পার্বত্য বিষয়ক সরকারি নির্দেশনা অগণতান্ত্রিক : আবুল মকসুদ
পাহাড়ে দেশি-বিদেশিদের প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের নির্দেশনা টঅগণতান্ত্রিক ও সংবিধান বিরোধী' বলে মন্তব্য করেছেন বিশষ্টি লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ। তিনি বলেন, এই নির্দেশনা শুধু পাহাড়িদের নয়, বরং দেশের সকল নাগরিকের মানবাধিকারকে লঙ্ঘন করেছে।
বুধবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ গোল টেবিল আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক নির্দেশনা পর্যালোচনা মূল্যায়ন বিষয়ক আলোচনার আয়োজন করে নাগরিক কমিটি।
সৈয়দ আবুল মকসুদ অরো বলেন, সরকার ওই নির্দেশনার মাধ্যমে শান্তিচুক্তিও লঙ্ঘন করেছে। তারা আন্তরিক হলে এ নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা হতে পারে। অন্যথায় এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হতে হবে। তিনি বলেন, শান্তিচুত্তির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নষ্ট করতে এখন সরকারের ভিতরে একটি অংশ কাজ করে যাচ্ছে। অথচ এ চুক্তি বাস্তবায়িত হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের বেশীরভাগ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাহাড়ে ইউএনডিপির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ, সিএইচটি কমিশনের নাম পরিবর্তন, নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতিতে পাহাড়িদের সাথে দেখা-সাক্ষাতসসহ বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়।
সরকারের প্রতি প্রশ্ন রেখে ঐক্য ন্যাপের পংকজ ভট্টচার্য বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম কি কারাগার? পার্বত্যাঞ্চলকে কারাগার বানানোর ষড়যন্ত্র যারা করছে, তারা এ দেশের শত্রু।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিদেশী নাগরিকরা পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ্রমণে যেতে অনুমতি লাগবে, আবার যে কেউ সেখানকার পাহাড়িদের সাথে দেখা করতে চাইলে সাথে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাউকে সাথে রাখতে হবে, এরকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ নির্বুদ্ধিতা ও সাম্প্রদায়িক মানসিকতার পরিচয় দেয়। তিনি বলেন, পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কাজের সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
আইন ও শালিস কেন্দ্রের হামিদা হোসেন প্রশ্ন রেখে বলেন, পার্বত্যাঞ্চল কি বাংলাদেশের উপনিবেশ? এটি কি বাংলাদেশের অংশ নয়? তাহলে পুরো বাংলাদেশের জন্য এক ধরণের আইন আর পাহাড়ের জন্য আরেক ধরণের আইন কেন হবে?
আলোচনায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিএইচটি কমিশনের ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগি অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।
বুধবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ গোল টেবিল আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক নির্দেশনা পর্যালোচনা মূল্যায়ন বিষয়ক আলোচনার আয়োজন করে নাগরিক কমিটি।
সৈয়দ আবুল মকসুদ অরো বলেন, সরকার ওই নির্দেশনার মাধ্যমে শান্তিচুক্তিও লঙ্ঘন করেছে। তারা আন্তরিক হলে এ নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা হতে পারে। অন্যথায় এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হতে হবে। তিনি বলেন, শান্তিচুত্তির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নষ্ট করতে এখন সরকারের ভিতরে একটি অংশ কাজ করে যাচ্ছে। অথচ এ চুক্তি বাস্তবায়িত হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের বেশীরভাগ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাহাড়ে ইউএনডিপির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ, সিএইচটি কমিশনের নাম পরিবর্তন, নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতিতে পাহাড়িদের সাথে দেখা-সাক্ষাতসসহ বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়।
সরকারের প্রতি প্রশ্ন রেখে ঐক্য ন্যাপের পংকজ ভট্টচার্য বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম কি কারাগার? পার্বত্যাঞ্চলকে কারাগার বানানোর ষড়যন্ত্র যারা করছে, তারা এ দেশের শত্রু।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিদেশী নাগরিকরা পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ্রমণে যেতে অনুমতি লাগবে, আবার যে কেউ সেখানকার পাহাড়িদের সাথে দেখা করতে চাইলে সাথে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাউকে সাথে রাখতে হবে, এরকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ নির্বুদ্ধিতা ও সাম্প্রদায়িক মানসিকতার পরিচয় দেয়। তিনি বলেন, পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কাজের সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
আইন ও শালিস কেন্দ্রের হামিদা হোসেন প্রশ্ন রেখে বলেন, পার্বত্যাঞ্চল কি বাংলাদেশের উপনিবেশ? এটি কি বাংলাদেশের অংশ নয়? তাহলে পুরো বাংলাদেশের জন্য এক ধরণের আইন আর পাহাড়ের জন্য আরেক ধরণের আইন কেন হবে?
আলোচনায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিএইচটি কমিশনের ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগি অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।
সূত্র : কালের কন্ঠ
No comments
Post a Comment