তিন পার্বত্য জেলার যুগ্ম জেলা জজ কর্তৃক এখতিয়ার বর্হিভূত মামলা পরিচালনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আইনি নোটিশ
তিন পার্বত্য জেলার যুগ্ম জেলা জজ আদালত কর্তৃক এখতিয়ার বর্হিভূত ভাবে
পারিবারিক আদালত সক্রান্ত মামলা পরিচালনার আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আইনগত
নোটিশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস এম জুলফিকার আলী। আজ বৃহস্পতিবার
৪৮ ঘন্টার মধ্যে জবাব চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব সহ ৫ জনকে নোটিশ প্রদান
করেন তিনি।
আইনী নোটিশে এডভোকেট জুলফিকার আলী বলেন, তিন পার্বত্য জেলা (খাগড়াছড়ি,
রাংগামাটি ও বান্দরবান) পারিবারিক আদালত নেই। তাছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম
শাসন বিধিতেও এই তিন জেলার পারিবারিক বিষয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করার এখতিয়ার
কোন কর্তৃপক্ষের তা পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসন প্রবিধান-১৯০০ এ নাই। কিন্তু
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার যুগ্ম জেলা জজ আদালত পার্বত্য তিন জেলায় দেওয়ানী
কার্যবিধি পুরোপুরি প্রযোজ্য না থাকা সত্ত্বেও দেন মোহর ও খোরপোষ সংক্রান্ত
মামলা গুলো দেওয়ানী মামলা হিসাবে আমলে নিয়া বিচার কার্য পরিচালনা করিয়া
আসিতেছেন। এতে করে পার্বত্য শাসন বিধি, দেওয়ানী কার্যবিধি ও পারিবারিক আইন
নিয়ে এই অঞ্চলের মানুষের মাঝে নানা প্রশ্নের জন্ম নিয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে লিগ্যাল নোটিশ দাতা মো. আনোয়ার হোসেন এর আইনজীবী এস এম জুলফিকার আলী বলেন, এখতিয়ার বিহীন ভাবে সরকারী কোন আদেশ বিধি ও গেজেট মূলে ক্ষমতা প্রাপ্ত না হয়ে তিন পার্বত্য জেলার যুগ্ম জেলা জজগণ পারিবারিক মামলা গুলো দেওয়ানী মামলা হিসাবে বিচার কার্য করে আসছেন। আইনগত ভাবে এ সংক্রান্ত মামলার বিচার করার এখতিয়ার তাঁর নাই। তিনি আরো বলেন, বিচার কার্য পরিচালনা করতে গিয়ে অনেক সময় আইন বর্হিভূত ভাবে আদেশ ও ডিক্রি দেয়ায় মামলার পক্ষদ্বয় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে লিগ্যাল নোটিশ দাতা মো. আনোয়ার হোসেন এর আইনজীবী এস এম জুলফিকার আলী বলেন, এখতিয়ার বিহীন ভাবে সরকারী কোন আদেশ বিধি ও গেজেট মূলে ক্ষমতা প্রাপ্ত না হয়ে তিন পার্বত্য জেলার যুগ্ম জেলা জজগণ পারিবারিক মামলা গুলো দেওয়ানী মামলা হিসাবে বিচার কার্য করে আসছেন। আইনগত ভাবে এ সংক্রান্ত মামলার বিচার করার এখতিয়ার তাঁর নাই। তিনি আরো বলেন, বিচার কার্য পরিচালনা করতে গিয়ে অনেক সময় আইন বর্হিভূত ভাবে আদেশ ও ডিক্রি দেয়ায় মামলার পক্ষদ্বয় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
তথ্যসূত্র: পার্বত্যবাণী
No comments
Post a Comment