বাবুছড়ায় ভূমি অধিগ্রহণ বাতিল করার দাবি
দীঘিনালার বাবুছড়া এলাকায় বিজিবির জন্য ভূমি অধিগ্রহণ বাতিল, বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর প্রত্যাহার, ১০ জুন অপ্রীতিকর ঘটনার বিচার, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও উচ্ছেদ করা পরিবারগুলোকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে খাগড়াছড়ির বিশিষ্ট আদিবাসী নাগরিকেরা।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ‘খাগড়াছড়ি সচেতন নাগরিক সমাজ’-এর ব্যানারে খাগড়াছড়ি সদরের একটি কনভেনশন কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অনন্ত বিহারী খীসা, অধ্যাপক বোধিসত্ত দেওয়ান, বিনোদ বিহারী চাকমা, অর্ধেন্দু শেখর চাকমা, হেডম্যান অ্যাসোশিয়েসনের সহসভাপতি ক্ষেত্র মোহন রোয়াজা ও সমাজকর্মী কিরণ মারমা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, বাবুছড়া এলাকায় বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর স্থাপনের নামে দুটি গ্রাম যত্ন মোহন কার্বারি পাড়া ও শশী মোহন কার্বারি পাড়ার জমি রাতের আঁধারে বিজিবি সদস্যরা গত ১৪ মে দখলে নেন। এরপর থেকে আশপাশে গ্রামের মানুষদের চলাফেরা সহ দৈনন্দিন কাজে নানাভাবে বাধার সৃষ্টি করেন। গত ১০ জুন কয়েকজন আদিবাসী নারী কলাগাছ লাগাতে গেলে বিজিবি এতে বাধা প্রদান করে। এর প্রতিবাদ করতে গেলে বিজিবি-পুলিশ ও সদর দপ্তরের নির্মাণকাজের বাঙালি শ্রমিকেরা ওই গ্রামের নারীদের ওপর হামলা চালান। এতে ১৮ জন গ্রামবাসী আহত হন। ঘটনার পর ১১১ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ঘটনার পর থেকে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের এক কাপড়ে ঘরছাড়া করেন বিজিবি সদস্যরা।
বর্তমানে তারা পার্শ্ববর্তী একটি বিদ্যালয়ের ঘরে আশ্রয় নিয়ে মানবেতন জীবনযাপন করছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে পাঁচ দফা দাবিনামা জানানো হয়। দাবিগুলোর মধ্যে বিজিবির জন্য ভূমি অধিগ্রহণ বন্ধ করাসহ বাবুছড়া থেকে ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর প্রত্যাহার, বিজিবির দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের নিঃশর্ত মুক্তি, আশপাশে গ্রামে সেনা-বিজিবি টহল বন্ধ করে জনগণের মধ্যে ভয়ভীতি দূর করা ও উচ্ছেদ করা ব্যক্তিদের যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়।
No comments
Post a Comment