হিল চাদিগাং বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানানুষ্ঠানে মিলন মেলা
সকল প্রাণীর মঙ্গল কামনায় নগরের বন্দর এলাকার সিম্যান হোস্টেল ন্যাশনাল
মেরিনটাইম ইনস্টিটিউট প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজন করা হয় দানোত্তম শুভ কঠিন
চীবর দানানুষ্ঠান। শত শত মানুষের উপস্থিতিতে কঠিন চীবর দানানুষ্ঠান পরিনত
হয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতির মিলন মেলা। দিন ব্যাপি এ আয়োজন করে হিলচাদিগাং
বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটি হিলচাদিগাং বুড্ডিস্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটি।
চট্টগ্রামের ইপিজেডসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রয়েছে বৌদ্ধ
ধর্মাবলম্বী হাজার হাজার আদিবাসী। তাদের বেশির ভাগেরই অবস্থান সিম্যান
হোস্টেল, নিউমুড়ি, ব্যারিষ্ঠার কলেজ রোড়, মাইলের মাথা, হাসপাতাল গেইট,
বন্দরটিলা, দক্ষিন মধ্যম হালিশহর, বন্দর আবাসিক কলোনিসহ আশপাশের এলাকায়।
এসব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় কর্মকান্ড পরিচালিত হয় হিল চাদিগাং বৌদ্ধ
বিহার ঘিরে। গত ছয় বছর ধরে জম কালো আয়োজনে এখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কঠিন চীবর
দানানুষ্ঠান।
গত ১০ই অক্টোবর অনুষ্ঠানের শুরুতে এলাকার ও আশে পাশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা জড়ো হয় সিম্যান হোস্টেল ন্যাশনাল মেরিনটাইম ইনস্টিটিউট প্যারেড গ্রাউন্ডে । এ সময় অনেকে দল বেধে বাদ্য বাজনাসহ অনুষ্ঠান মঞ্চে আছেন। কঠিন চীবর দান করে বিপুল পুন্যরাশি সঞ্চয়ের আশায় সমবেত হন বৌদ্ধরা। বিশেষ ভাবে তৈরি টাকার গাছ অনেকের সঙ্গে ছিল বিভিন্ন সাইজের বুদ্ধ মূর্তি।
গত ১০ই অক্টোবর অনুষ্ঠানের শুরুতে এলাকার ও আশে পাশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা জড়ো হয় সিম্যান হোস্টেল ন্যাশনাল মেরিনটাইম ইনস্টিটিউট প্যারেড গ্রাউন্ডে । এ সময় অনেকে দল বেধে বাদ্য বাজনাসহ অনুষ্ঠান মঞ্চে আছেন। কঠিন চীবর দান করে বিপুল পুন্যরাশি সঞ্চয়ের আশায় সমবেত হন বৌদ্ধরা। বিশেষ ভাবে তৈরি টাকার গাছ অনেকের সঙ্গে ছিল বিভিন্ন সাইজের বুদ্ধ মূর্তি।
বিশেষ করে চট্টগ্রামের যে ধর্মীয় সম্প্রীতি রয়েছে তা এক কথায় অসাধারন। মুসলমানদের ঈদ, হিন্দুদের দূর্গাপূজা, বৌদ্ধদের কঠিন চীবর দান বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান এখানকার সাম্প্রদায়িক বন্ধনকে সুদৃঢ় করেছে। তিনি আরো বলেন, বৌদ্ধ বিহারটি জন্য একটি জায়গা ব্যবস্থা করে দিয়ে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠার জন্য আশ্বাস প্রদান করেন। এর আগে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন হিল চাদিগাঙ বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ সাধনাজ্যোতি স্থবির। তিনি বলেন ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হিলচাদিগাং বৌদ্ধ বিহার এখনও অস্থায়ীভাবে ভাড়া বাসায় পরিচালিত হচ্ছে। তাই প্রধান অতিথি মেয়র মহোদয়ের নিকট বিহারটি একটি জায়গা ব্যবস্থা করে দিয়ে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠার জন্য দৃষ্টি আর্কষন করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিহার কমিটির সম্পাদক স্বপন চাকমা। পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন অমিষ কান্তি দেওয়ান। সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পি লাকী চাকমা। দিন ব্যাপী আয়োজনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল কঠিন চীবর দান, অষ্টপরিষ্কার দান, বুদ্ধমূর্তি দান বিশ্ব শান্তি কামনায় ত্রিপিটক পাঠ পঞ্চশীল গ্রহন সংঘদান গনভোজন ও ভিক্ষু সংঘের ধর্মদেশনা। সকালবেলা অনুষ্ঠানে প্রদান অতিথি ছিলেন লায়ন পারিকা রাণী চাকমা সভানেত্রী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ফোরাম। বিশেষ অতিথি শ্রীমৎ রতœপ্রিয় স্থবির, শ্রীমৎ সুগতলংকার ভিক্ষু প্রমূখ ভিক্ষু সংঘ। উপস্থাপনায় ছিলেন মিস অভিধা চাকমা ও অপূর্বা চাকমা।

No comments
Post a Comment