হিল চাদিগাং বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানানুষ্ঠানে মিলন মেলা
সকল প্রাণীর মঙ্গলকামনায় নগরের বন্দর এলাকার সিম্যানস্ হোস্টেল ন্যাশনাল মেরিনটাইম ইনস্টিটিউট প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজন করা হয় ৮ম বারের মত দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানানুষ্ঠান। শত শত মানুষের উপস্থিতিতে কঠিন চীবর দানানুষ্ঠান পরিনত হয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতির মিলন মেলা। দিন ব্যাপি এ আয়োজন করে হিলচাদিগাং বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটি হিলচাদিগাং বুড্ডিস্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। চট্টগ্রামের ইপিজেডসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রয়েছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী হাজার হাজার পাহাড়ি বৌদ্ধ। তাদের বেশির ভাগেরই অবস্থান সিম্যানস্ হোস্টেল, নিউমুড়ি, ব্যারিষ্ঠার কলেজ রোড়, মাইলের মাথা,পাহাড়তলী, হাসপাতাল গেইট, বন্দরটিলা, দক্ষিন মধ্যম হালিশহর, বন্দর আবাসিক কলোনিসহ আশপাশের এলাকায়। এসব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় কর্মকান্ড পরিচালিত হয় হিল চাদিগাং বৌদ্ধ বিহার ঘিরে। গত সাত বছর ধরে জম কালো আয়োজনে এখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কঠিন চীবর দানানুষ্ঠান।
গত ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠানের শুরুতে এলাকার ও আশে পাশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা জড়ো হয় সিম্যানস্ হোস্টেল ন্যাশনাল মেরিনটাইম ইনস্টিটিউট প্যারেড গ্রাউন্ডে। এ সময় অনেকে দল বেধে বাদ্য বাজনাসহ অনুষ্ঠান মঞ্চে আছেন। কঠিন চীবর দান করে বিপুল পুন্যরাশি সঞ্চয়ের আশায় সমবেত হন পাহাড়ি বৌদ্ধরা। বিশেষ ভাবে তৈরি টাকার গাছ অনেকের সঙ্গে ছিল বিভিন্ন সাইজের বুদ্ধ মূর্তি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রীমৎ শ্রদ্ধালংকার মহাথের, অধ্যক্ষ, সংঘরাম বৌদ্ধ বিহার, ভেদভেদী, রাঙ্গামাটি। প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় জেলা প্রশাসক, জনাব, মেজবাহ উদ্দীন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম। প্রধান ধর্মালোচক, শ্রীমৎ সুমনালংকার মহাথের, পরিচালক, পার্বত্য বৌদ্ধ মিশন, কমলছড়ি, খাগড়াছড়ি। প্রধান ধর্মদেশক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমৎ ড. জিনবোধি মহাথের, অধ্যাপক, পালি ও সংস্কৃত বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বিশেষ অতিথি ক্যাপ্টেন, জনাব মোঃ ফয়সাল আজিম, অধ্যক্ষ, ন্যাশনাল মেরীটাইম ইন্সষ্টিটিউট, চট্টগ্রাম। বিশেষ অতিথি, শ্রীমৎ বুদ্ধবংশ স্থবির, অধ্যক্ষ, সাধনাটিলা বনবিহার, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি। শ্রীমৎ ধর্মকীর্তি মহাথের, সহ-সভাপতি, পার্বত্য ভিক্ষুসংঘ পৌর শাখা, রাঙ্গামাটি। শ্রীমৎ শুভদর্শী মহাথের, সাধারণ সম্পাদক, পার্বত্য ভিক্ষুসংঘ রাঙ্গামাটি পৌরশাখ। শ্রীমৎ শীলপাল স্থবির, সাধারণ সম্পাদক, পার্বত্য ভিক্ষুসংঘ-বাংলাদেশ। জনাব, আবুল কালাম, অফিসার ইনর্চাজ, সিইপিজেড থানা, চট্টগ্রাম। ক্যাপ্টেন, ফয়সাল আজিম, অধ্যক্ষ, ন্যাশনাল মেরীটাইম ইনষ্টিটিউট, বন্দর, চট্টগ্রাম। জনাব, জিয়াউল হক সুমন, কাউন্সিলর, ৩৯ নং ওয়ার্ড, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। লায়ন, এম সরওয়ার খসরু, বিজিয়ন চেয়ারর্পাসন, লায়ন ক্লাব ইনটারন্যাশনাল, চট্টগ্রাম। জনাব, নজরুল ইসলাম, উপ-পরিচালক, নাবিক ও প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ পরিদপ্তর, চট্টগ্রাম। ভদন্ত শ্রদ্ধালংকার মহাথের বলেন, বৌদ্ধ ধর্ম শান্তির ধর্ম। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মহামানব বুদ্ধের অহিংসা নীতির কোন বিকল্প নেই। অধ্যাপক ড. জিনবোধি মহাথের বলেন, মহামানব গৌতম বুদ্ধ বিশ্বের মানব জাতির তথা প্রাণী জগতে দুঃখ মুক্তির জন্য পৃথিবীতে আর্বিভূত হয়ে নিজে কঠোর তপস্যা ও সাধনা করে দুঃখ থেকে মুক্ত হয়েছেন তেমনি অন্যদেরও মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। তাই আমাদের উচিত সেই পথে গমন করে দুঃখ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া। তিনি আরো বলেন, বৌদ্ধ মন্দিরের জন্য জায়গা ব্যবস্তা করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বড় ধরনের ফাণ্ড তৈরী করা যায় তাহলে সম্ভব স্থায়ী বিহার প্রতিষ্ঠা করা। যেমন পিপিড়া সংঘবদ্ধ তেমনি আমাদের সংঘবদ্ধ হতে হবে। আমরা অতিথি নিয়ে আসি তারা শুধু আশ্বাস দিয়ে যায়, কাজের বেলায় কিছু করে না। বিশেষ অতিথি ৩৯ ওয়ার্ড কমিশনার জনাব, জিয়াউলহক সুমন বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বিশেষ করে চট্টগ্রামের যে ধর্মীয় সম্প্রীতি রয়েছে তা এক কথায় অসাধারন। তিনি আরো বলেন, বৌদ্ধ বিহারটি জন্য একটি জায়গা ব্যবস্থা করে দিয়ে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠার জন্য আশ্বাস প্রদান করেন। লায়ন সরওয়র খসরু বলেন, বৌদ্ধ ধর্মমাবলম্বীদের স্থায়ী বৌদ্ধ বিহার খুবই প্রয়োজন। তিনি এ ব্যাপারে প্রয়োজীয় সহায়তা প্রদানের জন্য কমিশনারের দৃষ্ঠি আর্কষণ করেন। এর আগে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন হিল চাদিগাঙ বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ সাধনাজ্যোতি স্থবির। তিনি বলেন ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হিলচাদিগাং বৌদ্ধ বিহার এখনও অস্থায়ীভাবে ভাড়া বাসায় পরিচালিত হচ্ছে। তাই অতিথি মহোদয়ের নিকট বিহারটি একটি জায়গা ব্যবস্থা করে দিয়ে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠার ও বিশেষ কয়েটি জায়গায় মেয়েরা ইপটেজিং, ছিনতাই স্বীকার হন তাই আইন শৃঙ্খলা উন্নতির জন্য দৃষ্টি আর্কষন করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিহার কমিটির সম্পাদক স্বপন চাকমা। পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন অমিষ কান্তি দেওয়ান। সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পি ক্রিষ্টিনা চাকমা। দিন ব্যাপী আয়োজনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল কঠিন চীবর দান, অষ্টপরিষ্কার দান, বুদ্ধমূর্তি দান বিশ্ব শান্তি কামনায় ত্রিপিটক পাঠ পঞ্চশীল গ্রহন সংঘদান গণভোজন ও ভিক্ষু সংঘের ধর্মদেশনা। সকালবেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার বাবু পুলককান্তি বড়–য়া, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, গৃহায়ণ লিমিটেড, ভিক্ষুসংঘ প্রমূখ। উপস্থাপনায় ছিলেন মিস অভিধা চাকমা ও অপূর্বা চাকমা।
গত ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠানের শুরুতে এলাকার ও আশে পাশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা জড়ো হয় সিম্যানস্ হোস্টেল ন্যাশনাল মেরিনটাইম ইনস্টিটিউট প্যারেড গ্রাউন্ডে। এ সময় অনেকে দল বেধে বাদ্য বাজনাসহ অনুষ্ঠান মঞ্চে আছেন। কঠিন চীবর দান করে বিপুল পুন্যরাশি সঞ্চয়ের আশায় সমবেত হন পাহাড়ি বৌদ্ধরা। বিশেষ ভাবে তৈরি টাকার গাছ অনেকের সঙ্গে ছিল বিভিন্ন সাইজের বুদ্ধ মূর্তি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রীমৎ শ্রদ্ধালংকার মহাথের, অধ্যক্ষ, সংঘরাম বৌদ্ধ বিহার, ভেদভেদী, রাঙ্গামাটি। প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় জেলা প্রশাসক, জনাব, মেজবাহ উদ্দীন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম। প্রধান ধর্মালোচক, শ্রীমৎ সুমনালংকার মহাথের, পরিচালক, পার্বত্য বৌদ্ধ মিশন, কমলছড়ি, খাগড়াছড়ি। প্রধান ধর্মদেশক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমৎ ড. জিনবোধি মহাথের, অধ্যাপক, পালি ও সংস্কৃত বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বিশেষ অতিথি ক্যাপ্টেন, জনাব মোঃ ফয়সাল আজিম, অধ্যক্ষ, ন্যাশনাল মেরীটাইম ইন্সষ্টিটিউট, চট্টগ্রাম। বিশেষ অতিথি, শ্রীমৎ বুদ্ধবংশ স্থবির, অধ্যক্ষ, সাধনাটিলা বনবিহার, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি। শ্রীমৎ ধর্মকীর্তি মহাথের, সহ-সভাপতি, পার্বত্য ভিক্ষুসংঘ পৌর শাখা, রাঙ্গামাটি। শ্রীমৎ শুভদর্শী মহাথের, সাধারণ সম্পাদক, পার্বত্য ভিক্ষুসংঘ রাঙ্গামাটি পৌরশাখ। শ্রীমৎ শীলপাল স্থবির, সাধারণ সম্পাদক, পার্বত্য ভিক্ষুসংঘ-বাংলাদেশ। জনাব, আবুল কালাম, অফিসার ইনর্চাজ, সিইপিজেড থানা, চট্টগ্রাম। ক্যাপ্টেন, ফয়সাল আজিম, অধ্যক্ষ, ন্যাশনাল মেরীটাইম ইনষ্টিটিউট, বন্দর, চট্টগ্রাম। জনাব, জিয়াউল হক সুমন, কাউন্সিলর, ৩৯ নং ওয়ার্ড, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। লায়ন, এম সরওয়ার খসরু, বিজিয়ন চেয়ারর্পাসন, লায়ন ক্লাব ইনটারন্যাশনাল, চট্টগ্রাম। জনাব, নজরুল ইসলাম, উপ-পরিচালক, নাবিক ও প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ পরিদপ্তর, চট্টগ্রাম। ভদন্ত শ্রদ্ধালংকার মহাথের বলেন, বৌদ্ধ ধর্ম শান্তির ধর্ম। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মহামানব বুদ্ধের অহিংসা নীতির কোন বিকল্প নেই। অধ্যাপক ড. জিনবোধি মহাথের বলেন, মহামানব গৌতম বুদ্ধ বিশ্বের মানব জাতির তথা প্রাণী জগতে দুঃখ মুক্তির জন্য পৃথিবীতে আর্বিভূত হয়ে নিজে কঠোর তপস্যা ও সাধনা করে দুঃখ থেকে মুক্ত হয়েছেন তেমনি অন্যদেরও মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। তাই আমাদের উচিত সেই পথে গমন করে দুঃখ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া। তিনি আরো বলেন, বৌদ্ধ মন্দিরের জন্য জায়গা ব্যবস্তা করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বড় ধরনের ফাণ্ড তৈরী করা যায় তাহলে সম্ভব স্থায়ী বিহার প্রতিষ্ঠা করা। যেমন পিপিড়া সংঘবদ্ধ তেমনি আমাদের সংঘবদ্ধ হতে হবে। আমরা অতিথি নিয়ে আসি তারা শুধু আশ্বাস দিয়ে যায়, কাজের বেলায় কিছু করে না। বিশেষ অতিথি ৩৯ ওয়ার্ড কমিশনার জনাব, জিয়াউলহক সুমন বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বিশেষ করে চট্টগ্রামের যে ধর্মীয় সম্প্রীতি রয়েছে তা এক কথায় অসাধারন। তিনি আরো বলেন, বৌদ্ধ বিহারটি জন্য একটি জায়গা ব্যবস্থা করে দিয়ে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠার জন্য আশ্বাস প্রদান করেন। লায়ন সরওয়র খসরু বলেন, বৌদ্ধ ধর্মমাবলম্বীদের স্থায়ী বৌদ্ধ বিহার খুবই প্রয়োজন। তিনি এ ব্যাপারে প্রয়োজীয় সহায়তা প্রদানের জন্য কমিশনারের দৃষ্ঠি আর্কষণ করেন। এর আগে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন হিল চাদিগাঙ বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ সাধনাজ্যোতি স্থবির। তিনি বলেন ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হিলচাদিগাং বৌদ্ধ বিহার এখনও অস্থায়ীভাবে ভাড়া বাসায় পরিচালিত হচ্ছে। তাই অতিথি মহোদয়ের নিকট বিহারটি একটি জায়গা ব্যবস্থা করে দিয়ে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠার ও বিশেষ কয়েটি জায়গায় মেয়েরা ইপটেজিং, ছিনতাই স্বীকার হন তাই আইন শৃঙ্খলা উন্নতির জন্য দৃষ্টি আর্কষন করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিহার কমিটির সম্পাদক স্বপন চাকমা। পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন অমিষ কান্তি দেওয়ান। সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পি ক্রিষ্টিনা চাকমা। দিন ব্যাপী আয়োজনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল কঠিন চীবর দান, অষ্টপরিষ্কার দান, বুদ্ধমূর্তি দান বিশ্ব শান্তি কামনায় ত্রিপিটক পাঠ পঞ্চশীল গ্রহন সংঘদান গণভোজন ও ভিক্ষু সংঘের ধর্মদেশনা। সকালবেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার বাবু পুলককান্তি বড়–য়া, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, গৃহায়ণ লিমিটেড, ভিক্ষুসংঘ প্রমূখ। উপস্থাপনায় ছিলেন মিস অভিধা চাকমা ও অপূর্বা চাকমা।
No comments
Post a Comment