সূত্র নিপাতের আলোকে মুনি সূত্রের মূল আলোচ্য বিষয় আলোচনা
*** মুনি বলতে কি বুঝ? সূত্র নিপাতের আলোকে মুনি সূত্রের মূল আলোচ্য বিষয় আলোচনা কর?
উত্তর ঃ- প্রারম্ভিকা ঃ খুদ্দক নিকায়ের পঞ্চম গ্রন্থ সূত্র নিপাত। এ গ্রন্থে উড়গ বর্গের শ্রেষ্ঠ সূত্র মুনি সূত্র। এ সূত্রে মুনিগণের জীবনাদার্শ সুন্দর ভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে। এই জন্য সূত্রটির গুরুত্ব অপরিসীম। জগতে সকল দুঃখকে জয় করতে হলে এ সূত্রের আদর্শ অনুশীলন করা একান্ত প্রয়োজন। নিম্নে মুনি বলতে কি বুঝায় এবং মুনি সূত্রের আলোচ্য বিষয় আলোচনা করা গেল ঃ-
মুনি শব্দের অর্থ কি ঃ মুনি শব্দের অর্থ ভিক্ষু, শ্রমণ বা ব্রাক্ষণকে বুঝায়। যিনি সর্বপ্রকার পাপমল ত্যাগ করেছেন। যার কোন কামনা, বাসনা, লোভ, দ্বেষ, মোহ, বিদ্যমান নেই, সর্বদা আচরণে সংযত, প্রজ্ঞাবল সমন্বিত, শীলব্রত সম্পন্ন, সমাহিত চিত্ত, ধ্যান পরায়ণ, স্মৃতিমান, বন্ধন মুক্ত, অনাসক্ত, বিরজতঃ, রসমুক্ত তিনি মুনি নামে অভিহিত হন।
মুনি সূত্রের মূল বিষয়বস্তু ঃ মুনি বা ভিক্ষুকে কেন্দ্র করে এ সুত্রের শ্লোক গুলো পচ্চেক বুদ্ধের উপদেশ বলে পরিচিত। পচ্চেক বুদ্ধগণ একেক সময় একেকটি উপদেশ দিয়ে থাকেন। এজন্য শ্লোক গুলো স্বতস্ত্র। এই শ্লোকে বলা হয়েছে -
সহৃবাতো ভয়ং জাতং নিকেতা জাতয়ে রজো,
অনিকেতমসহৃবং তং বে মুনি দসসনং।
অর্থাৎ- ভালোবাসা হতে ভয়ের সৃষ্টি হয়, গৃহবাস হতে অপবিত্রতার সৃষ্টি হয়। গৃহহীন ও বন্ধুহীন জীবন দশর্নই মুনির পরিচয়।
এই সূত্রের মুনিগণের জীবনাদর্শন ও উদ্দেশ্য অতি সুন্দর ভাবে বর্নিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে- যিনি সর্বপ্রকার পাপ মল ত্যাগ করেছেন । যার কোন কামনা বাসনা নেই, লোভ-দ্বেষ-মোহ ক্ষীণ হয়েছে, আচরণে সব সময় সংযমী এবং ধ্যানরত তিনি মুনি বলে প্রকাশ করে থাকেন।
এই সূত্রে মুনিগণের একক জীবন যাপনের মাহাথ্য অতি সুন্দর ভাবে ফুঠে উঠেছে, তাই এই সূত্রে বলা হয়েছে, প্রজ্ঞাবল সংযুক্ত, শীলাচার সম্পন্ন, সমাহিত চিত্ত, ধ্যানরত, স্মৃতিমান, বন্ধন মুক্ত, অখিল, অনাস্রব ব্যক্তি ধীরগণ মুনি বলে প্রকাশ করে থাকেন।
বিভিন্ন ভিত্তি জীব মনুষ্য বিবিধ স্বভাব বিশিষ্ট স্ত্রী পালনকারী গৃহী এবং নিস্বার্থ ধর্মশীল পুরুষ প্রাণী হিংসারত গৃহী অসংযত কিন্তু সংযত মুনি সর্বদা অপরের প্রাণ রক্ষায় নিয়োজিত থাকেন। তাই বলা হয়েছে-
নীল গ্রীব পক্ষী যেমন হাতের তুলনা হয় না, একজন গৃহী তেমনি বনে ধ্যানরত মুনি বা ভিক্ষুরসম শ্রেণী ভূক্ত হতে পারেনা।
যিনি অপ্রমত্ত ভাবে একাই এমন করেন নিন্দা প্রশংসায় সমভাবে স্থীর থাকেন। সিংহের শব্দেও ভীত হননা। পদ্ম পত্রের নত জলে লিপ্ত হন না। যিনি অন্য জনের অধিনায়ক এবং কারো দ্বারা পরিচালিত হননা। থাকেই ধীর ক্ষণ মুনি বলে থাকে।
উপরোক্ত আলোচনায় দেখা যায় মুনি জীবনই একমাত্র সংসার দুঃখকের জীবন থেকে মুক্তির একমাত্র উপায়। অতএব মুনি সূত্রের নামকরণ অত্যন্ত সার্থক হয়েছে।
উত্তর ঃ- প্রারম্ভিকা ঃ খুদ্দক নিকায়ের পঞ্চম গ্রন্থ সূত্র নিপাত। এ গ্রন্থে উড়গ বর্গের শ্রেষ্ঠ সূত্র মুনি সূত্র। এ সূত্রে মুনিগণের জীবনাদার্শ সুন্দর ভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে। এই জন্য সূত্রটির গুরুত্ব অপরিসীম। জগতে সকল দুঃখকে জয় করতে হলে এ সূত্রের আদর্শ অনুশীলন করা একান্ত প্রয়োজন। নিম্নে মুনি বলতে কি বুঝায় এবং মুনি সূত্রের আলোচ্য বিষয় আলোচনা করা গেল ঃ-
মুনি শব্দের অর্থ কি ঃ মুনি শব্দের অর্থ ভিক্ষু, শ্রমণ বা ব্রাক্ষণকে বুঝায়। যিনি সর্বপ্রকার পাপমল ত্যাগ করেছেন। যার কোন কামনা, বাসনা, লোভ, দ্বেষ, মোহ, বিদ্যমান নেই, সর্বদা আচরণে সংযত, প্রজ্ঞাবল সমন্বিত, শীলব্রত সম্পন্ন, সমাহিত চিত্ত, ধ্যান পরায়ণ, স্মৃতিমান, বন্ধন মুক্ত, অনাসক্ত, বিরজতঃ, রসমুক্ত তিনি মুনি নামে অভিহিত হন।
মুনি সূত্রের মূল বিষয়বস্তু ঃ মুনি বা ভিক্ষুকে কেন্দ্র করে এ সুত্রের শ্লোক গুলো পচ্চেক বুদ্ধের উপদেশ বলে পরিচিত। পচ্চেক বুদ্ধগণ একেক সময় একেকটি উপদেশ দিয়ে থাকেন। এজন্য শ্লোক গুলো স্বতস্ত্র। এই শ্লোকে বলা হয়েছে -
সহৃবাতো ভয়ং জাতং নিকেতা জাতয়ে রজো,
অনিকেতমসহৃবং তং বে মুনি দসসনং।
অর্থাৎ- ভালোবাসা হতে ভয়ের সৃষ্টি হয়, গৃহবাস হতে অপবিত্রতার সৃষ্টি হয়। গৃহহীন ও বন্ধুহীন জীবন দশর্নই মুনির পরিচয়।
এই সূত্রের মুনিগণের জীবনাদর্শন ও উদ্দেশ্য অতি সুন্দর ভাবে বর্নিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে- যিনি সর্বপ্রকার পাপ মল ত্যাগ করেছেন । যার কোন কামনা বাসনা নেই, লোভ-দ্বেষ-মোহ ক্ষীণ হয়েছে, আচরণে সব সময় সংযমী এবং ধ্যানরত তিনি মুনি বলে প্রকাশ করে থাকেন।
এই সূত্রে মুনিগণের একক জীবন যাপনের মাহাথ্য অতি সুন্দর ভাবে ফুঠে উঠেছে, তাই এই সূত্রে বলা হয়েছে, প্রজ্ঞাবল সংযুক্ত, শীলাচার সম্পন্ন, সমাহিত চিত্ত, ধ্যানরত, স্মৃতিমান, বন্ধন মুক্ত, অখিল, অনাস্রব ব্যক্তি ধীরগণ মুনি বলে প্রকাশ করে থাকেন।
বিভিন্ন ভিত্তি জীব মনুষ্য বিবিধ স্বভাব বিশিষ্ট স্ত্রী পালনকারী গৃহী এবং নিস্বার্থ ধর্মশীল পুরুষ প্রাণী হিংসারত গৃহী অসংযত কিন্তু সংযত মুনি সর্বদা অপরের প্রাণ রক্ষায় নিয়োজিত থাকেন। তাই বলা হয়েছে-
নীল গ্রীব পক্ষী যেমন হাতের তুলনা হয় না, একজন গৃহী তেমনি বনে ধ্যানরত মুনি বা ভিক্ষুরসম শ্রেণী ভূক্ত হতে পারেনা।
যিনি অপ্রমত্ত ভাবে একাই এমন করেন নিন্দা প্রশংসায় সমভাবে স্থীর থাকেন। সিংহের শব্দেও ভীত হননা। পদ্ম পত্রের নত জলে লিপ্ত হন না। যিনি অন্য জনের অধিনায়ক এবং কারো দ্বারা পরিচালিত হননা। থাকেই ধীর ক্ষণ মুনি বলে থাকে।
উপরোক্ত আলোচনায় দেখা যায় মুনি জীবনই একমাত্র সংসার দুঃখকের জীবন থেকে মুক্তির একমাত্র উপায়। অতএব মুনি সূত্রের নামকরণ অত্যন্ত সার্থক হয়েছে।
সাধনাজ্যোতি ভিক্ষু
বি. এ (অনার্স) এম. এ, এম. এড
বি. এ (অনার্স) এম. এ, এম. এড
No comments
Post a Comment