Home
/
পার্বত্য চট্টগ্রাম
/
খাগড়াছড়ি’র মাটিরাঙা উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়নের সেটেলার বাঙালিরা আদিবাসী গ্রামে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাত
খাগড়াছড়ি’র মাটিরাঙা উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়নের সেটেলার বাঙালিরা আদিবাসী গ্রামে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাত
খাগড়াছড়ি’র
মাটিরাঙা উপজেলার ১নং তাইন্দং ইউনিয়নের আসলং মৌজায় আজ ৩ আগস্ট ২০১৩ দুপুর
তিনটায় বহিরাগত সেটেলার বাঙালিরা আদিবাসী গ্রামে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ ও
লুটপাত করেছে। এ ঘটনায় ৫টি গ্রামের প্রায় দু‘শতাধিক বাড়িঘর সম্পূর্ণ
ভস্মিভূত হয়েছে।তাছাড়া ৯টি গ্রামের প্রায় ২০০ শতাধিক পরিবার প্রাণ বাঁচাতে
পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। অনেক পরিবার বিএসএফের বাধাঁর মুখে সীমান্তের
ওপারে যেতে না পেরে এখনো সীমান্তবর্তী গভীর জঙ্গলে রয়েছে বলে খবর পাওয়া
গেছে।এ ঘটনায় কেউ নিহত হয়েছে কিনা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি তবে অসংখ্য
গ্রামবাসী আহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা যায়, আজ ৩ আগস্ট
২০১৩ দুপুর আড়াইটার দিকে বান্দরসিং কার্বারী পাড়ায় মোটরসাইকেল চালক মো:
কামাল নামের এক সেটেলার বাঙালি ইউপিডিএফ সন্ত্রাসী কর্তৃক অপহৃত হয়েছে এমন
অভিযোগে সেটেলার বাঙালিরা মিছিল বের করে এবং পার্শ্ববর্তী আদিবাসী গ্রামে
হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুটপাত, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে। এতে ১৯১ নং
তাইন্দং মৌজার তিনটি গ্রাম- তংগ্য মহাজন পাড়া; রাম বাবু দেবা; পুরাবাড়ী
পাড়া ও ১৮৩ নং আসলং মৌজার দু’টি গ্রাম সর্ব্বেশ্বর
পাড়া; বগা পাড়া সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা
গেছে।সেটেলার বাঙালি কর্তৃক অগ্নিসংযোগে ৫টি গ্রামের প্রায় দু‘শতাধিক
বাড়িঘর সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়েছে।বর্তমানে ৯টি গ্রামের লোকজন প্রাণ বাঁচাতে
ভারতের অমরপুর সাব ডিভিশনের জলিয়া সীমান্তের করবুক এলাকায় পালিয়ে আশ্রয়
নিয়েছে।এতে প্রায় ২০০ শতাধিক পরিবার রয়েছে বলে জানা যায়। এখনো বহু পরিবার
বিএসএফ-এর বাঁধার কারণে সীমান্তের কাছে গভীর জঙ্গলে আশ্রয় নিয়ে অবস্থান
করছে। ১৯১ নং তাইন্দং মৌজার তিনটি গ্রামের বাসিন্দারা ভারতের অমরপর সাব
ডিভিশনের জলিয়া সীমান্তের করবুক এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। গ্রামগুলো হল- ১।
তংগ্য মহাজন পাড়া; ২। রাম বাবু দেবা; ৩। পুরাবাড়ী পাড়া ও ১৮৩ নং আসলং মৌজার
৬টি গ্রামের বাসিন্দারা ভারতের অমরপর সাব ডিভিশনের জলিয়া সীমান্তের করবুক
এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। গ্রামগুলো হল- ১। বিশ্ব মেম্বার পাড়া; ২। মনোদাশ
পাড়া; ৩। তানি মং মগ পাড়া; ৪। কৃঞ্চ দয়াল কার্বারী পাড়া; ৫। সর্ব্বেশ্বর
পাড়া; ৬। বগা পাড়া।
জানা গেছে, ২১ নং জামিনীপাড়া বিজিবি ব্যাটালিয়নের
তানাক্কাপাড়া বিওপি’র পার্শ্ববর্তী গ্রাম বগাপাড়ায় যখন সেটেলার বাঙালিরা
হামলা করছিল তখন বিজিবি সদস্যরা নিরব ভূমিকা পালন করেছে।এছাড়া আসলং মগ পাড়া
বিওপি সংলগ্ন তাহের সর্দ্দার পাড়া্র সেটেলার বাঙালিরা জুম্মদের
গ্রামগুলোতে জাতিগত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার তাণ্ডবলীলা চালায়।আলি আজম পাড়া,
তাহের সর্দ্দার পাড়া, মুসলিম পাড়ার সেটেলার বাঙালিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে
প্রশাসনের সহযোগিতায় এ হামলা চালিয়েছে বলে জানা যায়। পরে সেটেলার বাঙালিরা
মুসলিম পাড়ায় নিজেরাই তাদের ৪/৫ বাড়িঘরে আগুন দেয়।এদিকে এ ঘটনায় মাটিরাঙা
উপজেলায় আদিবাসী জুম্মদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।পরিস্থিতি থমথমে অবস্থা
বিরাজ করছে।

No comments
Post a Comment