নববর্ষের দেয়ালচিত্রে পোড়া মবিলের আঘাত
বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের
চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনের দেয়ালে আঁকা চিত্রে পোড়া মবিল ঢেলে দিয়েছে
দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে নগরের বাদশা মিয়া সড়কে
ইনস্টিটিউটের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে ফিনলে কোম্পানির দেয়ালে নববর্ষকে সামনে রেখে কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন চিত্রপট এঁকেছিলেন চারুকলার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। গতকাল রাতেও একইস্থানে দেয়ালচিত্র আঁকা হয়। আজ বুধবার ও আগামীকাল বৃহস্পতিবারও একই দেয়ালে চিত্র অঙ্কন এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য বিভিন্ন মুর্যাল তৈরির কাজ ছিল।
ইনস্টিটিউটের পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক সজীব সেন বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাইরের দেয়ালে ওই দিনের মতো কাজ শেষ করে শিক্ষার্থীরা চারুকলার ভেতরে চলে যায়। এ সময় কাজের জন্য বাইরে দেওয়া বৈদ্যুতিক বাতিও নিভিয়ে দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর, সম্ভবত রাত ১২টার দিকে তিন-চারটি মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন যুবক এসে রাস্তায় গালিগালাজ করতে করতে চলে যায়। এরপর দেখা গেল, পোড়া মবিল মেরে দেয়ালচিত্র ধ্বংস করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর সকালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চারুকলার সামনে জড়ো হন। তাঁরা এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। খবর পেয়ে পুলিশও উপস্থিত হয়। ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক জাহেদ আলী বলেন, ‘বাঙালি সংস্কৃতির যারা প্রতিপক্ষ, যারা শিল্পের প্রতিপক্ষ, তারাই এই কাজ করেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটা ভালো লক্ষণ নয়। তবে আমরা আমাদের উৎসব-অনুষ্ঠান থামাব না।’ চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে প্রতিবারের মতো এবারও নববর্ষের দিন মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হবে।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ইনস্টিটিউটের অপর সহযোগী অধ্যাপক নাসিমা আখতার বলেন, ‘এই ঘটনার বিরুদ্ধে সবার সোচ্চার হওয়া উচিত। ধর্ম কখনো শিল্পের বিপক্ষে নয়। ধর্ম সবাই পালন করে। আমরাও করি। এই ঘটনায় কারা জড়িত তাদের বের করে পুলিশ শাস্তির আওতায় আনুক।’
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার এস এম মোস্তাইন হোসাইন বলেন, ‘এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আমরা বের করব। আমরা আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নেব। নিজস্ব কোনো কোন্দলের কারণে হলো কি না, কিংবা যারা ছবি পছন্দ করে না তারা করেছে কি না—এটা আমরা তদন্ত করে দেখছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা ছবি পছন্দ করে না তারা এ দেশের নাগরিক হতে পারে না। আমরা এই ঘটনার পর প্রয়োজনে নিরাপত্তা বাড়াব।’
তথ্যসূত্র: প্রথম আলো, চট্টগ্রাম ১২ এপ্রিল ২০১৭, ১৪:২২
চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে ফিনলে কোম্পানির দেয়ালে নববর্ষকে সামনে রেখে কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন চিত্রপট এঁকেছিলেন চারুকলার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। গতকাল রাতেও একইস্থানে দেয়ালচিত্র আঁকা হয়। আজ বুধবার ও আগামীকাল বৃহস্পতিবারও একই দেয়ালে চিত্র অঙ্কন এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য বিভিন্ন মুর্যাল তৈরির কাজ ছিল।
ইনস্টিটিউটের পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক সজীব সেন বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাইরের দেয়ালে ওই দিনের মতো কাজ শেষ করে শিক্ষার্থীরা চারুকলার ভেতরে চলে যায়। এ সময় কাজের জন্য বাইরে দেওয়া বৈদ্যুতিক বাতিও নিভিয়ে দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর, সম্ভবত রাত ১২টার দিকে তিন-চারটি মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন যুবক এসে রাস্তায় গালিগালাজ করতে করতে চলে যায়। এরপর দেখা গেল, পোড়া মবিল মেরে দেয়ালচিত্র ধ্বংস করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর সকালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চারুকলার সামনে জড়ো হন। তাঁরা এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। খবর পেয়ে পুলিশও উপস্থিত হয়। ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক জাহেদ আলী বলেন, ‘বাঙালি সংস্কৃতির যারা প্রতিপক্ষ, যারা শিল্পের প্রতিপক্ষ, তারাই এই কাজ করেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটা ভালো লক্ষণ নয়। তবে আমরা আমাদের উৎসব-অনুষ্ঠান থামাব না।’ চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে প্রতিবারের মতো এবারও নববর্ষের দিন মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হবে।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ইনস্টিটিউটের অপর সহযোগী অধ্যাপক নাসিমা আখতার বলেন, ‘এই ঘটনার বিরুদ্ধে সবার সোচ্চার হওয়া উচিত। ধর্ম কখনো শিল্পের বিপক্ষে নয়। ধর্ম সবাই পালন করে। আমরাও করি। এই ঘটনায় কারা জড়িত তাদের বের করে পুলিশ শাস্তির আওতায় আনুক।’
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপকমিশনার এস এম মোস্তাইন হোসাইন বলেন, ‘এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আমরা বের করব। আমরা আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নেব। নিজস্ব কোনো কোন্দলের কারণে হলো কি না, কিংবা যারা ছবি পছন্দ করে না তারা করেছে কি না—এটা আমরা তদন্ত করে দেখছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা ছবি পছন্দ করে না তারা এ দেশের নাগরিক হতে পারে না। আমরা এই ঘটনার পর প্রয়োজনে নিরাপত্তা বাড়াব।’
তথ্যসূত্র: প্রথম আলো, চট্টগ্রাম ১২ এপ্রিল ২০১৭, ১৪:২২
No comments
Post a Comment