শিক্ষা বিস্তারে নিরন্তর এক সংগ্রামী মানুষ, ভেন. প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো
তাহমিনা নুসরাত
মানুষ মনন দিয়ে পৃথিবীর পাড়ে প্রাণের চিহ্ন রেখে যায়। তাঁদের এই মননশীলতা জেগে উঠে দেশ থেকে দেশে, সমাজ থেকে সমাজে। কিছু ঠিকানাহীন মানুষ যুগের অন্ধকার ছিঁড়ে আলোর ঠিকানা ফিরে পায়। সব বিমূর্ষতাকে পেছনে ফেলে আলোর ফেরিওয়ালা পথ দেখান সমাজ সভ্যতার প্রতিটি অধ্যায়ে। অনেকটা পিছিয়ে পড়া আদিবাসীদের ঘরে আলোর বার্তা ফেরি করা একজন নিভৃতচারী মানুষ অধ্যক্ষ ভেন. প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো। শৈশবের রূঢ়তায় হেরে না গিয়ে কৈশোরকে গড়েছেন স্বপ্নচারী এক নিরেট বাস্তবতার নিরিখে। জীবনের রণক্ষেত্রে বিজয়ী ভেন. নিজেকে গড়েছেন যোগ্য থেকে যোগ্যতর হিসেবে। তিনি ভিক্ষু তবে মানুষের মননশীলতাকে মেখে নিয়েছেন সর্বাঙ্গে। ধর্মকে উপাসনালয়ে বন্দী না রেখে কর্মের ডাল পালায় বিস্তৃত করেছে মানুষসহ পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণীর কল্যাণে। সেই চিরসত্য কথার মতোই- সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।
আদিবাসীদের মাঝে মুক্তির গান গেয়ে জ্ঞানের আলো বিলানো মানুষ অধ্যক্ষ ভেন. প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরোর জন্ম ১৯৫২ সালে খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীনালা উপজেলার বাবুরছড়া গ্রামে। তিনি ১৯৬৮ সালে দিঘীনালা হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক, ১৯৭২ সালে হাটাজারী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক, ১৯৭৭ সালে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে বিএ অনার্সসহ এমএ ডিগ্রি এবং ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পালি সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। অধ্যক্ষ ভেন. প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো ১৯৬৮ সালে মাধ্যমিক পাসের পরপরই ভিক্ষুত্ব গ্রহণ করে মানবসেবায় মনোনিবেশ করেন। তরুণ বয়স থেকেই একজন সাধারণ ভিক্ষু হয়েও ভেন. মনে_প্রাণে অনুভব করেছেন পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য উন্নয়নের একমাত্র পথ হচ্ছে শিক্ষা। সেই থেকে ভেন. শুরু করেন এক অবিশ্রান্ত লড়াই।
এই লড়াইয়ের মাঠ প্রান্তরে ভেন. প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো নানা বাধা বিপত্তির মুখোমুখি হলেও হেরে যাননি। মানুষের কল্যাণ আর নিজের আত্মবিশ্বাসকে হাতিয়ার করে চালিয়ে আসছেন শিক্ষা বিস্তারের নিরন্তর এক সংগ্রাম। ভেন. প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো পাহাড়ী শিশুদের কোমল অন্তরে শিক্ষার আলো জ্বালাতে শ্রদ্ধাময়ী পাহাড়ের গায়ে গড়ে তোলেন 'মনোঘর' নামের অতি মানবিক এক শিশু শিক্ষা সদন। এই মনোঘর_ই আজ বিশ্বখ্যাত। শিশু শিক্ষায় মানুষের চিন্তার রেণু বহন করে।
মনোঘরেই ভেন. থেমে থাকেননি। এই মনোঘর শিশু সদনকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলেন মনোঘর আবাসিক বিদ্যালয়, মনোঘর পালি কলেজ, মনোঘর প্রি_ক্যাডেট স্কুল, মনোঘর ভাষা শিক্ষাকেন্দ্র সহ ১৪টি শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠান।
ঐ দূর পাহাড়ের সীমানা ছাড়িয়ে অধ্যক্ষ ভেন. প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো শিক্ষার আলো ছিটিয়ে দিতে চান দেশের প্রতিটি প্রান্তে। ২০০৪ সালে রাজধানী ঢাকার মিরপুরে প্রতিষ্ঠা করেন বনফুল আদিবাসী গ্রিনহার্ট কলেজ। শিক্ষা ক্ষেত্র ছাড়াও ধর্ম এবং সমাজ সেবামূলক পরিসরে অধ্যক্ষ ভেন. প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরোর অবদান অনস্বীকার্য। ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহার এবং রাঙ্গামাটি আনন্দ বিহারের অধ্যক্ষ ভেন. প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো সারা বিশ্বে বসবাসরত বৌদ্ধদের তীর্থ সংঘ বিএলআইএ'র বাংলাদেশ অধ্যায়ের প্রধান হিসেবেও দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আদিবাসী সমাজ তথা সমাগ্র বাংলাদেশের শিশু শিক্ষার কল্যাণীয়া প্রতীক অধ্যক্ষ ভেন. প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরোর জন্য আমরাও অনেক অনেক কল্যাণ কামনা করছি। তাঁর এগিয়ে চলা লক্ষ কোটি ভোরের পাখির মতো আমাদের আলোর পথে ডাক দিয়ে যাবে এমনটাই প্রত্যাশা করছি।
মানুষ মনন দিয়ে পৃথিবীর পাড়ে প্রাণের চিহ্ন রেখে যায়। তাঁদের এই মননশীলতা জেগে উঠে দেশ থেকে দেশে, সমাজ থেকে সমাজে। কিছু ঠিকানাহীন মানুষ যুগের অন্ধকার ছিঁড়ে আলোর ঠিকানা ফিরে পায়। সব বিমূর্ষতাকে পেছনে ফেলে আলোর ফেরিওয়ালা পথ দেখান সমাজ সভ্যতার প্রতিটি অধ্যায়ে। অনেকটা পিছিয়ে পড়া আদিবাসীদের ঘরে আলোর বার্তা ফেরি করা একজন নিভৃতচারী মানুষ অধ্যক্ষ ভেন. প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো। শৈশবের রূঢ়তায় হেরে না গিয়ে কৈশোরকে গড়েছেন স্বপ্নচারী এক নিরেট বাস্তবতার নিরিখে। জীবনের রণক্ষেত্রে বিজয়ী ভেন. নিজেকে গড়েছেন যোগ্য থেকে যোগ্যতর হিসেবে। তিনি ভিক্ষু তবে মানুষের মননশীলতাকে মেখে নিয়েছেন সর্বাঙ্গে। ধর্মকে উপাসনালয়ে বন্দী না রেখে কর্মের ডাল পালায় বিস্তৃত করেছে মানুষসহ পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণীর কল্যাণে। সেই চিরসত্য কথার মতোই- সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।
আদিবাসীদের মাঝে মুক্তির গান গেয়ে জ্ঞানের আলো বিলানো মানুষ অধ্যক্ষ ভেন. প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরোর জন্ম ১৯৫২ সালে খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীনালা উপজেলার বাবুরছড়া গ্রামে। তিনি ১৯৬৮ সালে দিঘীনালা হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক, ১৯৭২ সালে হাটাজারী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক, ১৯৭৭ সালে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে বিএ অনার্সসহ এমএ ডিগ্রি এবং ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পালি সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। অধ্যক্ষ ভেন. প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো ১৯৬৮ সালে মাধ্যমিক পাসের পরপরই ভিক্ষুত্ব গ্রহণ করে মানবসেবায় মনোনিবেশ করেন। তরুণ বয়স থেকেই একজন সাধারণ ভিক্ষু হয়েও ভেন. মনে_প্রাণে অনুভব করেছেন পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য উন্নয়নের একমাত্র পথ হচ্ছে শিক্ষা। সেই থেকে ভেন. শুরু করেন এক অবিশ্রান্ত লড়াই।
এই লড়াইয়ের মাঠ প্রান্তরে ভেন. প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো নানা বাধা বিপত্তির মুখোমুখি হলেও হেরে যাননি। মানুষের কল্যাণ আর নিজের আত্মবিশ্বাসকে হাতিয়ার করে চালিয়ে আসছেন শিক্ষা বিস্তারের নিরন্তর এক সংগ্রাম। ভেন. প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো পাহাড়ী শিশুদের কোমল অন্তরে শিক্ষার আলো জ্বালাতে শ্রদ্ধাময়ী পাহাড়ের গায়ে গড়ে তোলেন 'মনোঘর' নামের অতি মানবিক এক শিশু শিক্ষা সদন। এই মনোঘর_ই আজ বিশ্বখ্যাত। শিশু শিক্ষায় মানুষের চিন্তার রেণু বহন করে।
মনোঘরেই ভেন. থেমে থাকেননি। এই মনোঘর শিশু সদনকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলেন মনোঘর আবাসিক বিদ্যালয়, মনোঘর পালি কলেজ, মনোঘর প্রি_ক্যাডেট স্কুল, মনোঘর ভাষা শিক্ষাকেন্দ্র সহ ১৪টি শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠান।
ঐ দূর পাহাড়ের সীমানা ছাড়িয়ে অধ্যক্ষ ভেন. প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো শিক্ষার আলো ছিটিয়ে দিতে চান দেশের প্রতিটি প্রান্তে। ২০০৪ সালে রাজধানী ঢাকার মিরপুরে প্রতিষ্ঠা করেন বনফুল আদিবাসী গ্রিনহার্ট কলেজ। শিক্ষা ক্ষেত্র ছাড়াও ধর্ম এবং সমাজ সেবামূলক পরিসরে অধ্যক্ষ ভেন. প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরোর অবদান অনস্বীকার্য। ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহার এবং রাঙ্গামাটি আনন্দ বিহারের অধ্যক্ষ ভেন. প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো সারা বিশ্বে বসবাসরত বৌদ্ধদের তীর্থ সংঘ বিএলআইএ'র বাংলাদেশ অধ্যায়ের প্রধান হিসেবেও দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আদিবাসী সমাজ তথা সমাগ্র বাংলাদেশের শিশু শিক্ষার কল্যাণীয়া প্রতীক অধ্যক্ষ ভেন. প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরোর জন্য আমরাও অনেক অনেক কল্যাণ কামনা করছি। তাঁর এগিয়ে চলা লক্ষ কোটি ভোরের পাখির মতো আমাদের আলোর পথে ডাক দিয়ে যাবে এমনটাই প্রত্যাশা করছি।
তথ্যসূত্র: দৈনিক সংবাদ
No comments
Post a Comment