রাঙামাটিতে জনসংহতির ডাকে হাটবাজার বর্জন

আজ বুধবার সকালে রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শহরের সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। একই সঙ্গে শহরের ভেতরে চলাচলকারী একমাত্র যান অটোরিকশা চলাচলও বন্ধ রয়েছে। লোকজনের চলাচলও খুবই কম। তবে জনসংহতি সমিতির কোনো নেতা-কর্মীকে রাস্তায় দেখা যায়নি।
আজ রাঙামাটি শহর এলাকাসহ বিভিন্ন হাটবাজারে হাটের দিন। এসব হাটে গ্রামের চাষিরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করেন। রাঙামাটি শহরের বনরূপা, রিজার্ভ বাজার, কল্যাণপুর, আসামবস্তীতে হাট বসে। এসব স্থানে আজ কোনো ক্রেতা-বিক্রেতাকে দেখা যায়নি।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এসব হাটবাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করার পাশাপাশি শহরে পুলিশ ও বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে। তবে রাঙামাটি শহরসহ জেলায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশীদ।
পার্বত্যচুক্তির ১৭ বছর পূর্তির প্রাক্কালে গত বছরের ২৯ নভেম্বর ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা সরকারের কাছে এ বছরের ৩০ এপ্রিলের মধ্যে কর্মসূচিভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) ঘোষণার দাবি জানান। তা না হলে অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দেন। সেই অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম ধাপ হিসেবে আজ হাটবাজার বর্জন ও দোকানপাট বন্ধের কর্মসূচি চলছে বলে জনসংহতি সমিতির দাবি।
তথ্যসূত্র: প্রথম আলো, ২৯ জুলাই, ২০১৫

No comments

Theme images by 5ugarless. Powered by Blogger.