্যাশ্চর্য, বুদ্ধের পরিনির্বাণের ঘটনা, চারিপ্রকার স্মৃতি প্রস্থান, চারি প্রকার সম্যক প্রচেষ্টা, চারিপ্রকার ঋদ্ধিপাদ, পঞ্চবল,  আর্যঅষ্টাঙ্গিকমার্গ ইত্যাদি বিষয় সমূহ আলোচনা করা হয়েছে।
৪. ইতিবুত্তক: এখানে কুশলকর্ম-অকুশলকর্ম, কায়-বাক্য-মন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এতে বলা হয়েছে, দুর্নীতিপরায়ণ ও পাপী ব্যক্তি কখনো মুনি-ঋষিদের সান্নিধ্যে লাভ করতে পারে। জ্ঞাানী ব্যক্তি সবসময় জ্ঞানী ব্যক্তির সান্নিধ্যে ধন্য হয়। কারণ জ্ঞানী ব্যক্তি সবসময় কুশলকর্মে নিয়োজিত থাকে।

৫.সুত্ত নিপাত: এতে পাঁচটি অধ্যায় আছে। এতে গৌতম বুদ্ধের সমসাময়িক ভারতের সামাজিক, ার্থনৈতিক, রাজনৈতিক ইত্যাদি বিবরনণ পাওয়া যায়। তদানীন্তন পাক ভারতের বহু শ্রমণ ব্রাহ্মণ এবং ছয়জন তির্থীয় আচার্যের নাম পাওয়া যায়। এতে আরো জানা যায় যে, বৌদ্ধ ভিক্ষুগণ তাদের সামগ্রিক চেষ্টার দ্বারা প্রাচীন ভারতের এমন এক সমাজ ও দর্শনের উদ্ভাবন করেছেন যার তুলনা বিশ্বজগতের ইতিহাসে বিরল।

৬. বিমানবত্থু : এটি বিমানবত্থু এর অর্থকথা। এটিও আচার্য ধর্মপাল রচনা করেন। এতে যে সমস্ত লোক ইহজীবনে কুশল কর্ম করে মৃত্যুর পর স্বর্গে উৎপন্ন হয়ে পরম সুন্দর দেব বিমান লাভ করেছে তাদের কাহিনী বিমেষ ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। কুশল কর্মের দ্বারা কিভাবে মানুষ কিভাবে সুখ ভোগ করতে পারে এ গ্রন্থে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ পাওয়া যায়।  এ কাহিনী গুলোর প্রধান উদ্দেশ্য হল মানুষকে কুশল কর্মে অনুপ্রাণিত করা।

৭. পেতবত্থু :  এতে ছোট ছোট পদ্যের মাধ্যমে জন্ম-জন্মান্তরের দুঃখের কাহিনীসমূহ বর্ণিত হয়েছে। থেরবাদী বৌদ্ধদের মধ্যে কোন প্রকার মৃত পূর্ব পুরুষদের পূজা করার প্রচলন ছিলনা। এ গ্রন্থের মতে, পুন:পুন: বলা হয়েছে যে, মানুষ কর্মের অধীন। কৃতকর্মের ফল কেউ এড়াতে পারে না। যে যেরুপ কর্ম করে সে সেরুপ কর্মের ফল ভোগ করে। যারা অকুশল কর্ম করে মৃত্যুর পর প্রেত লোকে জন্ম গ্রহন করে প্রেত দুঃখ যন্ত্রনা ভোগ করেছে বিশেষ করে তাদের কাহিনী লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

৮. থের গাথা: এতে বুদ্ধের সময়ে ২৬৪জন স্থবির-মহাস্থবির, শ্রাবক- মহাশ্রাবকদের রচিত গাথা সংগৃহীত হয়েছে।  তাঁরা প্রত্যেকে ভগবান বুদ্ধের উপদেশ অনুসরণ করে স্বীয় সাধনার দ্বারা শ্রামণ্য ধর্মের প্রত্যক্ষফল উপলদ্ধি করেছেন। তাঁদের  ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতা সমূহ মার্গফল বর্ণনা লাভ করার ছলে উদানাকারে জিজ্ঞাস্য প্রশ্নের উত্তর প্রদান করার জন্য পরিনির্বাণ লাভ করার সময়ে অথবা বুদ্ধ শাসনের অবস্থা প্রর্দশ করার জন্য গাথা গুলো ভাষণ করেছেন।

৯. থেরী গাথা:  এতে ৭৩ জন বৌদ্ধ মহিলার কবিতা সংগৃহীত হয়েছে। এ গ্রন্থটি কেবল মাত্র কয়েকজন গৃহত্রাগিনী সংসার ধর্ম বির্বজিতা সন্ন্যাসিনীর জীবন কাহিনী বললে ভূল হবে।  প্রাচীন ইতিহাসের বহু তত্ব ও তথ্যের গ্রন্থটি ভরপুর। এতে দেখা যায় ভারতের নারী সমাজ কোন কোন ব্যাপারে একটু ব্যতীক্রম থাকলেও তাঁরা  আধ্যাতিœক উন্নতি সাধনে পুরুষের সাথে সমান ভাবে অংশ গ্রহন করতে পারতেন। তাঁরা নৈতিক উন্নতিতে কাহারও চেয়ে পশ্চাৎপদ ছিলেন না।

১০. জাতক:  জাতকট্ঠকথার মতে, জাতকের সংখ্যা ৫৫০টি। জাতকে বুদ্ধের বিভিন্ন পূর্ব জন্মের কাহিনী সুন্দরভাবে রচনা করা হয়েছে। প্রতিটি জন্মে কিভাবে পারমী সমূহ পূর্ন করে বুদ্ধত্বে উপনীত হয়েছেন তা বিশেষ ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

১১. নিদ্দেস: এতে স্কন্ধ, আয়তন, প্রতীত্য সমুৎপাদ, সম্যক প্রধান, ঋদ্ধিপাদ, ইন্দ্রিয়, মার্গফল, কাম প্রকৃত মুনি শিক্ষা, জ্ঞান, লোভ, দ্বেষ-মোহ-তৃষ্ণা, মার, চারি প্রকার বন্ধু বিভিন্ন প্রকার রোগ ইত্যাদি আলোচনা করা হয়েছে।

১২.পটিসম্ভিদা: এতে অনিত্য, দুঃখ, অনাতœ, চারিআর্যসত্য,আযর্ অষ্টাঙ্গিক মার্গ, কুশল-অকুশল কর্ম, চারি সম্যক প্রচেষ্ঠা আয়তন, সমাধি, শ্রামণ্য ধর্মের প্রত্যেক্ষ ফল ও নির্বাণ সম্পর্কিত বিষয় আলোচনা করা হয়েছে।

১৩. বুদ্ধ বংস: এতে বুদ্ধের শ্রাবক-শ্রাবিকার জীবন চরিত সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে চারিআর্যসত্য, আর্যঅষ্টাঙ্গিক মার্গ, প্রতীত্যসমুৎপাদ নীতি ও পঞ্চস্কন্ধ তুলনায় পূজা-অর্চনা, দান, বন্দনা, সুত্র পাঠ, উৎসব ও পার্বণের ব্যাখ্যা সুন্দর ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

১৪. অপদান:  এ গ্রন্থে গৌতম বুদ্ধের পূর্ববর্তী বুদ্ধের জীবনী জানা যায়। তাছাড়া এ-গ্রন্থে অতীত বুদ্ধগণের পরিচয় সহজ ও সাবলীর ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে।

১৫. চরিয়া পিটক: চরিয়া পিটকের কাহিনী গুলো জাতকে বর্ণিত কাহিনীর অনুরুপ। বুদ্ধ কিভাবে তাঁর পূর্ব জন্মে দশপারশী পূর্ণ করে বুদ্ধত্বজ্ঞান লাভ করতে সক্ষম হন তার বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে। এতে বুদ্ধ ও বেধিসত্ত্বগণের দান, শীল, ক্ষান্তি, বীর্য , মৈত্রী, অধিষ্ঠান ইত্যাদি পারমী সম্পর্কে জানা যায়।

২. বিনয় পিটক : বিনয় পিটকে তিনটি খন্ধে পাঁচটি গ্রন্থ আছে। যথা -
ক. সুত্ত বিভঙ্গ : ১. মহাবিভঙ্গ বা ভিক্ষু বিভঙ্গ ২. ভিক্ষুনী বিভঙ্গ খ. খন্ধক  ৩. মহাবর্গ ৪. চুল্লবর্গ গ. ৫.পরিবার বা পরিবার পাঠো।
এ গ্রন্থ গুলোর সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা গেল :
ক. সুত্ত বিভঙ্গ :
১. ভিক্ষু বিভঙ্গ : এ গ্রন্থে ভিক্ষুদের বিনয় সম্পর্কিত নিয়ম গুলো লিপিবদ্ধ আছে। কোথায় কিভাবে, কাকে উদ্দেশ করে এসব নিয়ম-নীতি নির্দেশ করেন, শীল ভঙ্গকারীর দোষ, পরিত্রাণের উপায় বর্ণিত হয়েছে। ভিক্ষুদের প্রতিপালনীয় নিয়মগুলো এ গ্রন্থে আট ভাগে ভাগ করে বর্ণনা করা হয়েছে। যথা : পারাজিকা, সংঘাদিশেষ, অনিয়ত, নিসগ্গীয়া, পাচিত্তিয়া, পাটিদেশনীয়, সেখিয়া ও অধিকরণসমথ। এতে সর্ব মোট ২২৭টি শীলের ব্যাখ্যাা আছে।

২. ভিক্ষুনী বিভঙ্গ : এ গ্রন্থে ভিক্ষুনীদের বিনয় সম্পর্কিত নিয়ম গুলো লিপিবদ্ধ আছে। ভিক্ষু বিভঙ্গের পুরিপুরক হিসেবে এটি রচনা করা হয়। ভিক্ষুনীদের প্রতিপালনীয় নিয়মগুলো এ গ্রন্থে আট ভাগে ভাগ করে বর্ণনা করা হয়েছে। যথা : পারাজিকা, সংঘাদিশেষ, অনিয়ত, নিসগ্গীয়া, পাচিত্তিয়া, পাটিদেশনীয়, সেখিয়া ও অধিকরণসমথ। ভিক্ষুনীদের সর্ব মোট ৩১১টি শীলের ব্যাখ্যাা আছে।

খ. খন্ধক :
৩. মহাবর্গ : মহাবর্গ দশটি অধ্যায়ে বিভক্ত। যথা: ১) মহাখন্ধ স্কন্ধ ২) উপোসথ স্কন্ধ ৩) বৈসুপনায়িক স্কন্ধ ৪) প্রবারণা স্কন্ধ ৫) চর্ম স্কন্ধ ৬) ভৈষজ স্কন্ধ ৭) কঠিন স্কন্ধ ৮) চীবর স্কন্ধ ৯) চম্পেয় স্কন্ধ ১০) কৌশাম্বিক স্কন্ধ। প্রত্যেকটি অধ্যায় বৃহৎ বলেই গ্রন্থটি মহাবর্গ নামে পরিচিত। এ গ্রন্থে গৌতম বুদ্ধের সম্বোধি লাভের পরের ঘটনা গুলো বর্ণিত হয়েছে। বিশেষত বুদ্ধত্বলাভ হতে সংঘ প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত বুদ্ধের জীবনের নানা কাহিনী মহাবর্গে অোলোচিত হয়েছে। বুদ্ধের ধারাবাহিক জীবনী রচনার জন্য গ্রন্থটির মূল্য অপরিসীম।

৪. চুল্লবর্গ : চুল্লবর্গে বারোটি অধ্যায় বা স্কন্ধ আছে। যথা : ১) কর্ম স্কন্ধ ২) পারিবাসিক স্কন্ধ ৩) সমুচ্চয় স্কন্ধ ৪) শমথ স্কন্ধ ৫) শয়ন আসন স্কন্ধ ৭) সংভেদক ৮) ব্রত স্কন্ধ ৯) প্রাতিমোক্ষ স্কন্ধ ১০) ভিক্ষুণী স্কন্ধ ১১) পঞ্চশতিকা স্কন্ধ এবং সপ্তশতিকা স্কন্ধ। চুল্ল শব্দের অর্থ হচ্ছে ক্ষুদ্র। নামকরণ হতে বুঝা যায় গ্রন্থের স্কন্ধ গুলো ক্ষুদ্র।অধ্যায় বা স্কন্ধগুলোর আয়তন মহাবর্গের তুলানয় ক্ষুদ্র বলে গ্রন্থটিকে চুল্লবর্গ নামে অভিহিত করা হয়েছে।

৫. পরিবার পাঠো : বুদ্ধকালীন সময়ে ভিক্ষু ভিক্ষুণী সংঘের আচার আচরনে আপত্তিজনক বিষয়াদি গ্রন্থটিতে বর্ণিত হয়েছে। বিশেষত বিনয়ের জটিল এবং দুর্বধ্য বিষয় সমুহ প্রশ্নোত্তরের  মাধ্যমে এ গ্রন্থে সুক্ষভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। নতুন শিক্ষার্র্থ ভিক্ষুদের জন্য বিনয় শিক্ষার উপকরণ হিসেবে গ্রন্থটি অত্যন্ত মূল্যবান। ছোট বড় সব মিলে এত সর্বমোট একুশটি অধ্যায় আছে। এগুলো গদ্যে পদ্যে রচিত।

গ. অভিধর্ম পিটক : অভিধর্ম পিটকে সাতটি গ্রন্থ আছে। যথা

১) ধম্মসঙ্গণি ২) বিভঙ্গ ৩) ধাতুকথা ৪) পু¹লপঞ্ঞত্তি ৫) কথাবত্থু ৬) যমক ৭) পট্ঠান।



এ গ্রন্থ গুলোর সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা গেল :

১) ধম্মসঙ্গণি : ধম্মসঙ্গণি শব্দের অর্থ ধর্মের সংক্ষিপ্ত দেশনা। এতে কামাবচর, রুপবচর, ইত্যাদি মানসিক ও বাহ্যবস্তু সমূহের অবস্থাগুরোর সংগ্রহ ও সংক্ষেপ করে আলোচনা করা হয়েছে। ধম্মসঙ্গণির আলোচ্য বিষয়কে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা- ক) চিত্ত চৈতসিকের পরিচয় খ) রুপ বা জড় পদার্থের পরিচয় গ) পূর্বোক্ত বিষয়ের সার নিক্ষেপ।

২) বিভঙ্গ : বিভঙ্গ বিষয়বস্তু দিক দিয়ে দর্ম সঙ্গণির সমগোত্রীয় হলেও এর রচনা পদ্ধতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। এক কথায় বিভঙ্গকে ধর্মসঙ্গণির পরিপুরক ও ধাতু কতার মূলভিত্তি বলা যায়। বিষবস্তু বিচারে বিভঙ্গকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ক) সুত্রবাজনীয় খ) অভিধম্ম বাজনীয় গ) পঞ্ঞাপুচ্ছ। গ্রন্থটি অবশ্য আটারটি অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে।

৩) ধাতুকথা : ধাতুকথা শব্দের অর্থ ধাতু সম্পকীয় কথা। এটি প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে লেকা অভিধর্ম পিটকের ক্ষুদ্রগ্রন্থ। এর প্রকৃত নাম হওয়া উচিত ছিল খন্ধ আয়তন ধাতুকথা। কারণ এর চর্তুদ্দশ অধ্যায়ে ধর্ম সঙ্গনির ও বিভঙ্গের স্কন্ধ, আয়তন ও ধাতু বিষয়ক আলোচনা আছে। আলোচ্য বিষয় গুলো তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা- সংগহিত, সম্পযুক্ত, বিপ্পযুক্ত। এতে পঞ্চস্কন্ধ, দ্বাদশ আয়তন, অষ্টাদশ ধাতু ইত্যাদি বিষয়ক বিশদ ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

৪) পু¹লপঞ্ঞত্তি : পু¹লপঞ্ঞত্তি শব্দের অর্থ যে পুস্তক পু¹ল বা ব্যক্তি বিশেষের পরিচয় প্রদান করে। গ্রন্থে প্রথমে স্কন্ধ, আয়তন, ধাতু, সত্য, ইন্দ্রিয় এবং পুদ্গল এ ছয় প্রকার প্রজ্ঞপ্তির  উল্লেখ আছে এবং এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন প্রকার পুদগলের একটি দীর্ঘ তালিকা দেওয়া হয়েছে। তারপর একবিধ পু¹ল, দ্বিবিধ পু¹ল এভাবে দশবিধ পুদ্গলের দশটি অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে।

৫) কথাবত্থু : কথাবত্থু বৌদ্ধ দর্শন সম্পর্কীয় তর্কশাস্ত্র বিশেষ বলা যায়। খৃষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দীতে বুদ্ধগোষ ২৩টি অধ্যায়ে কথাবত্থুর উপর ভাষ্য গ্রন্থ রচনা করেছেণ। প্রত্যেক অধ্যায়ে ৮ হতে ১২টি প্রশ্ন এবয় উত্তর দেওয়া হয়েছে। প্রশ্নগুলো সাধারণত বিধি প্রকার জটিল মিথ্যাদৃষ্টি সম্পর্কীয়। কথিত আছে, সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে অনুষ্টিত তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতির শেষদিকে সম্মেলনের সভাপতি মো¹ণিপুত্ত তিস্স স্তবির বিভজ্জবাদ বা থেরবাদ প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে কথাবত্থু প্রন্থ রচনা করেন।

৬) যমক : যমক শব্দের অর্থ যুগ্ন বা জোড়া। এ গ্রন্থে প্রক্যেকটি অধ্যায়ে স্বপর্ক্ষীয় ও প্রতি পক্ষীয় প্রশ্ন ও উত্তর যুগ্ম ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে এর যমক নামকরণ করা হয়েছে। এটি দশটি অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে। যথা- মূল যমক, সংখারা যমক, অনুসয় যমক, চিত্ত যমক, ধম্ম যমক ও ইন্দ্রিয় যমক।

৭) পট্ঠান : পট্ঠান শব্দের অর্থ প্রধান কারণ বা প্রকৃত কারণ। নাম রুপের যাবতীয় ব্যাপারের পরস্পর সম্পর্ক বা কারণ নির্ণয় এর মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ২৪ প্রকার প্রত্যয়। যার সহায়তায় কোন কার্য সম্পন্ন হয়, ঘটনা সংগটিত হয়, ফল উৎপাদিত হয় তাই ঐ কার্য ঘটনা বা ফলের প্রত্যয়। সুতরাং এই অর্থে প্রত্যয় সাহায্য কারক বা উপকারক রুপে ব্যবহুত হতে পারে।
এটি ইমেল করুনএটি ব্লগ করুন!Twitter-এ শেয়ার করুনFacebook-এ শেয়ার করুন

No comments

Theme images by 5ugarless. Powered by Blogger.