রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারের প্রধান ভিক্ষু উচহ্লা ভান্তের সংবাদ সম্মেলন

সংবাদ সম্মেলনে ভান্তে জানান, একটি মহল তার সুনাম নষ্ট করতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে মিথ্যে সংবাদ পরিবেশন করছে। তিনি রাষ্ট্রীয়ভাবেই ষড়যন্ত্রের শিকার বলেও দাবী করেন। তিনি বলেন, তার কোন নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী নেই।
ধর্মীয় কাজে বিভিন্ন সময়ে তিনি মায়ানমার থাইল্যান্ডসহ বৌদ্ধ ধর্মীয় রাষ্ট্রগুলো সফর করে থাকেন। তার নির্মিত বৌদ্ধ ধাতু জাদীর (স্বর্ণ জাদী) রক্ষনাবেক্ষণ ও সংস্কারের জন্য দর্শনার্থীদের কাছ থেকে ১৫ টাকা করে নেয়া হয়ে থাকে। তা চাঁদাবাজীর পর্যায়ে পড়ে না।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবী করেন, তার কর্মকাণ্ডের বিষয়ে রাষ্ট্র ও প্রশাসন অবহিত রয়েছে। রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের কোন অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে তিনি যে কোন শাস্তি গ্রহণ করতে রাজি আছেন।
এ সময় জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান থোয়াই চপ্রু মাষ্টারসহ বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে পৃথক এক প্রতিবাদলিপিতে দ্য ওর্য়াল্ড বুদ্ধ শাসন সেবক সংঘ, ঢাকা অঞ্চলের অসংখ্য শিস্য- শিষ্যা ও ভক্ত পূজারীর পক্ষে অমিয় কুমার বড়ুয়া বলেছেন, বৌদ্ধদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় গুরু, সর্বজনপূজ্য শ্রীমৎ উ পঞঞা জোত মহাথেরো (গুরুভন্তে) মহোদয়কে হেয় প্রতিপন্ন করার হীন প্রয়াসে কুচক্রি এবং স্বার্থন্বেষী মহল দ্বারা প্ররোচিত হয়ে গত ২৩ অক্টোবর, রোজ রবিবার” বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতা দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত” শিরোনামে আপনার পত্রিকায় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে প্রকাশিত সর্ম্পূণ বানোয়াট, বাস্তবতা বির্বজিত, মিথ্যা তথ্যপূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক মানহানিকর সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ, ক্ষোভ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি এবং অনতিবিলম্বে এই অসত্য সংবাদ প্রত্যাহার করে নিজেদের দোষ এবং ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থণা করার মাধ্যমে সঠিক সংবাদ পরিবেশনের জোর দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি বৌদ্ধ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা বিভ্রান্তিকর এরূপ বানোয়াট সংবাদ প্রচার করার দুঃসাহস না দেখানোর আহ্বান করছি।
1 comment
উচহ্লাকে কে রাজগুরু বানিয়েছে? আমার জানা মতে বান্দরবানের কোন রাজা আজ পর্যন্ত তাকে রাজগুরু হিসেবে স্বীকৃতি দেননি। তাহলে সে রাজগুরু হল কিভাবে?
Post a Comment