সাজেক ও খাগড়াছড়ি হামলার সুষ্ঠ সমাধান চাই

- শতদল বড়ুয়া
আমরা বাংলাদেশী নাগরিক। বিশ্বের কাছে আমরা বাঙালি জাতি হিসেবে পরিচিত। তবে কেন আমরা নিজ বাসভূমে ডিভিশনের চিন্তা করছি। যার জন্ম যেখানে, সেখানে তার অধিকার বেশী। এটাইতো স্বাভাবিক নিয়ম। বংশম্পরায় জায়গা-জমি-বাড়ি রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত আছি আমরা বাংলাদেশের সর্বত্র। শিক্ষা, সংস্কৃতি, সভ্যতা এলাকা ভেদে পার্থক্য থাকবেই। এতে যদি কেই হীনমানসে এবং লোভের বশবর্তী হয়ে বাহুবল দেখাতে চাই তাহলে তো প্রতিরোধেই প্রশ্ন উঠবে।
আমি পাহাড়ী সমতলের অধীবাসীদের বিভক্তি আনতে রাজী নয়। সমতলের অধিবাসীরা চাইবে নিজের বাপ-দাদার সম্পত্তি নিজেরাই ভোগ করে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রেখে দিতে। আমরা এতে ভাগ বসাতে চাইলে ক্ষোভের দানা ক্রমান্বয়ে প্রবল থেকে প্রবলতর হতে থাকবে।পাহাড়ীদের বেলায়ও ঠিক এই ধরনের ঘটনা। নিজেদের ভূ-সম্পত্তিতে ভাগ বসাতে কেউ দেবে না। এটা কোন অন্যায় বা অপরাধ নয়। স্বাধীন বাংলাদেশের সকল শ্রেণীর নাগরিকের এটাই স্বাভাবিক নিয়ম।
গত ১৯ ও ২০ফেব্রুয়ারী সাজেকে এবং ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১০খ্রীষ্টাব্দ খাগড়াছড়ি সদরে ইতিহাসের নিমর্মতম ও বর্বোরচিত যে ঘটনা ঘটেছে, তার নিন্দা জানাই। অবোধ পশুরা পর্যন্ত নির্বিচারে কাউকে আক্রমণ করে না। সে দিনের ঘটনায় যারা জড়িত তারা পশুর চেয়েও নিকৃষ্টতম মানবের একটি অংশ, যারা মানুষরুপী সভ্য জগতে হিং¯্র জানোয়ার।
খাগড়াছড়ি সদর, সাজেক, মহালছড়ি, মাইছড়ি ঘুরে এবং সর্বস্তরের মানুযষের সাথে কথা বলে যা জানা গেছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। সাজেকে ভূমি বেদখল ও পূর্নবাসনের বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ বিরাজ করছিলো বলে নির্ভর যোগ্য সূত্র জানা গেছে। ১৯ ফ্রেব্রয়ারী সন্ধ্যা থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়।  স্থানীয় এলাকাবাসীদের দেওয়া তথ্য মতে, প্রথমে গঙ্গারামদোর ও রেতকাবা গ্রামে পাহাড়ীদের ৩০-৩৫টি বাড়েিত আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। পরদিন পাহাড়িদের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্যে হামলাকারীরা নির্দেশ দেয়। হামলাকারীরা এত শক্তি পেলো কোথা থেকে? তাদের ইন্ধনদাতাদের উৎপাদন করতে না পারলে তারা আরো বেপরোয়া হবে।

কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছেঃ
    পাহাড়িরা দেয়া বক্তব্যে জানা যায়, সেটেলাররা তাদের হীন চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। হামলাকারীদের নাকি শক্তি যুগিয়েছে আর্মীরা। আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী তো দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো জনগণের নিরাপত্তা দেয়া, আইন শৃঙ্খলার অবনতি যাতে না ঘটে সেই পদক্ষেপ নেয়া। উল্টো তারা ভঙ্গের ভূমিকায় কেন গতি ফিরালো। এ বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্তের দাবী জানালো এলাকাবাসী। বিজ্ঞ মহলেও অভিমত দেশের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে তৃতীয়পক্ষ নেপথ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আমরাও পাহাড়িদের সাথে একমত  এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে নিরপেক্ষ বিচার হোক।

বৌদ্ধ বিহারে আগুনঃ
বালুঘাট পূর্ব পাড়ায় বনানী বনবিহারে সেটেরার হামলা চালায় বলে জানা যায়। সেখানে  অবস্থানকারী বনভন্তের শিষ্য শ্রীমৎ পূর্ণবাস ভিক্ষু। হামলাকারীরা বিহারে এমন তা-ব চালিয়েছে যা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানায়। বিহারের অথিতিশালা, ভোজনশালা, অষ্ঠশীলাঘর, মুল মন্দির, মেশিনঘর, ভিক্ষুদের বাসস্থান, ২টি কাঁচাঘর এবং বিহার সংলগ্ন একটি দোকানে লুটপাত করে জ্বালিয়ে দেয়। এতে থাইল্যা- থেকে আনীত বুদ্ধমূর্তিসহ বহুমূল্যবান জিনিসপত্র পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। বনানী গ্রাম ছাড়াও গুচ্ছ গ্রামের জ্ঞাানাংকুর বৌদ্ধ বিহার, গঙ্গরামে একটি র্গীজা , ব্যাক চালিত স্কুল এবং ইউএনডিপির পাড়া কেন্দ্রে আগুন লাগিয়ে লুটতরাজ চালায়। এলাকাবাসীরা আরো জানালেন হামলাকারীরা দলবদ্ধভাবে এসে প্রথমে লুটতরাজ চালায়, পরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে বলে, এখানে আর যেন না দেখি। দেখলে তোদেরও আগুনে পুড়িয়ে মারবো।

ঘোলা পানিতে মাছ শিকারঃ
খাগড়াছড়ি এক ব্যবসায়ী জানালো সুবিধা ভোগীরা সব সময় সুযোগের সন্ধানে থাকে। সুবিধা ভোগের অন্তরায় ঘটলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এলাকায় তা-ব চালায়। ঘটে যাওয়া ঘটনার সময় আমাদের এখানেও বেশ লুটতরাজ চালিয়েছে হামলাকারীরা। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। তখন আমাদের কিছুই করার ছিল না, নিরভে মূখ চেয়ে থেকেছি। অবস্থা দৃষ্টে দেখে মনে হলো এদের পিছনে ইন্ধিন যুগিয়েছে একটি বিদ্বেষ মহল। শান্ত পরিবেশ পরিস্থিতিকে অস্থির করে তুলতে পারলে তারা ফায়দা লুটিতে আর কোন অসুবিধা হয় না। ইন্ধনকারীরা সেটেলারদের মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। সেটেলার আক্রোসের বশবর্তী হয়ে শুধু ঘর-বাড়িতে আগুন দিয়ে ক্ষান্ত হচ্ছে না, পাহাড়িদের গৃহপালিত পশু, পুকুরের মাছসহ নানা উৎপাদিত দ্রব্যাদি দিন দুপুরে প্রকাশ্যে নিয়ে যাচ্ছে বীরদর্পে। কেউ প্রতিবাদ করলে টুটি চেপে ধরার পাশাপাশি এ পৃথিবী থেকে চির বিদায়েরর দিনটি হাতে ধরিয়েদেবে বলে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

সংখ্যালঘুঃ
সংখ্যলঘুরা সবসময় আক্রান্ত হচ্ছে নানা ভাবে। পাহাড় বা সমতল যেখানেই কথা বলি না কেনো পাহাড়ে জুলুম চালিয়ে যাচ্ছে। সেটেলার আর সমতলে হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে চাইছে ভূমি দুস্য তথা অতিলোভী সুবিধা ভোগী সন্ত্রাসীরা। সংখ্যালঘুদের জায়গায় মসজিদ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করবে এমন অজুহাত ফেলার মানসে ঘৃণ্য চক্রান্ত চালাচ্ছে।
পাহাড় সমতল এই দুই স্থানে সংখ্যালঘুরা বাঁচার মতো বাঁচতে চায়। এ ব্যাপারে সদাশয় সরকার প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা কামনা করছে সংখ্যালঘুরা। সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তা চায়, চায় মা-বোনের ইজ্জত রক্ষার্থে সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশ। কুচক্রীমহলরা সারাক্ষণ চায় কোনো বিবাদ বাঁঁিদয়ে ফায়দা লুটাতে। আমরা আশা করি সরকার প্রধান, স্থানীয় প্রশাসন, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকেরা এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে অপরাধীদের বিচারের কাটগড়ায় এনে উপযুক্ত শাস্তির পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।

সেটলারঃ
সেটরার কারা? এক কথায় ভূমিহীনরা। ভূমিহীন মানুষ তো মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশী। প্রকৃত ভূমিহীনরা কিন্তু বসতি স্থাপনের জায়গা পায়নি এখানো। সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম জিয়াউর রহমান প্রথম পাহাড়ে সেটলার ঢুকিয়ে দেয়। নদী ভাঙ্গনসহ প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগের কারণে অনেকে ভিটে বাড়ি ছাড়া হয়ে যায়। মরহুম জিয়াউর রহমান আসপাস না ভেবে পাহাড়ে ঢুকিয়ে দেয়। সেটলাররা অপরের সম্পত্তি ভোগের লোভ, লালসা সেই থেকে অপকর্ম চালাতে থাকে। সেটলারা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠতে থাকে। চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি থেকে হেন অপকর্ম নেই তারা করছে না। তাদের নেই কোন শিক্ষা, সংস্কৃতি। যাযাবর জীবন গ্রহন করে একজন পাহাড়ে ঢুকে ক্রমান্বয়ে একশ’জনকে সেখানে নিয়ে গেছে। মরহুম জিয়াউর রহমান এই মারাতœক ভূলটা না করলে পাহাড়ে আজ এ দশা হতো না।
রাজনৈতিক পেক্ষাপট মা থেকে মাসির দরদের কথার মতো। কিছু শ্রেণীর রাঘববোয়ালরা রাজনীতির অজুহাত দেখিয়ে নেতা বনে যেতে চায়। চায় ক্ষমতাসীনদের ¯েœহভাজন হতে। একবার স্নেহভাজন হতে পারলেই বাজিমাত তাকে ঠেকায় কে? এ ধরনের উদাহরণ অনেক। সুপ্রিয় পাঠক-পাঠিকারাও আশা করছি বুঝাতে বাকী নেই। ইতিমধ্যে বহু রাজনৈতিক নেতার অবস্থা কি হয়েছে, গণমাধ্যম তথা পত্র-পত্রিকার সুবাদে সকলে জেনেছেন।
দেশের কোনো এক জায়গায় অশান্তির বীজবুনে দিতে পারলেই হলো। দেশের সিংহভাগ সংখ্যালঘু বাস পাহাড়ে। সংখ্যালঘুদের টুটি চেপে ধরতে সুবিধা মনে করে পাহাড়ে সেটলার লেলিয়ে দিয়েছে বিশেষ এক শ্রেনীর রাজনৈতিক দল। আগে ইন্ধনদাতাদের চিহ্নিত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যারা ব্যবহৃত হচ্ছে তাদের চেয়ে যারা ব্যবহার করছে, তারাই ঘুরতর অপরাধী। পাহাড়ে অশান্তি থামাতে হলে নৈপথ্যে যারা কাজ করছে তাদের আইনেরয়ে আসতে হবে। মোট কথা রাজনৈতিক কুটচাল যেখানে চলবে সেখানে শান্তির চেয়ে অশান্তির দানাই জোরদার হতে থাকবে।

সম্মিলিত আরজিঃ
এ প্রতিবেদকের সাথে কথা হয়, তিন জায়গায় পাহাড়ি-বাঙ্গালিদের চাওয়া হলো- সেটলারার পাহাড়ে থাকতে পারবে না। যতো সেটলারাই অশান্তি সৃষ্টি করছে। সমতলের অসংখ্য বাঙালিও পাহাড়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। বেশ কিছু বাঙালির অভিমত পাহাড়িরা অতি সহজ, সরল এবং অতিথি পরায়ন। তারা অন্যদের সহজভাবে মেনে নিতে অভ্যস্তই। এতেই কাল হয়ে দাঁড়ায় পাহাড়ীদের কাছে সেটলাররা। আমরাও পাহাড়ীদের সাথে একমত। সেটলাররা আপন হয়ে বুকে ঢুকে কাটা হয়ে বের হয়। পাহাড়িদেরা দুর্বলতার সুযোগ খুঁজতে থাকে সেটলাররা। তাই সেটলার যতক্ষণ না এখান থেকে বিতারিত হচ্ছে ততক্ষণ পাহাড়ে সংঘাত লেগেই থাকবে।
কয়েকজন পাহাড়িদের প্রশ্ন করলাম- তোমরাতো সেটলারদের সহ্য করতে পারছনা দেখছি। ঐ যে দেখছি বাঙালিদের আনাগোনা এরা তোমাদের ক্ষতি করে না। সেটলাররা যেমন বাঙালি, তেমনি তো এরাও বাঙালি।
 শুরু হলো তাদের উত্তর দেওয়ার। সেটলারদেরতো আর,এস,পি,এসের কোন নাম নিশানা নেই,  তবু তারা জায়গাজমির মালিকদাবী করে। নেই তাদের শিক্ষা সংস্কৃতি। তাদের নেই কোনো সামাজিক অবস্থান। আজ এখানে আছে, কাল অন্যখানে চলে যাচ্ছে, কোনো না কোনো অপরাধ সংঘটিত করবেই। সেটলার কোনো মান-সম্মানের ধার ধারে না। যতো ঘৃনিত ও হীনকাজ তারাই করে পাহাড়ে দ্বন্দ-সংঘাত লাগিয়ে রেখেছে। আগে আমরা কতোই না সুখে ছিলাম। একমাত্র সেটলারের কারণে আমাদের প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটছে। পৃথিবীর জঘন্যতম জাতগুলো পাহাড়ে এই সেটলার গুলো। এদের বাঙালি বলা মানে অর্জিত স্বাধীনতাকে অপমান করার সামিল।

বাঙালিঃ
জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে আমরা সকলে বাঙালি। তবে এরা সমতল থেকে এখানে এসে জায়গাজমি কেনে বাড়িঘর নির্মাণ করে ব্যবসা-বানিজ্য ও চাকুরী করে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। এরা করে না কোনো ঘৃণিতকাজ। সামাজিক ভাবে আমাদের সাথে মিলে মিশে আছে। একে অপরের সুখ-দুঃখের সাথে হই। বিপদে-আপদে দৌড়ে এসে সাহায্য সহযোগিতা করি। শিক্ষা, সংসংস্কৃতির দিক দিয়ে স্থায়ী বাঙালিরা এখন অনেক অগ্রসর। বাঙালিদের সাথে সেটলারের কোনো তুলনাই হয়না। সেটলাররা তো আমাজান জংগলের হিংস্র পশুর চেয়েও অধম এক গোষ্ঠি।

শেষকথাঃ
সরেজমিনে এলাকা ঘুরে যা স্পষ্ট তা হলো- “সেটলার খেদাও পাহাড় থেকে”- এ শ্লোগান প্রতিধ্বনিত হচ্ছে সবার মুখে। কারণ পাহাড়ি জনগণকে হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতন এবং তাদের ঘর-বাড়ি পোড়ানো, তাদের জমি কেড়ে নেয়ার ঘটনা এখনো ঘটছে অবাধে।  অশান্তি বিষবাষ্প তারাই ছড়াচ্ছে অহরহ। তাদের পাহাড় থেকে তুলে না আনলে সমস্যার সমাধান কোনভাবেই সম্ভব হবে না।
সরকারীভাবে পূর্নবাসনের জায়গার কোনো অভাব নেই। যাদের যেখান থেকে আনা হয়েছে তাদের সেখানে ফেরত পাঠানো এখন সময়ের দাবী। সরকারের সদিচ্ছার উপর সব কিছু নির্ভর করছে। সরকারকেও সেটলাররা বেকায়দায় ফেলাতে সুযোগ খুঁজে। কোন এক অদৃশ্য কারণে সেটরারদের রক্ষায় উঠে পড়ে লেগেছে একটি বিশেষ মহল। এভাবে তো অপরাধীরা বার বার পার পেয়ে যাবে। তারা এর চেয়েও ঘুরতর অপরাধ সংঘটিত করার প্রয়াস পেয়ে যাবে। ঘটনার কয়েকমাস অতিবাহিত হতে চললো কোনো অপরাধীর শাস্তি পেয়েছে, এমন ধরনের খবর সাধারণ জনগণ এখনো পর্যন্ত জানতে পারেনি।
সাজেক ও খাগড়াছড়ি সদরে হামলার ঘটনা দেশে-বিদেশে ব্যাপক নিন্দা, প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। পাহাড়িদের দাবি তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের জন সম্মূখে নিয়ে আসা হোক এ ধরণের ট্রোজেডি থেকে উত্তোররণের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থিতিশীলতা ও বাংলাদেশের আন্তজার্তিক ভাবমূর্তি টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারের এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরী। সাজেক ও খাগড়াছড়ি হামলার যাতে আর পূর্নরাবৃত্তি না সে জন্য সম্মিলিত প্রয়াসের কোনো বিকল্প নেই। আমরাও চাই, সাজেক ঘটনার সুষ্ঠ সামাধান। এত হবে সবার মঙ্গল, দেশ করবে সমৃদ্ধি লাভ, সাধারণ জনগণ তাকবে সুখে।

লেখক পরিচিতি: সাংবাদিক, কলামিষ্ট ও প্রাবন্ধিক।

No comments

Theme images by 5ugarless. Powered by Blogger.