সূত্র নিপাতে আলোকে কলহ বিবাদের মূল বিষয় বস্তু
** কলহ বিবাদ বলতে কি বুঝ? সূত্র নিপাতে আলোকে কলহ বিবাদের মূল বিষয় বস্তু আলোচনা কর।
উত্তরঃ- প্রারম্ভিকা ঃ- খুদ্দক নিকায়ের পঞ্চম গ্রন্থ সূত্র নিপাত। এ গ্রন্থে অট্ঠক বর্গে অন্তর্গত কলহ বিবাদ সূত্র । এ সূত্রের মূল আলোচ্য বিষয় প্রিয়বস্তু হতে কলহ বিবাদের সৃষ্টি হয়। এ জন্য বুদ্ধ কলহ বিবাদ হতে মুক্ত হতে হলে প্রিয় বস্তু ত্যাগ করার জন্য উপদেশ দিয়েছেন। নিম্নে কলহ বিবাদ বলতে কি বুঝ এবং কলহ বিবাদের মূল বিষয় বস্তু আলোচনা করা গেল ঃ-
কলহ বিবাদ বলতে কি বুঝায় ঃ কলহ বিবাদ বলতে ঝগড়া বা বিবাদকে বুঝায়। এই কলহ বিবাদের কারণে মানুষের বহু অনর্থের সৃষ্টি হয়। এই জন্য বুদ্ধ কলহ বিবাদ পরিত্যাগ করতঃ এবং বিশ্ব মৈত্রী শিক্ষা দিয়েছেন।
মূল বিষয়বস্তু ঃ এই সূত্রে মোট ষোলটি শ্লোক আছে, তৎমধ্যে একটি প্রশ্ন কর্তা অন্যটি উত্তর দাতা। এই প্রশ্ন এবং উত্তরের মাধ্যমে কলহ বিবাদের কারণ সমূহ সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে।
প্রশ্নকর্তা প্রথম শ্লোকের মাধ্যমে গাথায় প্রশ্ন করে, তা নিম্নরুপ ঃ- কোথা হতে কলহ বিবাদে পরিদেবন, শোক, মাৎসয্য, গর্ব, আত্মপ্রশংসা, নৈপূন্য সৃষ্টি হয়।
উত্তরে বলা হয়েছে প্রিয়বস্তু হতে উক্ত কারণের সৃষ্টি হয়। কলহ বিবাদ মাৎসর্য্যের সাথে যুক্ত এবং বিবাদ হতে নৈপূন্যের সৃষ্টি হয়।
আবার প্রশ্ন করা হয়েছে, জগতে কিভাবে প্রিয়বস্তু সৃষ্টি হয়। সংসারে যার সাহায্যে ভবিষ্যৎ জীবন নির্ধারিত হয়, সেই লোভ, বাসনা ও পূর্ণতা কোথা হতে উৎপন্ন হয়। এভাবে প্রশ্ন কর্তা বিবিধ বিষয়ে প্রশ্ন করেছেন, তা প্রশ্ন কর্তা বিভিন্ন ভাবে উত্তর প্রদান করেছেন। তা নিম্নরুপ ঃ-
জগতে ইচ্ছার কারণ হতে প্রিয় বস্তুর সৃষ্টির হয়। সংসারে যার সাহায্যে ভবিষ্যৎ জীবন নির্ধারিত হয়, সেই লোভ, বাসনা ও পূর্ণতা ইহাও উহা হতে সৃষ্টি হয়।
উত্তরঃ- প্রারম্ভিকা ঃ- খুদ্দক নিকায়ের পঞ্চম গ্রন্থ সূত্র নিপাত। এ গ্রন্থে অট্ঠক বর্গে অন্তর্গত কলহ বিবাদ সূত্র । এ সূত্রের মূল আলোচ্য বিষয় প্রিয়বস্তু হতে কলহ বিবাদের সৃষ্টি হয়। এ জন্য বুদ্ধ কলহ বিবাদ হতে মুক্ত হতে হলে প্রিয় বস্তু ত্যাগ করার জন্য উপদেশ দিয়েছেন। নিম্নে কলহ বিবাদ বলতে কি বুঝ এবং কলহ বিবাদের মূল বিষয় বস্তু আলোচনা করা গেল ঃ-
কলহ বিবাদ বলতে কি বুঝায় ঃ কলহ বিবাদ বলতে ঝগড়া বা বিবাদকে বুঝায়। এই কলহ বিবাদের কারণে মানুষের বহু অনর্থের সৃষ্টি হয়। এই জন্য বুদ্ধ কলহ বিবাদ পরিত্যাগ করতঃ এবং বিশ্ব মৈত্রী শিক্ষা দিয়েছেন।
মূল বিষয়বস্তু ঃ এই সূত্রে মোট ষোলটি শ্লোক আছে, তৎমধ্যে একটি প্রশ্ন কর্তা অন্যটি উত্তর দাতা। এই প্রশ্ন এবং উত্তরের মাধ্যমে কলহ বিবাদের কারণ সমূহ সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে।
প্রশ্নকর্তা প্রথম শ্লোকের মাধ্যমে গাথায় প্রশ্ন করে, তা নিম্নরুপ ঃ- কোথা হতে কলহ বিবাদে পরিদেবন, শোক, মাৎসয্য, গর্ব, আত্মপ্রশংসা, নৈপূন্য সৃষ্টি হয়।
উত্তরে বলা হয়েছে প্রিয়বস্তু হতে উক্ত কারণের সৃষ্টি হয়। কলহ বিবাদ মাৎসর্য্যের সাথে যুক্ত এবং বিবাদ হতে নৈপূন্যের সৃষ্টি হয়।
আবার প্রশ্ন করা হয়েছে, জগতে কিভাবে প্রিয়বস্তু সৃষ্টি হয়। সংসারে যার সাহায্যে ভবিষ্যৎ জীবন নির্ধারিত হয়, সেই লোভ, বাসনা ও পূর্ণতা কোথা হতে উৎপন্ন হয়। এভাবে প্রশ্ন কর্তা বিবিধ বিষয়ে প্রশ্ন করেছেন, তা প্রশ্ন কর্তা বিভিন্ন ভাবে উত্তর প্রদান করেছেন। তা নিম্নরুপ ঃ-
জগতে ইচ্ছার কারণ হতে প্রিয় বস্তুর সৃষ্টির হয়। সংসারে যার সাহায্যে ভবিষ্যৎ জীবন নির্ধারিত হয়, সেই লোভ, বাসনা ও পূর্ণতা ইহাও উহা হতে সৃষ্টি হয়।
জগতে যাহা স্বাদ ও অস্বাদ উক্ত হয় তার সাহায্যে ছন্দের উৎপত্তি হয়। সমস্ত রুপ সমূহের ভব বিভব দর্শন করে মানুষ সংসারে বিরাগী হয়। ক্রোধ, মৃষাবাদ ও সংশয় ইহাও উহা হতে সৃষ্টি হয়। সংশায়িভূত জ্ঞান মার্গে শিক্ষিত হবেন। শ্রমণ কর্তৃক জ্ঞান দ্বারা ধর্ম সমূহ প্রকাশিত হয়েছে। স্পর্শের কারণ হতে আনন্দ ও অপ্রীতিকরতার সৃষ্টি হয়। স্পর্শের অভাব হলে উহা উৎপন্ন হতে পারেনা। বংস ও সৃষ্টিরুপ সংস্কার ইহাও উহা হতে সৃষ্টি হয়। নাম রুপের কারণ হতে স্পর্শের সৃষ্টি হয় এবং ইচ্ছার অভাবে মহত্বের অভিস্ত থাকে না। রুপের নাশ হলে স্পর্শ সমূহ স্পর্শ করতে পারে না। ইন্দ্রিয় সমূহ সংজ্ঞাযুক্ত, সংজ্ঞাহীন, মিথ্যা সংজ্ঞাযুক্ত, সংজ্ঞা পরিত্যক্ত হবে না। এরুপ অবস্থায় রুপের নাশ হয়। প্রপঞ্চ সমূহ সংজ্ঞার কারনে উৎপন্ন হয়ে থাকে। এরুপ বিবিধ প্রশ্নের যথাযর্থ উত্তর প্রদান করা হয়েছে। প্রশ্ন কর্তা ও যথাযর্থ উত্তর পেয়ে আনন্দ লাভ করে আরেকটি প্রশ্নের মাধ্যমে প্রশ্ন কর্ত্তা প্রশ্ন সমাপ্ত করেন।
জগতে কোন কোন পন্ডিত ব্যক্তি শুদ্ধিকে শ্রেষ্ঠ বলে থাকে না। তারা কি অন্য রকম বলে থাকেন। কোন কোন পন্ডিতগণ চিত্ত শুদ্ধিকে শ্রেষ্ঠ বলে থাকে। পন্ডিতগণ বলেন স্কন্ধ সমূহের সম্পূর্ণ রুপে ধ্বংস হওয়াকে শ্রেষ্ঠ বলে অভিহিত করেন।
উপরিউক্ত আলোচনায় দেখা যায় যে, এই সূত্রে কলহ বিবাদের কারণ গুলো সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। পন্ডিত ব্যক্তি এটা যথাযথ জেনে কলহ বিবাদ পরিত্যাগ করতঃ মৈত্রী পরায়ন হয়ে জীবনকে অতিবাহিত করেন।
সাধনাজ্যোতি ভিক্ষু
বি. এ (অনার্স) এম. এ, এম. এড
বি. এ (অনার্স) এম. এ, এম. এড
No comments
Post a Comment