মিয়ানমারে স্বাধীনতাকামী আদিবাসী গেরিলা-সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষ অব্যাহত

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় সান এবং কাচিন প্রদেশে আদিবাসী গেরিলাদের সাথে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। কাচিন বিদ্রোহী এবং “ট্যা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন” “টি এন এল এ” এই অঞ্চলের স্বাধীনতার জন্যে ১০ বছর ধরে লড়াই করছে।
এদিকে, দুই বিদ্রোহী দলের বিপক্ষে ধরে নিয়ে জোর করে যুদ্ধ যোগ দেয়ানোর অভিযোগ করছে সরকারী বাহিনী। তবে “টি এন এল এ” প্রতিষ্ঠাতা বলছেন তারা কখনোই এই ধরনের কাজ করেন না, এই অঞ্চলের আদিবাসীরা স্বাধীনভাবে তাদের সমর্থন দেন। মিয়ানমারের আদিবাসীদের নিয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন তাদের মূল লক্ষ্য।
কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি



এদিকে, ঐ অঞ্চলে বেশ কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্ধ বিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে মিয়ানমারের বিগত সেনা সরকার। তবে “কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি” এবং “টি এন এল এ” এই চুক্তির বিরোধিতা করে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় চীন সীমান্তবর্তী এলাকায় গেরিলাদের অবস্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে সরকারি বাহিনী। সরকারের পক্ষ থেকে শান রাজ্যের কোকাং এলাকায় গেরিলাদের হামলায় কয়েক ডজন সরকারি সেনা নিহত হওয়ার বিরল ঘোষণা দেয়ার পর এ বিমান হামলার খবর এলো।প্রায় ছয় বছর তুলনামূলক শান্ত থাকার পর গত ৯ ফেব্রুয়ারি কোকাং এলাকায় আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। কয়েকটি জাতিগত গোষ্ঠীর তরুণদের নিয়ে গঠিত গেরিলারা অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে বহু সৈন্যকে হতাহত করে। এ সংঘর্ষ গত (শনিবার) সকাল পর্যন্ত চলছিল।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ টিএনএলএ’র মুখপাত্র ‘তার পার্ন লা’ জানিয়েছেন, দু’টি জঙ্গি বিমান ও দু’টি হেলিকপ্টার তাদের অবস্থানে হামলা চালিয়েছে।

এর আগে মিয়ানামের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম শুক্রবার জানিয়েছিল, ভারী অস্ত্রে সজ্জিত বিদ্রোহীরা কোকাং-এর মূল শহর দখল করার জন্য কয়েক দফা হামলা চালায়। এতে অন্তত ৫০ জন সৈন্য নিহত এবং আরো বহু সরকারি সেনা আহত হয়। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বিদ্রোহীদের হামলার জবাব হিসেবে তাদের অবস্থানে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

মিয়ানমারের তথ্যমন্ত্রী ‘ইয়ে হোতুত’ চলমান সংঘর্ষের জন্য স্থানীয় কোকাং নেতা ‘কিয়া শিন’কে দায়ী করেছেন।

কোকাং-এর সংঘর্ষ থেকে প্রাণে বাঁচতে বহু মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে চীনে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমার সরকার দেশটির বিদ্রোহী নেতাদের আশ্রয় না দিতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

ওদিকে টিএনএলএ’র মুখপাত্র ‘তার পার্ন লা’ বলেছেন, অনেকে লাশিও প্রদেশের উত্তরাঞ্চলীয় শান শহরে চলে গেছে। তিনি জানান, টিএনএলএ এবং শক্তিশালী কাচিন স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা কোকাং বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। টিএনএলএ এবং কাচিন গেরিলারা শান ও কাচিন অধ্যুষিত প্রদেশগুলোর স্বাধীনতার দাবিতে বহুদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

তথ্যসূত্র: Author: লাল সংবাদ/Red News | Posted: February 18, 2016 |

No comments

Theme images by 5ugarless. Powered by Blogger.